লাস্ট সু বাই মেশিন
২ মাস

মডিউল শিরোনাম : লাস্ট শু বাই মেশিন

মডিউলের বর্ণনা

এই মডিউল মেশিন পরিচালনার জন্য প্রয়োনীয় জ্ঞান , দক্ষতা এবং আচরণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে মেশিনে শু লাস্টিং করার ক্ষেত্রে এই মডিউল আপনাকে গাইড করবে এছাড়াও এই মডিউল লাস্টিং অপারেশনে ব্যবহৃত বিভিন্ন মেশিন চিহ্নিত করতে সক্ষম করবে

ন্যূনতম সময়কাল : ৬০ ঘণ্টা

শিখনফল

এই মডিউল শেষে প্রশিক্ষণাথীরা অবশ্যই

.  কর্মস্থলে নিরাপদে প্রশিক্ষণাথীরা অবশ্যই

.  কাজের নমুনা তৈরি করতে পারবেন

.  কর্মস্থল প্রস্তুত করতে পারবেন

.  নিদিষ্ট কাজের জন্য মেশিন চেক প্রস্তত করতে পারবেন

.  লাস্টের সাথে ইনসোল সংযুক্ত করতে পারবেন  

.  আপার কন্ডিশনিং করতে পারবেন

.  সম্পন্ন কাজ দ্রুত পাঠাতে পাবেন

.  কর্মস্থল পরিষ্কার করতে পরবেন

অ্যাসেসমেন্ট ক্রাইটেরিয়া

.  প্রয়োজনীয় উপকরণ যন্ত্রপাতি ব্যবহারের আগে , ব্যবহারের সময় এবং ব্যবহারের পরে প্রয়োজনীয়

    নিরাপত্তাজনীত নিয়ম মেনে চলতে পারবেন

.  প্রয়োজনীয় উপকরণ যন্ত্রপাতি ব্যবহারের আগে , ব্যবহারের সময় এবং ব্যবহারের পরে ত্রুটিযুক্ত যন্ত্রপাতি

    চিহি্তকরণ এবং নিদিষ্ট ডিজাইন অনুযায়ী মেরামত করতে  পারবেন

.  ব্যক্তিগত নিরাপত্তাজনিত পেশাক ( পিপিই ) পরিধান করতে পারবেন

.  কাজের বান্ডিল গ্রহণ করা , চেক করা এবং কোনো ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন হলে তা করতে পারবেন

.  গ্রহণকৃত সামগ্রীর গেুনগতমান যাচাই করতে পারবেন

.  আপনার কন্ডিশনিং করতে পারবেন

.  সম্পন্ন কাজ দ্রুত পাঠাতে পারবেন

.  কর্মস্থল পরিষ্কার করতে পারবেন

.  রেকর্ড সংরক্ষন করতে পারবেন

১০. উৎপাদনকারীর নির্দশনা অনুযায়ী অপারেটরে দক্ষতা এবং কাজের প্রয়োজন বৈশিষ্ট্য অনুসারে লাস্টিং মেশিন

    অ্যাডজাস্ট করে সেট করতে পারবেন   

জেনেরিক

মেশিনে শু লাস্টিং এর জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাজনিত বিষয়

নিরাপত্তার  জন্য করণীয়

·         কমক্ষেত্রের নিয়ম অনুযায়ী ব্যক্তিগত নিরাপত্তা পোশাক পরিধান এবং উপকরণ ব্যবহার করতে হবে

·         কমক্ষেত্রের নিয়ম অনুযায়ী সঠিকভাবে নিরাপদ উপকরণ ব্যবহার করতে হবে

·         কমক্ষেত্রের নিয়ম অনুযায়ী  বিশ্রামের বিরতি নিতে হবে

·         পেশাগত নিরাপত্তা এবং স্বস্থ্য বিষয়ক ঝুকি কাজের চাহিদা অনুসারে কর্মক্ষেত্র সাজাতে হবে

·         চলাচলের নিদিষ্ট পথ ব্যবহার করতে হবে

·         কোনো উপকরণ ব্যবহৃত না সেগুরো কমক্ষেত্রে নিয়ম অনুসারে সংরক্ষণ করতে হবে

·         নিয়ম অনুসারে সবসময়ই কমক্ষেত্র  পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং বাধামুক্ত রাখতে হবে 

·         কারখানার মেঝে এবং কমক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় কাপড়ের টুকরা, সুতা দড়ি ব্যান্ডেজের কাপড় বা সুতা ধূরিকণা আবজনা ইত্যাদি মুক্ত রাখতে হবে অথাৎ এগুলো পরিষ্কার করতে হবে এক্ষেত্রে কারখানার প্রচলিত নিয়ম অনুসরন করতে হবে

·         কোনো কিছু কাটার সময় ধারালো ছুরি ব্যবহার করতে হব

·         ঢিলেঢালা কাপড় ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে কেননা এক্ষেত্রে মেশিনে কাপড় আটকে গিয়ে দুঘটনা ঘটতে পারে

·         যন্ত্রপাতির কাছাকাছি কাজ করার সময় লম্বা চুল এবং ঢিলেঢালা কাপড় অনুমোদন যাবে না

·         ধারালো কাটাযুক্ত ছুরি ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকতে হবে কেননা অসতকতায় হাতের আঙ্গুল কেটে যেতে পারে

·         ফায়ার ড্রিল সম্পকে জেনে নিতে হবে


সম্পন্ন হয়েছে
অকুপেশন

শিখন উদ্দেশ্য

এই ইনফরমেশন শিটটি পড়ার পর, আপনি কারখানার নিয়ম অনুসারে ম্যাটেরিয়াল (আপার) এবং অন্যান্য আনুষঙ্গি উপকারণ এবং যন্ত্রপাতি গ্রহণ করতে ও কর্মস্থলকে কাজের জন্য প্রস্তুত করতে সক্ষাম হবেন।

২.১. ওয়ার্ক বান্ডিল গ্রহণ করা ও চেক করা ।  

আপার

এটি জুতার উপরের অংশ বা চামড়া যা জুতাকে পায়ের সাথে লেগে থাকতে সহায়তা করে। একে ভ্যাম্প বা আপার বলে। জুতাকে আকর্ষীয় করতে এতে বিবিন্ন স্টাইল  সংযোজন করা হয়।

কাঁচামাল

বিভিন্ন ধরনের ম্যাটেরিয়ালের সমন্বয়ে দৌড়ানোর জুতা বা রানিং শু তৈরি করা হয়। জুতার সোলের তিনটি স্তর থাকে। যেমন- ভেতরের সোল, মাঝের সোল এবং বাইরের সোল । ভেতরের সোল বা ইনসোল হচ্ছে ইথিলিন ভিনাইল অ্যাসিটেট (EVA)এর তৈরি একটি পাতলা স্তর। মাঝের সোল বা মিডসোল জুতার মধ্যে আরামদায়ক তুলতুলে ভাবে তৈরি করে । মিডসোল হিসেবে বিভিন্ন উৎপাদনকারী বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করে থাকেন। সাধারণত পলিইউরেথিন দ্বারা বেষ্টেত জেল বা তরল  সিলিকন ব্যবহার করা হয়। এছাড়া কোনো ক্ষেত্রে পরিইউরেথিন বেষ্টিত সংকুচিত বায়ু ব্যবহার করা হয় । বাইরের সোল সাধারণত কার্বন রাবার দিয়ে তৈরি হয়। এটি কিছুটা শক্ত। অনেক সময় রাবারের ভেতর বাতাস দিয়ে (Blown Rubber)নরম প্রক্রুতর রাবার তৈরি করা হয়। এছাড়া উৎপাদনকারীর জুতা তৈরিতে বিভিন্ন ধরনের সোল ব্যবহার করে থাকেন।

