অম্বুশিং এন্ড স্ট্যাম্পিং অপারেশন
২ সপ্তাহ
এই মডিউলটিতে অংশগ্রহণকারীদের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যের সন্নিবেশ করা হয়েছে যা তাদের সম্পন্ন করতে হবে। শুরুতেই মডিউলের উদ্দেশ্য সংক্ষিপ্ত পটভূমি দেওয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতি বা দৃশ্যপট তুলে ধরা হয়েছে যেখানে মডিউল থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান প্রয়োগ করা যায়। পাশাপাশি শিখনফলও এখানে বর্ণনা করা হয়েছে।
শিখনফল
এই মডিউলটি সম্পন্ন করার পর, অংশগ্রহণকারীগণ অবশ্যই-
১. বিভিন্ন ধরনের স্ট্যাম্পিং এবং এম্বোসিং মেশিন ব্যবহারের মাধ্যমে স্ট্যাম্পিং এবং এম্বোসিং এর বিভিন্ন কাজ
২. করার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার বিষয়য়াদি ও নিয়মাবলী সম্পর্কিত ও এসএইচ নীতিমালা অনুসরণ করতে পারবেন।
৩. রং, শেড ও পুরুত্ব অনুসারে গুণগত মানসম্পন্ন বিভিন্ন ধরণের উপকরণ সনাক্ত করতে পারবেন।
৪. স্ট্যান্ডার্ড পদ্ধতি এবং পরিচালনা নির্দেশনা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের মেশিন রক্ষণাবেক্ষণ ও সেট করতে পারবেন।
৫. বিভিন্ন ধরণের স্ট্যাম্পিং ও এম্বোসিং মেশিন ব্যবহার করে এসওপি সম্পর্কিত নির্দেশনা অনুযায়ী স্ট্যাম্পিং এম্বোসিং এর বিভিন্ন কাজ করার জন্য স্ট্যাম্পিং এবং এম্বোসিং উপকরণের বিভিন্ন ধরন সনাক্ত করে গুনগত মান চেক করতে পারবেন।
পারফমেন্স ক্রাইটেরিয়া
১. উপকরণ ও যন্ত্রপাতি ব্যবহারের পূর্বে, ব্যবহারের সময় ও পরে নিরাপত্তার সকল বিষয়াদি এবং নিয়ম-কানুন সমূহ মেনে চলতে পারবেন।
২. উপকরণ ও যন্ত্রপাতি ব্যবহারের পূর্বে, ব্যবহারের সময় ও পরে যথাযথ নীতিমালা অনুসরণ করে ঝুঁকিপূর্ণ বা অনিরাপদ যন্ত্রপাতি চিহ্নিত ও মেরামত করতে পারবেন।
৩. ব্যাক্তিগত নিরাপত্তাজনিত পোশাক পরিধান করতে পারবেন।
৪. কাজের জায়গা ঠিক করে কর্মীদের জন্য আরামদায়ক এবং অবসাদ হ্রাস করতে পারবেন।
৫. যন্ত্রপাতি পরিষ্কার করে এবং সেটি ব্যবহার উপযোগী কিনা তা চেক করতে পারবেন।
৬. এম্বোসিং ও স্ট্যাম্পিং প্লেটগুলো নিয়মিতভাবে পরিষ্কার, চালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারবেন।
৭. স্ট্রাইকার প্লেটগুলো ব্যবহার উপযোগী কিনা, বিকৃত বা ক্ষয়ে যাচ্ছে কিনা তা চেক করতে পারবেন।
৮. নথিপত্র যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারবেন।
৯. নির্ধারিত চাহিদা অনুযায়ী উপকরণ চেক করতে পারবেন
১০. ওয়ার্ক অর্ডার অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের উপকরণ এবং ফিনিসড পণ্য চেক করতে পারবেন।
১১. রং, শেড, পুরুত্ব এবং ফিনিশ অনুযায়ী চেক করে উপকরণ বাছাই করতে পারবেন।