জুতার গোড়ালি ঢাকার জন্য বিভিন্ন ধরনের সিনথেটিক ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার করা হয় । অনেক সময় চামড়ার সাথে নাইলন বা নাইলনের সাথে চামড়া আটকিয়ে করা হয় । জুতায় প্লাষ্টিকের তৈরি আইলেট হলে সুতার তৈরি লেইস ব্যবহার করা হয়। জুতার বিভিন্ন উপকরণ জোড়া লাগানোর জন্য ভালো মানের আঠা ব্যবহার করা হয় । একে সিমেন্ট লাস্টিং বলে ।

আপার প্রস্তুতকরণ

·         লাস্টেড মার্জিন বা প্রান্তের চামড়ার উপরের গ্রেইন স্তরটি দূর করে সমান করতে হবে ।

·         সারফেস থেকে ধুলা দূর করতে হবে ।

·         চামড়া যদি আঠা শোষণ করে ফেলে তবে দু’বার আঠা প্রয়োগ করতে হবে ।

·         সমানভাবে আঠা প্রয়োগ করতে হবে ।

·         আঠা সঠিকভাবে শুকাতে হবে ।

·         আঠার স্তর বেশি মোটা হলে আঠা ঠিকভাবে গুকাতে পারে না । ফলে সলভেন্ট ভেতরে আটকা পড়ে দুর্বল বন্ধন তৈরি হয় ।

·         নিউবাক লেদার ফিনিশিং এর ক্ষেত্রে পি. ইউ বা নিউপ্রিন ব্যবহার করা হয় । এটি দুর্বল বন্ডিং তৈরি করে ।

·         আঠা ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রতিটি প্রলেপ দেয়ার আগে কমপক্ষে ৫ মিনিট বিরতি নিশ্চিত করতে হবে ।


সোল

জুতার সবচেয়ে নিচে যে অংশটি থাকে তাকে সোল বলে । জুতার এই অংশটি সরাসরি মাটির সংস্পর্শে থাকে । সোল বিভিন্ন ধরনের ম্যাটেরিয়ালের হতে পারে । যেমন- চামড়া, প্রাকৃতিক রাবার বা সিনথেটিক রাবার ইত্যাদির হতে পারে ।

কখনো কখনো সোলের গোড়ালি তৈরিতে রাবার ব্যবহৃত হয় এবং সামনের অংশ লেদারের হয়ে থাকে । এতে করে সোল টেকসই হয় । বিশেষে উদ্দেশ্যে জুতা তৈরির সময় ‍কিছু বিশেষ সংশোধনী আনা হয় । যেমন – অ্যাথলেটিক শু তৈরির ক্ষেত্রে সোল বিশিষ ধরনের সূঁচালো কাঁটাযুক্ত করা হয় । এই কাঁটা জুতাকে মাটির সাতে ভালোভাবে ধরে রাখে । আবার নাচের জুতা তৈরির সময় নরম বা শক্ত উভয় সোলই ব্যবহৃর হয় ।

ইনসোল

সুতার সোলের উপরের অংশ হলো ইনসোল । এই ইনসোল পায়ের পাতার নিচে অবস্থান করে । অনে ক সময় ইনমোলের ওপর আরও একটি অতিরিক্ত ইনসোল সংযুক্ত করা হয় । এই ইনসোল অত্যন্ত আরমদায়ক ও স্বাস্থ্যসম্মত হয় । অতিরিক্ত এই ইনসোল পরিবর্তত করা যায় । জুতার আকৃতি ঠিক রাখতে বা জুতার ভেতরের আর্দ্রতা বা দুর্গন্ধ করতে এটি সহয়তা করে ।

মিডসোল

 আঘাত সহ্য করে নেয়ার জন্য জুতার ইনসোল এবং বাইরের সোলের মাঝখানে একটি স্তর ব্যবহার করা হয় । এটি মিডসোল ‍হিসেবে পরিচিত । কিছু বিশেষ ধরনের জুতা, যেমন- দৌড়ানোর জুতায় আঘাত সহ্য করার জন্য বিশেষত গোড়ালির নিচে এই মিডসোল ব্যবহৃর হয় । উৎপাদনকারীর ওপর নির্ভর করে তিনি মিডসোল হিসেবে কী ধরনের ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার করবের করবেন । তবে অনেক জুতা তৈরিতেই মিডসোল ব্যবহৃত হয় না । ‍

হিল বা গোড়ালি

জুতার সবচেয়ে নিচের অংশ হলো তেল বা গোড়ালি । এটি পায়ের পোড়ালিকে সাপোট দেয় । অনেক সময়য় সোল যে ম্যাটেরিয়াল ‍দিয়ে তৈরি হয় একই ম্যাটেরিয়াল দিয়ে হিল তৈরি হয় । ফ্যাশন সচেতন ব্যক্তিদের কাছে হিল খুবেই গুরুত্বপূর্ণ । কেননা উঁচু হিলের জুতা পরলে মানুষকে লম্বা দেখায় । অনেক ক্ষেত্রে হিল পাতলা হয় । পাতলা হিল ব্যবহার করা অনেক বেশি আরামদায়ক ।

শ্যাষ্ক

জুতার কাঠামো শক্তিশালী করার জন্য ইনসোল এবং বাইরের সোলের মাঝখানে শ্যাষ্ক ব্যবহার করা হয় । জুতায় শ্যাষ্ক এর ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ । কেনন এটি জুতা পরিধানকারীর লোড কমায় । এছাড়া জুতার অন্য অংশগুলোর স্থায়িত্ব বাড়ায় । আর পায়ের বাঁকা অংশকে সাপোর্ট দেয় । সাধারণত ধাতুর তৈরি শ্যাষ্ক জুতা তৈরিতে ব্যবহৃত হয় । তবে আজকাল ফাইবার গ্লাস এবং কেভলারের তৈরি কম তাপ পরিবাহী শ্যাষ্ক ব্যবহৃত হয় । এই ধরনের ম্যাটেরিয়ালগুলো পায়ে কোনো কিছু ঢুকে যাওয়া, আঘাত পাওয়া বা পাথরে আথরে আঘাত থেকে রক্ষা করে ।

লাস্ট

জুতা উৎপাদন বা মেরামত করতে মানুয়ের পায়ের অনুরূপ আকৃদি ড়ঠনতে লাস্ট বলে । লাস্ট সাধারণত জোড়া হিসেবে প্রস্তুত করা হয় । এটি বিভিন্ন ধরনের ম্যাটেরিয়াল, যেমন-শক্ত কাঠ , ঢালাই লোহা, উচ্চ গনত্বের প্লাষ্টিক দিয়ে তৈরি করা হয় ।


টো-পাফ এবং স্টিফেনার

জুতার ‍বিশেষ অংশের কাঠামো ঠিক রাখার জন্য স্টিফেনার ব্যবহার করা হয়। জুতার পেছনের অংশে আপারের ও লাইনিং এর মাঝখানে এটি ব্যবহার করা হয়। স্টিফনার সাধারণত লেদারের হয়। তবে ফাইবার বোর্ড বা থার্মো প্লাস্টিক রেজিন দিয়ে আবৃত ফাইবারের হয়ে থাকে। টো-পাফ জুতার সামনের অংশের আপার ও লাইনিং এর মাঝখানে আটকানো থাকে। এটিও স্টিফেনারের মতো বিভিন্ন ম্যাটারিয়ালের তৈরি হয়ে থাকে। যখন লাস্টিং করা হয় তখন টো-পাফ এবং স্টিফনার নরম করে নেয়া হয়। লাস্টিং শেষ হয়ে গেলে টো-পাফ এবং স্টিফেনার শক্ত হয়ে যায় এবং জুতার কাঠামোকে দৃঢ়ভাবে ধরে রাখে।

ইনপুট ম্যাটারিয়াল গ্রহণ

·         আপারকে অর্ডার অনুযায়ী চেক করুন।

·         ইনসোল চেক করুন।

·         বাইরের সোল চেক করুন।

·         লাস্ট চেক করুন।

·         জুতা তৈরিতে ব্যবহৃত শকস এবয় লেইস চেক করুন।

·         প্যাকিং ম্যাটেরিয়ালস (শু-বক্স, লেভেল স্টিকার, পিকটোগ্রাম, সুরক্ষা স্টিকার ইত্যাদি) চেক করুন।

গ্রহণকৃত ম্যাটারিয়ালস উৎপাদনের জন্য সরবরাহ করা হয়

·         অর্ডার অনুযায়ী ধারাবাহিকভাবে সাইজ অনুসারে লাস্ট সরবরাহ করুন।

·         অর্ডার অনুযায়ী একই সাইজের কত জোড়া লাস্ট সরবরাহ করতে হবে তা লক্ষ করুন।

·         লাস্টের সাইজের সাথে মিল রেখে আপার সরবরাহ করুন।

·         আপার ও লাস্টের সাথে মিল রেখে একই সাইজের ইনসোল ও সোল সরবরাহ করুন।

·         উপরোক্ত সবগুলো কনভেয়ারের ট্রেতে সাজিয়ে রাখুন।

সকস, লেইস এবং প্যাকিং ম্যাটারিয়াল সরবরাহ করা

·         সকস লোগো চেক করুন।

·         অর্ডারের পরিকল্পনা অনুযায়ী সকস কোন অবস্থানে জুতার ভেতরে স্যবহার করতে হবে সেই অনুযায়ী সরবরাহ করুন।

·         লেইস সরবরাহ করুন।

·         প্যাকিং নির্দেশনা অনুযায়ী প্যাকিং ম্যাটারিয়াল (শু-বক্স, লেভেল স্টিকার, পিকটোগ্রাম, সুরক্ষা স্টিকার ইত্যাদি) চেক করুন।

·         অন্য একটি টেবিলে প্যাকিং অপারেশনের জন্য প্যাকিং ম্যাটারিয়াল সরবরাহ করুন।




সম্পন্ন হয়েছে

আপার

জুতার যে অংশ পায়ের আঙুল এবং পায়ের উপরের ‍দিক এবং গোড়ালির পেছনের দিককে ঢেকে রাখে তাকে আপর বলে। এটি জুতার বাইরের সোলের সা্রেত যুক্ত থাকে ।



সোল

সোল জুতার নিচের অংশ । এটিকে জুতার বাইরের সোল হিরেবেও উল্লেখ করা হয় । জুতার এই অংশটি সরাসরি মাটির সংস্পর্শে আসে ।




 
ইনসোল

ইনসোল পায়ের পাতার ঠিক নিচে অবস্থান করে । 



মিডসোল

মিডসোল জুতার ইনসোল এবং বাইরের সোলের মাঝখানে থাকে ।

 


শ্যাষ্ক

জুতার ইনসোল এবং বাইরের সোলের  মাঝখানে শ্যাষ্ক থাকে এবং পায়ের  কার্ভা অংশ বরাবর অবস্থান করে । শ্যাষ্কপায়ের পাতাকে সাপোর্ট দেয় এবং জুতা তৈরি করতে সহায়তা করে ।




হিল/ গোড়ালি

জুতার পেছনের অংশ এবং সবচেয়ে নিচের অংশ হলো হিল বা জুতার গোড়ালি ।



লাস্ট

মানুষের পায়ের পাতার প্রায় অনুরূপ কাঠামোকে লাস্ট বলে । এটি জুতা তৈরিতে, জুতার এবং ফিটিং দেয়ার জন্য র্ববহৃত হয় । 

 



স্টিফেনার

জুতার আপার এবং লাইনিং এব ভেতরে এটির অবস্থান । জুতার পেছনের অংশে এটি ব্যবহৃত হয় এবং জুতার কাঠামো ঠিক রাখে ।



টো-ক্যাপ

জুতার টোএর উপরে চামড়া বা ধাতবের তৈরি আবরণটি হলো টো-ক্যাপ । 


প্রহণকৃত উপকরণের গুণগতামান যাচাই

প্রহণকৃত উপকরণের মান যাচাইয়ে যা যা দেখতে হবে-

·         কিনারার সেলাই প্রান্ত থেকে ১.৫ এমএম এর বেশি হবে না ।

·         দুই সারি সেলাই করার ক্ষেত্রে প্রথম সেলাইয়ের লাইন থেকে দ্বিতীয় সেলাইয়র লাইনের দুরত্ব ২ এমএম এর বেশি হবে না ।

·         ব্যাক সিমের ক্ষেত্রে সেলাইয়ের  গনত্ব ৫-৫.৫ স্টিচ বা সে.মি. ।

·         ল্যাপড সিম এবং টপ লাইন সেলাইয়ের ক্ষেত্রে ঘনত্ব হবে ৪-৪.৫ স্টিচ বা সে.মি. ।

·         সেলাই বাদ যাওয়া গ্রহণ যোগ্য নয় ।

·         সুতার অসমান টান হলে তা গ্রহণযোগ্য নয় ।

·         নোংরা আপর গুহণযোগ্য নয় ।

·         আপারের উপর অল্প পরিমাণ সলিউশন ব্যবহার করতে হবে ।

·         আপারের সাথে লাইনিং যুক্ত করার জন্য রাবার সুলউশন ব্যবহার করতে হবে ।

·         প্রান্তে ঢিলেঢালা সেলাই গ্রহণযোগ্য নয় ।

·         আইলেট অবশ্যই দেখা যাবে । ‍

·         উপর থেকে আইলেটের দূরত্ব ১০ মি. মি. হবে। একটি আইলেট থেকে আরেকটি আইলেটের দুরত্ব

১৫ মি. মি. হবে।

·         আইলেট সঠিকভাবে লাগানো থাকবে। ঢিলা বা ক্ষতিগ্রস্থ আইলেট গ্রহণযোগ্য নয়। 


সঠিক ক্রমানুসারে কাজের টুকরাগুলো বিছানো (ডার্বি সু)

·         কাটিং

·         পরিদর্শর/গুণগতমান নিয়ন্ত্রণ

·         অনুসন্ধান করা

·         মার্ক কার

·         স্কাইভিং

·         সংযুক্তকরণ

·         নিউপ্রিন আঠা দিয়ে লাইনিং সংযুক্ত করা

·         স্টির্চিং

·         লাইনিং স্টিচিং করা

·         আপার স্টিচিং করা

·         টপ লাইনেনের শক্তি বুদ্ধি চিহ্নেতকরণ ও ভাঁজ করা

·         টপ লাইন ভাঁজ করা

·         (পেছনের অংশ+ষামনের অংশ) ‍নিউপ্রিন আঠা দিয়ে আপার যুক্ত করা

·         সেলাই করা

·         টপলাইন সেলাই করা

·         টাং সেলাই করা

·         ক্লোজড সেলাই করা

·         ছাঁটাই করা

·         সুতা পোড়ানো 

·         কিনারা রং করা

·         আইলেট লাগানো – ৪ মি. মি. ব্যাসের কালো রং

·         আপার প্রান্ত

 নিরাপত্তা মান এবং কর্মক্ষেত্রে নিরাপদে ও স্বাস্থ্য সম্মতভাবে কাজের আদর্শ অনুসার ওয়ার্ক বেঞ্চ প্রস্ততকরণ ।