১২. কর্মক্ষেত্রের মানদন্ড অনুযায়ী সন্তোষজনকভাবে গুণগতমান ঠিক রেখে পণ্যের উৎপাদন করার জন্য ডাইস ও প্যাটান ব্যবহার করতে পারবেন।
১৩. নিরাপত্তা নীতিমালা অনুসারে যন্ত্রপাতি সঠিকভাবে বালু ও বন্ধ করতে পারবেন।
১৪. আকার ও আকৃতি অনুযায়ী প্রেনের প্রেসার সেটিং করতে পারবেন।
১৫. কর্মক্ষেত্রের গুণগতমান বজায় রেখে স্ট্যাম্পিং এবং এম্বোসিং যন্ত্রপাতি ত্রুটিযুক্ত কিনাঅথবা কোথাও অসমান ফিনিশিং হয়েছে কিনা তা চেক করতে পারবেন।
১৬. প্রেস স্ট্যাম্পিং ও এম্বোসিং ছুরি, ডাইস এবং স্ট্যাম্পিং ও এম্বোসিং বোর্ডের ত্রুটি চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবেন।
১৭. কর্মক্ষেত্রে নির্ধারিত গুণগতমানের ভিত্তিতে প্রস্তুত পণ্যের ফিনিসিং চেক ও বাছাই করতে পারবেন।
১৮. ত্রুটিসমূহ নথিভূক্ত করতে পারবেন।
১৯. কর্মক্ষেত্রের নির্ধারিত গুনগতমান অনুযায়ী কর্মএলাকা ও যন্ত্রপাতি পরিষ্কার করতে পারবেন।
২০. প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী বর্জ্য অপসারণ করতে পারবেন।
বিষয়
শিখনের এই অংশে নিমোক্ত বিষয়সমূহ অন্তভুক্ত করা হয়েছে-
১. ইনফরমেশন শিট
২. সেলফ চেক শিট
৩. উত্তরপত্র
৪. জব শিট
৫. স্পেসিফিকেশন শিট
৬. কার্যক্রমপত্র
জেনেরিক
অকুপেশন
ইনফরমেশন শিট-১
ব্যক্তিগত নিরাপত্তাজনিত উপকরণ ব্যবহার
১. প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও উপকরণ ব্যবহারের পূর্বে, ব্যবহারের সময় ও পরে নিরাপত্তাজনিত নিয়মকানুনসমূহ মেনে চলা।
২. ব্যক্তিগত নিরাপত্তাজনিত পোশাক পরিধান করা।
নিরাপত্তা চাহিদা
১. অপারেটর শুধুমাত্র ডান পা দিয়ে মেশিন পরিচালনা করবেন।
২. যে ডাইসটি ব্যবহার করবেন তা প্রেসার প্লেটে রাখবেন।
৩. মেশিন চালানোর সময় এম্বোস বা স্ট্যাম্পিং প্লেট দরবেন না।
৪. গরম ডাইস বা ছাঁচ ধরবেন না।
৫. মেশিন ব্যবহার শেষ হলে বন্ধ করে দেবেন।
৬. ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান এরিয়ে চলবেন। লক্ষ রাখবেন যেন তা মেশিনে আটকে না যায়।
৭. যন্ত্রপাতির কাছে লম্বা চুল বা ঢিলেঢালা পেশাক এড়িয়ে চলবেন।
৮. তীক্ষè ধারবিশিষ্ট ছুরি বা পিন ব্যবহারের সময় সতর্কতা অবলম্বন করবেন যেন তা হাতে ঢুকে না যায়।
৯. ডাইস বের করার জন্য কখনোই প্রেস বা বিমের নিচে হাত বা আঙ্গুল রাখবেন না।
১০. মেশিন বন্ধ করার পর প্লেটে কিছু রাখবেন না। কারন মেশিন বন্ধ করার পর বিম স্বয়ংক্রিয়ভাবে এম্বোসিং ও স্ট্যাম্পিং বোর্ডের ওপর নেমে আসে।
১১. অসতর্কভাবে যন্ত্রপাতির কাছে কাজ করবেন না।
১২. ফায়ার ড্রিল সম্পর্কে জেনে নেবেন।
১৩. বৈদ্যুতিক মেরামতের কাজ নিজে করবেন না।
নিয়ম-কানুন ও নীতিমালা
১৪. পরিচয়পত্র ব্যবহার করুন।
১৫. এপ্রোন ব্যবহার করুন।
১৬. কাজের সময় মেনে চলুন।.