·         তিল ধরে রাখার যন্ত্র বা হিল ক্ল্যাম্প

·         আঠালো শিটকে শক্ত করার যন্ত্রপাতি

·         ট্যাক চালানোর ডিভাইস

·         হিল লাগানোর ডিভাইস

·         লস্ট

·         স্ট্যান্ড

·         নেইল লাগানোর ডিভাইস

·         লাস্টিং করার স্ট্যান্ড

·         সোল লাগানোর টুলস্

·         নিরাপদ ছুরি (সোল ছাঁটাই করার জন্য)

·         বেঞ্চ টুলস

·         স্টিফেনার নরম করার যন্ত্র

·         সাঁড়াশি

·         কাঁচি

·         হাতুড়ি

·         ছুরি

·         ট্যাক

·         আঠা 


২.৪. রেকর্ড ব্যবস্হাপনা

·         ম্যাটেরিয়ালগুলো দক্ষতার সাথে এবং নির্ভুলভাবে প্রয়োগ করা ।

·         পদ্ধতি অনুসারে নির্ভুলভাবে রেকর্ড রক্ষণাবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করা ।

·         ওএসএইচ নীতিএবং পদ্ধতি অনুসার কাজ করা ।

·         নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা।

·         কাজের নির্দেশনা কর্মস্হলে সবাইকে জানিয়ে দেয়া ।

·         নির্দিষ্ট পদ্ধতিগুলো স্পষ্ট করা এবং প্রয়োগ করা ।


 

 



লাস্টিং অপারেশনের ধারাবাহিকতা


১. অপারেশনের জন্য মেশিন প্রস্তুত ও যাচাই করা

একটি লাস্টিং লাইন আছে এমন ডিপার্টমেন্টে ৩১ জন শ্রমিক, ১ জন সুপারভাইজার এবং ২ জন সহকারী প্রোডাকশন অফিসার কর্মরত থাকেন। একটি মেশিন থেকে অন্য আরেকটি মেশিনে উপকরণগুলো স্থানান্তরের জন্য ৩৬ মিটারের একটি চেইন কনভেয়ার ব্যবহৃত হয়। ই সেকশনটি জুতা উৎপাদন কারখানার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সেকশনে ক্লোজড আপারকে আঠা দিয়ে ইনসোল এবং সোলের সাথে সংযুক্ত করা হয়।

 


লাস্টিং অপারেশনের সংখ্যা: ২৫

লাস্টিং এ ম্রমিকের সংখ্যা: ৩১

 

প্রোডাকশন: ৯০০/১০০০ (প্রতি ৮ ঘন্টায় এক জোড়া)

 

লাস্টিং এবং ফিনিশিং এ ব্যবহৃত কনভেয়ার: ভিলোনেট: ভিটিএম/১/৩৬

কনভেয়ারের দৈর্ঘ্য: ৩৬ মিটার

 

কনভেয়ারের সংখ্যা: ১১৪

 নারীদের জন্য মানসম্পন্ন জুতা তৈরি করার জন্য লাইন ব্যালেন্সিং : ৮৫০/১০০০ (প্রতি ৮ ঘন্টায় এক জোড়া) লাস্টিং ডিপার্টমেন্টে ব্যবহৃত মেশিনের একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা নিম্নরুপ-



অস্থায়ী লেইস প্রয়োগ

·         আপারের মধ্যে লেইস লাগান।

·         পাটের অথবা সুতার তৈরি অস্থায়ী লেইস নিন।

·         লাস্টের বক্রতার সাথে মিল রেখে লেইসকে সতর্কতার সাথে শক্ত করে বাঁধুন।

সামনের অংশ আর্দ্রকরণ

·         আর্দ্রকরণ মেশিন চালু করুন।

·         গ্যালনে পানি সরবরাহ করুন।

·         তাপমাত্রা নির্ধারণ করুন।

·         সময় নির্ধারণ করুন।

·         জরুরি সুইচ ঠিক আছে কিনা চেক করুন।

·         স্ট্রিম কন্ট্রোল সেট করুন।

·         আপারের সামনের অংশ (টো) আর্দ্রকরণ মেশিনে রাখুন।

·         প্রেস বাটনে চাপ দিন।

·         কাজ শেষে আপারকে তাড়াতাড়ি লাস্টিং করার জন্য ছেড়ে দিন।

সাইড লাস্টিং করার জন্য আঠা

·         আঠার কৌটায় আঠা ঢেলে নিন।

·         মুখোশ ও হাতমোজা পরে নিন।

·         নির্দিষ্ট সাইজের ব্রাশ নিন।

·         উল্টা করে টো লাস্টিংকৃত আপার নিন।

·         অনুমোদিত লাস্টিং প্রান্তে আঠা প্রয়োগ করুন।

·         অতিরিক্ত আঠা প্রয়োগ করবেন না।

·         সতর্কতার সাথে আঠা ব্যবহার করুন।




অস্থায়ী লেইস প্রয়োগ

·         আপারের মধ্যে লেইস লাগান।

·         পাটের অথবা সুতার তৈরি অস্থায়ী লেইস নিন।

·         লাস্টের বক্রতার সাথে মিল রেখে লেইসকে সতর্কতার সাথে শক্ত করে বাঁধুন।

সামনের অংশ আর্দ্রকরণ

·         আর্দ্রকরণ মেশিন চালু করুন।

·         গ্যালনে পানি সরবরাহ করুন।

·         তাপমাত্রা নির্ধারণ করুন।

·         সময় নির্ধারণ করুন।

·         জরুরি সুইচ ঠিক আছে কিনা চেক করুন।

·         স্ট্রিম কন্ট্রোল সেট করুন।

·         আপারের সামনের অংশ (টো) আর্দ্রকরণ মেশিনে রাখুন।

·         প্রেস বাটনে চাপ দিন।

·         কাজ শেষে আপারকে তাড়াতাড়ি লাস্টিং করার জন্য ছেড়ে দিন।

সাইড লাস্টিং করার জন্য আঠা

·         আঠার কৌটায় আঠা ঢেলে নিন।

·         মুখোশ ও হাতমোজা পরে নিন।

·         নির্দিষ্ট সাইজের ব্রাশ নিন।

·         উল্টা করে টো লাস্টিংকৃত আপার নিন।

·         অনুমোদিত লাস্টিং প্রান্তে আঠা প্রয়োগ করুন।

·         অতিরিক্ত আঠা প্রয়োগ করবেন না।

·         সতর্কতার সাথে আঠা ব্যবহার করুন।



সাইড লাস্টিং

·         উল্টা করে টো লাস্টেড আপারকে সাইড লাস্টিং মেশিনে রাখুন।

·         পিনচার টুলস্ সংগ্রহ করুন।

·         পিনচার টুলসের মাধ্যমে ভেতরে এবং বাইরের কোয়াটারকে ঠিককরুন। এমনভাবে  ঠিক করুন যেনজুতার আকৃতি এবং দৃঢ়তা সাঠক হয়।

·         ভেতর ও বাইরের কোয়াটারের উচ্চতা ঠিক আছে কিনা তা চেক করুন।




সাইড লাস্টিং করার যন্ত্র

সিাইড লাস্টিং মেশিনে লাস্টেড আপারকে নিচে থেকে রাখার জন্য একটি সাপোট থাকে। লাস্টেড আপারের টো অংশ এবং পেছনের অংশ ধরে রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। দু- পাশে পিনচার টুলস থাকে যার সাহায্যে লাস্টিং মাজিনকে উপরের দিকে টান দিয়ে  অ্যাডজাস্ট করা হয়। সাইডের এই যন্ত্রাংশগুলো  ফ্লেক্সিবল হয়। আঠা বেশি তাপমাত্রায় গলে যাওয়ার পরে ইনসোলের উপরে ( যতটুকু লাস্টিং মাজিন ) লাগিয়ে দেওয়া হয়। আর সাথে সাথে লাস্টিং মাজিনের চামড়াকে বেতরের দিকে ফোল্ড বা ভাঁজ করে ইনসোরের সাথেআটকিয়ে দেয়া হয়। 

ক্রমিক নং

চাহিদা অনুযায়ী অপারেশনের ধরন

ব্যবহৃত মেশিনের ধরন এবং উপদান

অপারেটরের সংখ্যা

০১

ব্যকপার্ট মোল্ডিং

ভারডি ম্যাটিক: ৯১৯ সিজি/২আরপি (VERKI NATIC: 919CG/2RP

০১

০২

ইনমোল ট্যাকিং এবং ফোরপার্ট ট্রিমিং

বিইএসএসইআর:ওবিই ১০.১১এলপি(BESSER : OBE 10.11LP)

০২

০৩

টো লাস্টিং এর জণ্য হনসোল পেস্টিং

হ্যান্ড ব্রাশ দিয়ে ল্যাটেক্স/নিওপ্রেন প্রয়োগ

০১

০৪

সোল প্রাইমিং

হ্যান্ড ব্রাশ দিয়ে রাবার সোল অ্যাক্টিবেটর ধরনের প্রাইমিং ব্যবহার

০১

০৫

টো লাস্টিং এর জন্য আপার পেস্টিং

ব্রাশ দিয়ে ল্যাটেক্স/ নিওপ্রেন প্রয়োগ

০১

০৬

ড্রায়ার

৩০ সেকেন্ডে দ্রুত সলভেন্ট শকানোর জন্য ব্যবহার হয়

০০

০৭

ফোরপার্ট স্টিমিং

ইএলভিআই:ইউপিপি ১০২২(ELVI : UPP 1022)

০১

০৮

টো ল্যাসিং

কেরিম: কে ৭৮ টিপি (CERIM : K 78 TP)

০২

০৯

ব্যাকপার্ট স্টিমিং

ইএলভিআই:ইউবি৩০১০/এফ(ELVI : UB 3040/F)

০১

১০

ব্যাকপার্ট ল্যাসিং

কেরিম: কে ৫৮ ই (CERIM : K 58E)

০১

১১

পরির্শন এবং হ্যান্ড লাস্টিং

ইনসোল থেকে ট্যাক অপসারণ

০৫

১২

হট এয়ার ব্লোইং

ইএলভিআই: এসআর ২০১৮(ELVI : SR 2018)

০১

১৩

হিট সেটিং

আয়রণ ফক্স: এফ৪এ (IRON FOX: F4A)

০০

১৪

সোল পেস্টিং

সিনথেটিক পলিউরেথিন সিমেন্ট প্রয়োগ

০১

১৫

পাউন্ডিং

সিজিই: জেড ১০(CGE: Z10)

০১

১৬

হিল বিডিং/মেশিন ক্রউইং

সারিমা:ইএসএ(SAREMA:ESA)

০১

১৭

রাফিং এর জন্য রাস্ট আপার মার্কিং

রাফিং এর জন্য লাস্ট আপার মার্কিং

০১

১৮

লাস্টিং এজের রাফিং

ভোলবার:১৫২(VOLBR : 152)

০২

১৯

লাস্টেড আপার পেস্টিং

সিনথেটিক পলিউরেথিন ব্যবহার, ফিলার যোগ এবং হীল সাপোর্ট

০২

২০

ড্রাই এবং হিট রিঅ্যাকটিভেশন

আয়রণ ফক্স: এসএএস ৮১২(IRON FOX : SAS 812)

০১

২১

সোল অ্যাটাচিং

হাত দিয়ে লাস্টেড আপরা এবং সোল অ্যাটাচ

০২

২২

 

সোল প্রোসেসসিং

ল্যামেল টাইপ প্রেসার প্যাড

টেকনো ২: টি ৭২এবি (TECHNO 2:T72 AB0)

০১

কমপ্রেসড এয়ের প্যাড

আয়রণ ফক্স:এএস ১৮০০ কে ৬ (IRON FOX : AS 1800 K6)

০১

২৩

চিলিং/ কুলিং

আয়রণ ফক্সএফআর ৪২০০ ডিএম (IRON FOX :FR 4200DM)

০০

২৪

ডি লাস্টিং

সাগিটা এল ০১(SAGITTA: L01)

০১

২৫

হীল নেইলিং

বিটুসটিয়া: পিটি ৩০০০(BTUSTIA : PT300)

০২


আদ্রকরণ

·         আদ্রকরণ যন্ত্র চালু করুন।

·         তাপমাত্র সেট।

·         পানির গ্যালনে পানি দিন।

·         স্ট্রিম কন্ট্রোল সেট করুন।

·         লাস্টেড আপরে পেছনের অংশ বাষ্প প্যাডের উপরে রাখুন।

·         স্টিফেনার নরম হলে তাড়াতাঢ়ি সিট লাস্টিং অপারেশনের জন্য পাঠান।

সিট লাস্টিং

·         সিট লাস্টিং মেশিন চালু করুন ।

·         সিট ব্যান্ড চেক করুন 

·         তাপমাত্রা সেট করুন।

·         প্রেসারের পরিমণি সেট করুন।

 ·         সময় নির্ধারণ করুন।

·         জরুরি সুইচ চেক করুন।

·         সিট স্ট্যান্ড এবং টো স্ট্যান্ড এর উপর লাস্টেড আপার রাখুন।

·         হাতলটি ধরুন।

·         প্যাডেলে চাপ প্রয়োগ করুন।

·         কাজ শেষে সিট লাস্টিং চেক করুন।

·         ব্যাক হাইট চেক করুন।

·         জোড়া ম্যাচিং অনুসারে ব্যাক হাইট চেক করুন।


হিট সেটিং মেশিন

লাস্টিং মেশিন অপারেটরের কাজ বিস্তৃত পরিসরে শু মেশিন অপারেটরের কাজের মধ্যে পড়ে। এই পৃষ্ঠার তথ্যগুলো উল্লেখিত কাজের জন্য প্রয়োজন। এই কাজের জন্য বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে আরও সুনিদিষ্ট তথ্য নেয়া প্রয়োজন।

 

 

অপারেশন সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা তা লাস্টিং মেশিনে মনিটর করা হচ্ছে।




মেশিনের অবস্থা বুঝার জন্য মেশিনের যেকোনো একটি বৈশিষ্ট্য পরিমাপ করা হয়। হিসাব করে দেখা হয় যে, মেশিনের অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়েছে কিনা।বিশেষত সংকটপূর্ণ ধাপগুলোতে মেশিন ঠিকমাতো কাজ করছে কি না তা মনিটর করা হয়।


যেমন- মেশিনের তাপমাত্রা ৮৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস নির্ধারণ করা আছে তা আদৌ ৮৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস আছে কিনা থার্মোমিটারের সাহায্যে তা পরিমাপ করা। যদি তা না হয় তবে আঠা সঠিকভাবে গলে না এবং ইনসোলের সাথে আপার ভালোভাবে যুক্ত হতে পারে না।



নেইল বা তারকাঁটা অপসারণ

·         তারকাঁটা অপসারণের জন্য একটি যন্ত্র নিন।

·         লাস্টেড আপার নিন।

·         তারকাঁটাগুলো আপার থেকে অপসারণ করুন।

·         অপসারণের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন। এমন ভাবে করুন যেন তারকাঁটা ভেঙ্গে ভেতরে থেকে না যায়।

 