১৭. উপস্থিতি যথাসময়ে নিশ্চিত করুন।
১৮. কর্মক্ষেত্র সর্ম্পকে সচেতন থাকুন।
১৯. কর্মক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় চলাফেরা পরিহার করুন।
২০. কর্মক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় কথা পরিহার করুন।
২১. অন্যকে বিরক্ত করবেন না।
২২. মেডিকেল সেন্টারে গেলে মেডিকেল কার্ড ব্যবহার করুন।
২৩. টয়লেটে গেলে টয়লেট কার্ড ব্যবহার করুন।
ব্যক্তিগত নিরাপত্তাজনিত পেশাক সনাক্তকরণ ও ব্যবহার
১. হাত মোজা
২. মুখোশ (মাস্ক)
৩. এপ্রোন
পাওয়ার টুলস্ এবং যন্ত্রপাতি-
আপনি বাই-সাইকেল বা আসবাপত্রের মতো কোন হার্ডওয়ার এর দোকানে কাজ করতে পারেন অথবা ব্যবসা করতে পারেন। এইসব দোকানে পণ্য একত্রিত করতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনাকে পাওয়ার সাপ্লাই যন্ত্র ব্যবহার করতে হবে। অনেক সময় কমপ্যাক্টর, ডক লেভেলার, কার্টুন ক্রাশার, মিট স্লাইসার অথবা অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী প্রস্তুতকারী যন্ত্রের মতো পাওয়ার সাপ্লাই যন্ত্র ব্যবহার করতে হতে পারে। এই যন্ত্র বা উপকরণগুলো সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বা অসতর্কভাবে ব্যবহার করলে মারাত্মকভাবে আহত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
কাজ শুরু করার পূর্বে যা করতে হবে-
১. প্রশিক্ষণ না পেলে অথবা অনুমোদিত না হলে কখনোই পাওয়ার সাপ্লাই যন্ত্র বা উপকরণ ব্যবহার করবেন না। নিরাপদ কর্মপদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
২. যন্ত্রপাতি ব্যবহারের পূর্বে চেক করবেন। শুধুমাত্র ভালো অবস্থায় থাকা যন্ত্রপাতিই ব্যবহার করতে হবে। পাওয়ার কার্ড ছিড়েঁ গেছে কিনা বা সংযোগ ঢিলে হয়ে গেছে কিনা (প্লাগ থেকে তারে, তার থেকে যন্ত্রপাতিতে), স্ট্যাম্প বা এম্বোসিং এর মূল সংযোগ দুর্বল কিনা তা প্রতিদিন চেক করতে হবে।
৩. শব্দ সুরক্ষাকারী উপকরণ ব্যবহার হবে এবং চুল লম্বা হলে পিছনে বেঁধে রাখতে হবে।
৪. সকল প্রতিরোধকারী এবং সুরক্ষাকারী যন্ত্র সঠিক স্থানে আছে কিনা এবং ভালোভাবে কাজ করছে কিনা তা চেক করতে হবে। যেকোনো যন্ত্র ঢোকানোর সময় পাওয়ার সুইচ বন্ধ করে নিতে হবে। তবে শুধুমাত্র অপারেটর কর্তৃক যন্ত্রটি চালু করা উচিত।
যন্ত্র চালু অবস্থায় থাকলে যা করতে হবে-