নির্ভুল কাজের জন্য লাস্টিং মেশিন মনিটরিং

টো, সিট সাইড লাস্টিং ও হিল মেশিন এবং লাস্টিং পদ্ধতি

লাস্টের মধ্যে ইনসোলকে আটকিয়ে নিয়ে তাতে আপার বসানো হয়। লাস্টিং মেশিনে অনেকগুলো সাঁড়াশি থাকে এবং একটি ওয়াইপার পেট সংযোজন করা থাকে। পিনচারগুলো আপারকে লাস্টের উপর দিয়ে টেনে নিয়ে শক্ত করে ধরে রাখে। তারপর টান টান করা আপারের মার্জিনকে ওয়াইপার প্লেট দিয়ে চাপ দেয়া হয়। এরপর উপর থেকে চেপে ধরে রাখা হয়। ফলে আপারের লাস্টিং মার্জিন ইনসোলের সাথে সংযুক্ত হয়।




শু টো-কে গ্লইং করার জন্য লাস্টিং মেশিনের কট্রোল ডিভাইস

লাস্টিং মেশিনের মোল্ড সেকশনে একটি ফটো ইলেকট্রিক সেন্সর লাগানো থাকে। এই সেন্সরে আলোর উৎস থাকে এবং আয়না লাগানো থাকে। মোল্ডের উপর লাস্টটি ঠিক জায়গায় না বসলে এটি সিগনাল দেয়।

 

ইনসোল এবং আপার যুক্ত করার আগে লাস্ট চেক করা

·         একটি ইনসোলকে লাস্ট থেকে আলাদা করে সমতল প্যাটার্ন পেপারের উপর রাখুন।

·         বটম প্রোফাইল করুন।

·         টো পজিশন এবং হিল পজিশনের মধ্যবর্তী পয়েন্টে মার্ক করুন।

·         ১/৩ অংশে আড়াআড়ি একটি লাইন টানুন।

·         এই লাইন থেকে ১ মি.মি. কেটে নিন। তারপর দুটো পার্টকে মাস্কিন টেপ দিয়ে আটকিয়ে দিন।

·         ইনসোলটি উৎপাদনকারীর জন্য প্রস্তুত।

মানুষের পায়ের পাতার অনুরূপ আকৃতিকে লাস্ট বলে। লাস্ট জুতার ডিজাইন, ফিটিং এবং জুতা তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়।

·         জুতা উৎপাদন করতে বা মেরামত করতে এটি ব্যবহৃত হয়।

·         লাস্ট সাধারণত বিভিন্ন ধরনের ম্যাটেরিয়াল, যেমন- শক্ত কাঠ, ঢালাই লোহা, উচ্চ ঘনত্বের প্লাষ্টিক দি তৈরি করা হয়। লাস্টের আকৃতি, জুতার আকৃতি অর্থাৎ দৈর্ঘ্য, প্রস্থ অনুযায়ী হয়।

·         লাস্ট মানুষের পায়ের আকৃতির হয়ে থাকে।

·         লাস্ট মানুষের পায়ের আকৃতি গঠনের তথ্য দেয়। এটি আরামদায়ক ও ফ্যাশনেবল জুতা তৈরি কর সাহায্য করে।


শু-লাস্টের বিভিন্ন অংশ



হাতের সাহায্যে লাস্টের সাথে ইনসোল সংযুক্তকরণ

১। অন্তত একটি ইনসোলযুক্ত শু-লাস্টের নিচে একটি নিরাপদ ও সংরক্ষিত অংশ থাকে। এর প্রসারিত প্রান্ত লাস্টের নিচের অংশ থেকে বল প্রয়োগ করে ইনসোল কাটা হয়। এই ইনসোলের দৈর্ঘ্য বরাবর বর্ধিত অংশ ও প্রস্থ বরাবর প্রসারিত অংশ ইনসোলকে লাস্টের সাথে ধরে রাখে।

২। ক্লেইম ১ অনুযায়ী সংরক্ষিত অংশ লাস্টের নিচে সামনের অংশে অবস্থান করে এবং কর্তনকৃত প্রাপ্ত প্রস্থ বরাবর বর্ধিত ইনসোলের উপদানগুলোকে প্রান্তের মাঝে ধরে রাখে। ফলে ইনসোল লাস্টের সাথে সংযুক্ত হয়।

৩। ক্লেইম ১ অনুযায়ী শু-লাস্টের কর্তনকৃত প্রান্তগুলো সক্রিয় হয়।

৪। ক্লেইম ১ অনুযায়ী শু-লাস্টের হিলের পেছনের অংশের প্রান্ত বাঁকানো থাকে। ফলে সম্পন্ন জুতা থেকে লাস্ট সরানো সহজ হয়।


৫। ক্লেইম ১ অনুযায়ী শু-লাস্টের কর্তনকৃত প্রান্তগুলো দৈর্ঘ্য বরাবর তৈরি হয়। এর স্টেম অংশ লাস্টের সাথে দৃঢ়ভাবে

গেঁদে যায়।

৬। লাস্টের নিচে ইনসোল কাটার একটি অস্থায়ী পদ্ধতি আছে। লাস্ট কাটতে পারে এমন প্রান্ত বিশিষ্ট সংরক্ষিত অংশ

আছে। এই অংশের নিচে ইনসোলকে রেখে চাপ প্রয়োগ করে ইনসোল কাটতে হয়। ফলে ইনসোল সঠিক মাপে কেটে যায় এবং লাস্টের নিচে আটকে থাকে।

-সাইজ অনুযায়ী ইনসোল এবং আপার সংযুক্ত করার পূর্বে লাস্ট চেক করুন। লাস্টের সাথে ইনসোল সংযুক্ত করুন।

-হাত দিয়ে সাইজ এবং জোড়া ম্যাচ করে লাস্টের শেপ ঠিক করুন।

 

হাতের সাহায্যে লাস্টের সাথে আপার সঠিকভাবে বসান।




স্টিম চেম্বার

স্টিম চেম্বারের সাথে মেশিন স্থাপন করা হয়। ফলে শু-আপারের প্রবেশ পয়েন্টে আর্দ্রতা যুক্ত হতে পারে।

 

‘জে’ বক্স

ট্রিটমেন্ট চেম্বারে ফিডেড হওয়ার আগে শু-আপার কয়েক সেকেন্ড এর জন্য 'জে' বক্স এ থাকবে। তাপের কারণে ফাইবার বা তন্ত্র নরম হবে। জে বক্সে অবস্থানের জন্য প্রত্যেক তন্ত্র আর্দ্রতা শোষণ করতে পারে।

 

প্রবেশ পয়েন্ট

প্রবেশ পয়েন্টে শু-আপার ট্রিটমেন্ট চেম্বারে গাইডেড হবে। এখানে একটি পূর্বনির্ধারিত অ্যাডজাস্টেবল স্ট্রাকচার শু-আপারকে প্রয়োজন অনুযায়ী আকৃতি দেবে।

 

ট্রিটমেন্ট চেম্বার

ট্রিটমেন্ট চেম্বারে প্রবেশ পয়েন্টের ওপর এমনভাবে ডিজাইন করা হবে যেন এটি শু-আপারকে তাপ প্রয়োগে প্রয়োজনীয় আকৃতি দান করে। চেম্বারের ভেতর পূর্বে স্থাপিত যন্ত্রটি তাপ ছড়াতে শুরু করে এবং শু-আপার চেম্বার থেকে যথাযথ তাপ পেতে থাকে। এটি সব রকমের সিনথেটিক এবং ব্লেন্ডেড জুতার জন্য আবশ্যক।

 

স্টিল রোলার

ট্রিটমেন্ট চেম্বারের ওপরে স্থাপিত স্টিল রোলার তন্ত্রকে তাপের মাধ্যমে সুন্দর ফিনিশিং দেয়। তারপর কনভেয়ারের সাহায্যে শু আপার কুলিং যন্ত্রে পৌঁছে যায়।

 