৫. পাওয়ার সাপ্লাই যন্ত্র চালু অবস্থায় সেখানে উপস্থিত থাকতে হবে।
৬. মেশিন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত চালু মেশিনের কাচ থেকে দূরে যাওয়া যাবে না। মেশিন বন্ধ করার পর পাওয়ার সাপ্লাই যন্ত্রের পাখা ঘোরানো বন্ধ হতে মাত্র কয়েক সেকেন্ড সময় লাগে। তবুও পুরাপুরি বন্ধ নিশ্চিত না করা পর্যন্ত আঘাত করার সম্ভাবনা তেকেই যায়।
৭. মেশিনের চলমান অংশগুলো থেকে হাত দূরে রাখতে হবে।
৮. কাটিং অংশটি যেন কখনোই পাওয়ার কার্ডের সংস্পর্শে না আসে তা নিশ্চিত করতে হবে।
৯. সবসময় সতর্কতার সাথে মেশিনের ওপর নিয়ন্ত্রন রাখতে হবে।
১০. টুলস্ অ্যাডজাষ্টমেন্ট করার আগে পাওয়ার সাপ্লাই বন্ধ করতে হবে। দুর্ঘটনাবশত কখনো কখেনো হঠাৎ মেশিন চালু হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এজন্য অ্যাডজাস্টমেন্ট বা সেটিং পরিবর্তন করার আগে প্লাগ খুলে
১১. রাখা বা লক আউট করে রাখা উচিত।
সেলফ চিক শিট-১
প্রশ্ন-১
সটিক শব্দ দ্বারা শূন্যস্থান পূরণ করুন।
ক. মেশিন ব্যবহার না হলে সুইচ.....করুন।
খ. প্লেট বোর্ডে কাঁচি এবং ডাইস.....উচিত নয়।
গ. ..........ড্রিল সর্ম্পকে জেনে নিন।
ঘ. নিজে...... মেরামতের কাজ করার চেষ্টা করবেন না।
ঙ. ....... পোশাক পরিধান করবেন না।
চ. কর্মক্ষেত্রে.......নরাচড়া করবেন না।
ছ. চুল কাঁধ ছাড়িয়ে গেলে......ব্যবহার করুন, অথবা চুল পেছনে ......... রাখুন।
প্রশ্ন-২
কর্মক্ষেত্রে কাজ করার সময়কার নিরাপত্তা নীতিমালাগুলো কী কী ?
প্রশ্ন-৩
মেশিন চালানোর সময় এম্বোসিং এবং স্ট্যাম্পিং করার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা উপকরণের কমপক্ষে ৪টি নাম লিখুন।
উত্তরপত্র-১
উত্তর-১
ক. মেশিন ব্যবহার না হলে সুইচ বন্ধ করুন।
খ. প্লেট বোর্ডে কাঁচি এবং ডাইস ব্যবহার উচিত নয়।
গ. ফায়ার ড্রিল সর্ম্পকে জেনে নিন।
ঘ. নিজে বৈদ্যুতিক মেরামতের কাজ করার চেষ্টা করবেন না।
ঙ. ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করবেন না।
চ. কর্মক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় নরাচড়া করবেন না।
ছ. চুল কাঁধ ছাড়িয়ে গেলে হেয়ার ব্যান্ড ব্যবহার করুন, অথবা চুল পেছনে বেঁধে রাখুন।
উত্তর-২
কর্মক্ষেত্রে ব্যবহৃত নিয়মকানুন ও নীতিমালা
১. পরিচয়পত্র ব্যবহার করুন।
২. এপ্রোন ব্যবহার করুন।
৩. কাজের সময় মেনে চলুন।.
৪. উপস্থিতি যথাসময়ে নিশ্চিত করুন।
৫. কর্মক্ষেত্র সর্ম্পকে সচেতন থাকুন।
৬. কর্মক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় চলাফেরা পরিহার করুন।
৭. কর্মক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় কথা পরিহার করুন।
৮. অন্যকে বিরক্ত করবেন না।
৯. মেডিকেল সেন্টারে গেলে মেডিকেল কার্ড ব্যবহার করুন।
১০. টয়লেটে গেলে টয়লেট কার্ড ব্যবহার করুন।
উত্তর-৩
কর্মক্ষেত্রে মেশিন পরিচালনার সময় ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য অবশ্যই যেসব নিরাপত্তা উপকরণ ব্যবহার করতে হবে তা হলো-
১. নিরাপদ চশমা.
২. হাত মোজা
৩. মুখোশ (মাস্ক)
৪. এপ্রোন
জব শিট-১
জব টাস্ক-উপকরণ যন্ত্রপাতি ব্যবহারের পূর্বে, ব্যবহার কালে ও পরে নিরাপত্তার সকল নিয়মকানুন মেনে চলা।
চিত্র-দুই হাতে কাজ করার সময়
এম্বোসিং এবং স্ট্যাম্পিং প্লেট ধরবেন না।
গরম ডাইস ধরবেন না।
অন্য কারো সাথে কথা বলবেন না।
ব্যবহার না হলে গ্রাইন্ড স্টোনের সুইচ বন্ধ রাখুন।
সবসময় অ্যালেন চাবি ব্যবহার করুন।
কাঁচি বা ডাইস জাতীয় কোনো কিছুর অনুমতি দেবেন না।
নিজেই বৈদ্যুতিক মেরামতের কাজ করার চেষ্টা করবেন না।
এম্বোস প্লেটে মাসকিন টেপ, ডাইস ও অ্যালেন চাবি রাখবেন না।
ফায়ার ড্রিল সম্পর্কে জেনে নিন।
চুল কাঁধ ছাড়িয়ে গেলে হেয়ার ব্যান্ড ব্যবহার করুন অথবা চুল পেছনে বেঁধে রাখুন।
এটি নিরাপদ চশমা। মেশিন অপারেশসেন সময় নিরাপদ চশমা ব্যবহার করুন।
মেশিন অপারেশনেরসময় নিরাপদ মাস্ক ব্যবহার করুন। এই মাস্ক আপনার মুখকে রক্ষা করবে।
এটি এপ্রোন
মেশিন অপারেশনের সময় নিরাপদ এপ্রোন ব্যবহার করুন এই এপ্রোন আপনার শরীরকে রক্ষা করবে।
এটি হাত মোজা।
মেশন অপারেশনের সময় নিরাপদ হাত মোজা ব্যবহার করুন।
মেশিন দিয়ে চামড়া স্ট্যাম্পিং ও এম্বোসিং করার পূর্বের সতর্কতামূলক পাঁচটি পযেন্ট লিখুন।
১. .....................................................................................
২. .....................................................................................
৩. .....................................................................................
৪. .....................................................................................
৫. .....................................................................................