কুলিং চেম্বার

কুলিং চেম্বার প্রবাহক এর সাথে যুক্ত থেকে ট্রিটমেন্ট চেম্বার থেকে বের হয়ে আসা শু-আপারকে ঠান্ডা করে। এই পদ্ধতি শু-আপার থেকে শুধুমাত্র তাপ শোষণ করে না, বরং এটি শু-আপারকে রং পরিবর্তন করা থেকেও রক্ষা করে। কারণ শু-আপার যখন গরম থাকে তখনে রং পরিবর্তন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

 

ট্রলি

অ্যাডজাস্ট করা যায় এমন বৈদ্যুতিক যন্ত্রের (ডিভাইস) সাথে চলমান ট্রলি প্রতিস্থাপিত হয়ে শু-আপারকে একটি সমান ভাঁজ প্রদান করে এবং ফিনিশের প্রস্থ মজবুত রাখে।


কন্ট্রোল প্যানেল

ইনভারটারের সাহায্যে চালিত ওয়ান টাচ কন্ট্রোল প্যানেল সহজভাবে মেশিন চালাতে সাহায্য করে। মোটরটি শু-আপারকে যথাযথভাবে প্রস্তুত করে তোলে। এটি তন্তুর গিট এবং পেঁচ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্যে করে।


সোল মার্কিং

·         সোল মার্কিং মেশিনের কম্প্রেশার এর চাপ চালু করুন।

·         হাতের চাপ নির্ধারণ করুন।

·         মার্কিং প্যাড এ সোল রাখুন।

·         সোলের উপর লাস্টেড আপার সঠিকভাবে স্থাপন করুন।

·         হাতলে চাপ দিন।

·         সিলভার কলম দিয়ে আপার চিহ্নিত করুন।

·         চাপ ছেড়ে দিন ।

·         মার্কিং চেক করুন।

আপার এবং সোলে আঠা প্রয়োগ

·         আঠার পাত্রে পিইউ আঠা ঢালুন।

·         হার্ডেনার পিইউ আঠার সাথে মেশান।

·         মুখোশ পরিধান করুন।

·         হাতমোজা পরিধান করুন।

·         আঠা প্রয়োগ করতে একটি ব্রাশ নিন।

·         পারের রাফিং অংশে আঠা প্রয়োগ করুন।

·         সোলের নিচের অংশে আঠা প্রয়োগ করুন।

·         অতিরিক্ত আঠা প্রয়োগ করবেন না।

বটম ফিলারের প্রয়োগ

·         উপযুক্ত বটম ফিলার সংগ্রহণ করুন।

·         আপারের এবং সোলের শূন্যস্থানের গভীরতা অনুযায়ী ফিলারের পুরুত্ব নির্ধারণ করুন।

·         ফিলারের ধরন অনুযায়ী দুই স্তরের আঠা প্রয়োগ করুন।

·         ফিলারের আকৃতি অবশ্যই সোলের বা আপারের শূন্যস্থানের আকৃতির সাথে মিল থাকতে হবে।



·         লক্ষ রাখুন যেন লাস্টিং মার্জিনের ওপর উঠে না যায়।

·         ফিলারটি শুকিয়ে গেলে লাস্টেড আপারের সাথে যুক্ত করু

   

     ফুল ইনসোল

জুতার আপার উপকরণে ইনসোল সংযুক্তকরণ






হিট রিঅ্যাকটিভেশন

·         হিট রিঅ্যাকটিভেশন মেশিন চালু করুন।

·         তাপমাত্রা সেট করুন।

·         বেল্ট স্পিড সেট করুন।

·         জরুরি সুইচ চেক করুন।

·         লাইটের সময়কাল সেট করুন।

·         রিঅ্যাকটিভেশন শেষে তাড়াতাড়ি বিপরীতভাবে আপারকে সোলের সাথে সংযুক্ত করার জন্য পাঠান।


সকস লাগানোর জন্য আঠা প্রয়োগ করা

·         আঠার কৌটায় আঠা ঢালুন।

·         মুখোশ ও হাতমোজা পরিধান করুন।

·         নির্দিষ্ট সাইজের ব্রাশ নিন।

·         সকস ও লোগো চেক করুন।

·         সকস উল্টা করে নিন।

·         সকেস আঠা প্রয়োগ করবেন না।

·         অতিরিক্ত আঠা প্রয়োগ করবেন না।

·         সতর্কতার সাথে আঠা লাগান।




শু-লাস্টিং

·         একটি লাস্ট নিন।

·         আপার নিন।

·         লাস্টের ওপর আপার স্থাপন করুন।



টো-লাস্টিং

·         লাস্টের ওপর আপারকে টানুন।

·         টো এর ওপরে ক্লিপ দিয়ে ধরুন।

·         আপারকে লাস্টের ওপর দিয়ে নিচের দিকে টানুন।

·         পিনচারগুলো সাইড দিয়ে ঠিক করে নিন।

ইনসোলটি সঠিক জায়গায় রাখুন।


সিট লাস্টিং

·         লাস্টকে মেশিনের হোল্ডিং পিনে স্থাপন করুন।

·         মেশিনের পেছনে আস্তে আস্তে ধাক্কা দিন।

·         লাস্টার গ্রিপস নিশ্চিত করুন।

·         নেইলার সচল করুন।


সাইড লাস্টার

·         লাস্টকে সিট লাস্টার থেকে আলাদা করুন।

·         পিনের ওপর লাস্টকে রাখুন।

·         আপারকে তুলে ফেলার জন্য পিনচার ব্যবহার করুন।

·         এক সাইডে কাজ করুন।

·         অন্য সাইডে অনুরূপ কাজ করুন।



সোল তৈরি

·         উভয় হাতে জুতা ধরুন।

·         জুতার কোণায় যাতে হাতের আঙ্গুল না লাগে তা নিশ্চিত করুন।

·         রাফার দ্বারা সোল প্রদর্শন করুন।

·         উজ্জ্বল সারফেস প্রান্তের কাছে যাবে না।


সোলের জন্য প্রস্তুতি

·         আপার বেইস এর আঠা প্রয়োগ করুন।

·         হিট বারের ওপর আঠা অ্যাকটিভ করুন।

·         সোল এবং আপার অ্যাডজাস্ট করুন।

·         একত্রিত করুন।

·         আঠা লেগেছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য প্রেস করুন।

 

যখন অতিরিক্ত অংশ কেটে ফেলবেন তখন কাজটি শেষ করার জন্য র‍্যাম্প (rasp) ব্যবহার করুন। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে যে, জুতার মাঝখান দিয়ে র‍্যাম্প (rasp) চালানো হয়। তা না করে অন্য দিক দিয়ে র‍্যাম্প (rasp) লাস্ট থেকে লাইনিং তুলে ফেলতে পারেন।