সম্পন্ন হয়েছে
এম্বোসিং ও স্ট্যাম্পিং
২.১ এম্বোসিং ও স্ট্যাম্পিং এর উদ্দেশ্য
কোন সংস্থার নাম এবং লগো প্রচারের জন্যই সাধারণত এম্বোসিং ও স্ট্যাম্পিং করা হয়। অনেক তথ্য ও ডাটার জন্য এটি ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন আঁকার জন্যও এটি ব্যবহৃত হয়। এর মাধ্যমে সুন্দর ডিজাইন তৈরি হয় যা মানুষকে আকর্ষণ করে। ঘনত্ব বৃদ্ধি করার অংশ হিসেবেও এটি ব্যবহৃত হয়। এটি চকচকে ভাব ও মসৃণতা বৃদ্ধি করে।
এম্বোসিং
সাধারণত কম্পেনডিয়াম, ডায়েরী, বিজনেস কার্ড, হোল্ডার ইত্যাদি প্রচারণামূলক পণ্যের গায়ে ত্রিমাত্রিক ছবি বা ডিজাইন তৈরি করার প্রক্রিয়াকে বাইন্ড এম্বোসিং বলে। চামড়াজাত আংশিক সোজা বস্তুু বাইন্ড এম্বোসিং এর জন্য সবচেয়ে ভালো বলে বিবচিত হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে চামড়াজাত পণ্যের নকল হিসেবে সিনথেটিক উপাদানও ব্যবহার করা যায়। কার্ডবোর্ড এবং কাগজের মতো পৃষ্ঠতলেও বাইন্ড এম্বোস করা যায়। কোনো বস্তুর ওপর যে ছবি এম্বোস করা হবে, ঐ ছবি খোদাই করা একটি ধাতব ব্লকে তাপ ও চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে পণ্যের গায়ে ছাপ মেরে দেয়া হয়। এটি অনেকটা গরুর গায়ের ছাপ মারার মতো। প্রচারণামূলক পণ্যের ক্ষেত্রে বাইন্ড এম্বোসিং ব্যবহার করে চামড়ার কম্পেনডিয়াম, ওয়ালেট, সুইং ট্যাগ, ওয়াইন কুলার, উপহারের প্যাকেট, ডায়েরীসহ তুলনামূলক সমতল যেকোনো কিছুই সাজানো যায়।
যে বস্তুটিকে এম্বোস করা হবে তার উপরিভাগের সারফেসের মাঝে কোনো বস্তুর উপস্থিতি এম্বোসের ছবিটিকে ভেঙ্গে দিতে পারে। তাই এম্বোসিং এর পণ্য বাছাইএর ক্ষেত্রে এর উভয় তলই সমতল হওয়া বাঞ্চানীয়। প্রচারণামূলক পণ্যোর ক্ষেত্রে আমরা আপনাকে এম্বোসিং সংক্রান্ত সকল অনুসন্ধিৎসা সংক্রান্ত সহায়তা প্রদান করব। পাশাপাশি আপনার পরবর্তী বাইন্ড এম্বোসিং এর কাজের জন্য আশা করব।
২.২ এম্বোসিং যন্ত্রপাতি ও উপকরণ সেটআপ
১. মেশিনের সুইচ অন করুন।
২. প্রথমে তাপমাত্রা ৯০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে সেট করুন।
৩. মেশিন গরম হয়ে গেলে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস সেট করুন।
৪. ডাইসের সাথে লক সংযুক্ত করুন।
৫. লকটি টাইট করুন।
৬. ডাইস গরম হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
৭. মাস্কিং টেপ লাগান এবং নম্বর প্রদর্শনের জন্য আবার চেক করুন।
৮. সাইজ অনুযায়ী পণ্যের প্যাটার্নগুলো যথাস্থানে রাখুন ।
৯. প্যাটার্ন ও ডাইসের সেটিং সঠিক স্থানে আছে কিনা দেখে নিন।
১০. সবশেষে যে জিনিসে এম্বোস করা হবে তা সঠিক স্থানে বসান (ইসসোল, আউটসোল, ভ্যাম্প ইত্যাদি)।
১১. এখন প্রেস করে মেশিন চালু করুন।
স্ট্যাম্পিং এর সংজ্ঞা
স্ট্যাম্পিং হলো-প্রিন্টিং এর একটি পদ্ধতি যেখানে উত্তপ্ত স্ট্যাম্পিং ডাইস দিয়ে চাপ প্রয়োগ করা হয়। সোনা বা অন্য ধাতুর পাতলা পাতের ওপর অথবা কাগজ, বোর্ড, প্লাষ্টিক, চামড়ার উপরিতলে কোনো রঞ্জকের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হয়। পাতলা পাতটিতে এক ধরনের এজেন্ট থাকে যা তাপ প্রয়োগ করে সেট করা হয়। আবার মাঝে মাঝে সিনেমার টাইটেল বা স্লাইডের কারুকাজে ব্যবহৃত হয়। এই প্রক্রিয়া হট প্রেস প্রিন্টিং হিসেবেও পরিচিত।
চামড়ার জন্য স্ট্যাম্প
আর্গন টুলের চামড়ার স্ট্যাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি হয়। আমাদের দেশে দোকানে কঠোর তত্ত্বাবধানে ও শিল্পকারখানার মানদন্ড বজায় রেখে প্রস্তুত করা হয়।
যেকোনো স্বাক্ষর, কারুকাজ বা লোগো বসিয়ে আমরা স্ট্যাম্প খোদাই করে দিতে পারি। স্যাডল, হোলস্টার, ডাইস কভার ও অন্যান্য চামড়াজাত পণ্যে ছাপ দেয়ার ক্ষেত্রে আমরা মেকার মার্ক স্ট্যাম্প এর ওপর কজোর দেই। এই স্ট্যাম্পগুলো যেকোনো মসৃণ, খসখসে চামড়ায় ছাপ দেওয়ার জন্য উপযুক্ত।
আমরা উচ্চমানের ম্যাগনেসিয়ামযুক্ত ডাইস এবং গুনগতমান সম্পন্ন স্টিলের যন্ত্রাংশ ব্যবহারের নিশ্চয়তা দিয়ে থাকি। ম্যাগনেসিয়াম স্ট্যাম্প দিয়ে ৩/১৬ ইঞ্চি গভীর পযন্ত খোদাই করা যায়। আকর্ষণীয় মূল্যে আপনাকে হাজার ধরণের ছাপ দেওয়ার সুবিধা রয়েছে। সংযোযিত মূল্যে স্টিল ডাইসের যন্ত্রাংশ পাওয়া যায়। এটির গভীরতা ১/৩২ ইঞ্চি। শিল্পমান অনুযায়ী এটি দৃঢ় ও টেকসই হয়। এই স্টাম্পের বিশেষ কোনো ফন্ট প্রয়োজন হলে তার নাম জানিয়ে অনুগ্রহ করে ই-মেইল করুন (উইন্ডোজ সমর্থিত ফন্ট)। কিছু কিছু কারিগর ডিম্বাকৃতি, দড়ি আকৃতি অথবা বিশেষ গ্রাফিক্সের জন্য অতিরিক্ত মজুরি নিয়ে নিয়ে থাকেন। আর্গন টুলের ক্ষেত্রে, আমাদের স্ট্যাম্পের জন্য অতিরিক্ত কোনো মূল্য সংযোযন করা হয় না। উল্লেখিত স্ট্যম্প এলাকায় যদি আপনার ডিজাইন ফিট করে তবে মূল্য যা দেখানো হয়েছে তাই থাকে। অন্যথায় মূল্য পরিবর্তন করতে হয়।
চামড়া এম্বোসিং এবং স্ট্যাম্পিং করার পদ্ধতি
৩.১ কীভাবে কাজ সম্পন্ন করতে হয়
১. চামড়া এম্বোংি করার পদ্ধতি
ক. এম্বোস করার জন্য নরম চামড়া বেছে নিন। এই চামড়াগুলো ভাঁজ করতে সুবিধা হয় এবং কাজ করতেও সুবিধা হয়।
খ. এম্বোস করার জন্য একটি টেমপ্লেট ডিজাইনসহ নির্বাচন করুন।
গ. একটি টেবিল চামড়া বিছান। এক গামলা পানিতে কিছু টুকরা কাপড় নিন। এমনভাবে হালকা করে নিংড়ে নিন যেন ভেজা থাকে কিন্তু পানি