১. পিনচারের চোয়ালের ভেতর আপার ফিড করার ত্রুটি


কারণসমূহ

১. লাস্ট অধিক উচ্চতার হওয়া।

২. আপার খুব ছোট হওয়া।

৩. পিনচারগুলো নিচে সেট হওয়া।

৪. লাস্টের আকৃতির সাথে পিনচারগুলো সেট না হওয়া।

সংশোধন

১. লাস্ট সাপোর্ট প্লেটটিকে নিচু করা।

২. সঠিক সাইজের আপার ব্যবহার করা।

৩. পিনচারগুলোকে একটু ওপরের দিকে উঠানো।

৪. লাস্টের আকৃতির সাথে পিনচারগুলো সেট করে নেয়া।


২। সব দিকে দুর্বল আপার টেনশনের ত্রুটি



কারণসমূহ

১. লাস্ট সাপোর্ট প্লেটের উপরের দিকে অপর্যাপ্ত পরিমাণ উঠে যাওয়া।

২. সামনের দিকের পিনচারের পুলিং প্রেসার অপর্যাপ্ত হওয়া।

সংশোধন

১. লাস্ট সাপোর্ট প্লেটের রেস্ট পজিশনকে নিচু করে দেয়া।

২. পিনচারের পুলিং প্রেসার বাড়ানো।

৩। আপার ছিঁড়ে যাওয়া



কারণসমূহ

১. লাস্ট সাপোর্ট প্লেটের ওপরের দিকে অধিক উঠে যাওয়া।

২. সামনের দিকের পিনচারের পুলিং প্রেসার হওয়া।

সংশোধন

১. লাস্ট সাপোর্ট প্লেটের রেস্ট পজিশনকে একটু উপরের দিকে উঠানো।

২. পিন্সারের পুলিং প্রেসার কমানো।


৪। আপারের উপরের টো অংশে দাগ পড়া


কারণসমূহ

১. বিডিং প্রেসার বেশি হওয়া।

২. ক্ষতিগ্রস্থ টো প্যাড কভার ব্যবহার করা।

সংশোধন

১. বিডিং প্রেসার কমানো।

২. ক্ষতিগ্রস্থ টো-প্যাড কভার পরিবর্তন করা।


৫। অস্পষ্ট ফেদার এইজ এর ত্রুটি




কারণসমূহ

১. ওয়াইপিং প্রেসার কম হওয়া।

২. টো-ব্যান্ডের আকৃতি সঠিক না হওয়া।

৩. টো-ব্যান্ড প্রেসার কম হওয়া।

৪. সঠিকভাবে টো-পাফ অ্যাকটিভেশন না করা।

৫. নির্ধারণকৃত ওয়াইপার প্লেট সঠিক না হওয়া।

 

সংশোধন

১. ওয়াইপি প্রেসার বাড়ানো।

২. লাস্টের টো এর আকৃতির অনুরূপ টো-ব্যান্ড ব্যবহার করা।

৩. টো-ব্যান্ড প্রেসার বাড়ানো।

৪. সঠিকভাবে টো-পাফ অ্যাকটিভেশন করা।

৫. সঠিক আকৃতির ওয়াইপার প্লেটের ব্যবহার করা।

৬। ক্ষতিগ্রস্থ ইনসোল




কারণসমূহ

১. লাস্ট সাপোর্টের অ্যাঙ্গেল সঠিকভাবে অ্যাডজাস্ট না করা।

২. লাস্ট সাপোর্টের প্লেট খুব নিচু হওয়া।

৩. ভুল আকৃতির ইনসোল ব্যবহার করা।

৪. ইনসোল অনেক বড় হওয়া।

সংশোধন

১. লাস্ট সাপোর্টের অ্যাঙ্গেল ঠিক করা।

২. লাস্ট সাপোর্ট প্লেটকে উঠানো।

৩. সঠিক আকৃতির ইনসোল ব্যবহার করা।

৪. সঠিক সাইজের ইনসোল ব্যবহার করা।



৭। আপারের টো তে ত্রুটি


কারণসমূহ

১. অতিরিক্ত ওয়াইপিং প্রেসার।

২. ওয়াইপার প্লেট খুব ছোট হওয়া।

৩. লাস্ট সাপোর্ট প্লেট খুব নিচু।

 

সংশোধন

১. ওয়াইপিং প্রেসার কমানো।

২. সঠিক আকৃতির ওয়াইপার প্লেট ব্যবহার করা।

৩. লাস্ট সাপোর্ট প্লেট উঠানো।



৮। লাস্ট এবং আপারের মধ্যে সিমেন্ট প্রবাহের ত্রুটি।



কারণসমূহ

১. ইনসোল প্লেট (ক্রাউন) খুব বড় হওয়া।

২. পর্যাপ্ত পরিমাণ সিমেন্ট ফিড করা।

৩. ইনসোল ছোট হওয়া।

 

সংশোধন

১. সঠিক আকৃতির ইনসোল প্লেট (ক্রাউন) ব্যবহার করা।

২. সিমেন্ট ফিড কমানো।

৩. সঠিক সাইজের ইনসোল ব্যবহার করা।


৯। সিমেন্ট ইনজেকশন না হওয়া সংক্রান্ত ত্রুটি.

কারণসমূহ

১. সিমেন্ট সাপ্লাই সুইচ বন্ধ থাকা।

২. সিমেন্ট রিল খালি হয়ে যাওয়া।

৩. ঠান্ডা ইনসোল প্লেট (ক্রাউন) ব্যবহার করা।

৪. থার্মোক্যাবল ক্ষতিগ্রস্থ বা ঢিলে হয়ে যাওয়া।

 

সংশোধন

১. সিমেন্ট সাপ্লাই সুইচ অন করা।

২. নতুন সিমেন্ট রিল সরবরাহ করা।

৩. ইনসোল প্লেট চেক করা।

৪. থার্মোক্যাবল চেককরা বা পরিবর্তন করা।


১০। লাস্টেড মার্জিন উঁচু হয়ে থাকা




কারণসমূহ

১. ডুয়েল টাইম পর্যাপ্ত না হওয়া।

২. হিটিং টাইম পর্যাপ্ত না হওয়া।

৩. ওয়াইপার প্লেটের প্রেসার খুব কম হওয়া।

৪. ইনসোল প্লেটের তাপমাত্রা কম হওয়া।

৫. পর্যাপ্ত পরিমাণ আঠা প্রয়োগ না হওয়া।

সংশোধন

১. ডুয়েল টাইম বাড়ানো।

২. মেশিন গরম না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা।৩. ওয়াইপার প্লেটের প্রেসার বাড়ানো।

৪. ইনসোল প্লেটের তাপমাত্রা বাড়ানো

৫. পর্যাপ্ত পরিমাণ আঠা প্রয়োগ করা।


১১। অসমান লাস্টিং মার্জিন


কারণসমূহ

১. পিনচারের ভেতরে আপার ঠিকমতো ফিড না হওয়া।

সংশোধন

১. পিনচারের ভেতরে সমানভাবে আপার ফিড করা।


কর্মস্থল পরিষ্কার করা

একজন অপারেটর যখন কনভেয়ার থেকে লাস্ট এবং অন্যান্য ম্যাটেরিয়ালগুলো তুলে নেন তখন তাকে পরিষ্কার পরিছন্নতা বিষয়ক কিছু কাজ সম্পন্ন করতে হয়। যেমন-

১. লাস্টিং উপকরণগুলো প্যাকেট করা।

২. লাস্ট এবং জুতা জোড়া অনুযায়ী গণনা করা।

৩. অব্যবহৃত উপকরণগুলো ফেরত দেয়া।

৪. শিল্পকারখানার বর্জ্যগুলো নির্দিষ্ট স্থানে ফেলে দেয়া।

যন্ত্রপাতি পরিষ্কার করা এবং স্টোর করা

কর্মস্থলের অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলোকে তুলে ফেলে দিতে হবে যাতে কোনো ব্যক্তি আঘাত না পায়। বা বস্তুর উপরে পড়ে না যায়। মেঝে সবসময় পরিষ্কার ও শুকনা রাখতে হবে। কারণ পিচ্ছিল মেঝে খুবই বিপজ্জনক।

বর্জ্য অপসারণ

কর্মস্থলের অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলোকে তুলে নিয়ে একটি নির্দিষ্ট স্থানে জড়ো করতে হবে। এই অপ্রয়োজনীয় বর্জ্যগুলো যদি পুনরায় ব্যবহার উপযোগী হয় তবে তা থেকে আবার অন্য কিছু তৈরির জন্য কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। অথবা যদি কোনোভাবেই ব্যবহার করা না যায় তবে কারখানার আইন অনুসারে মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে।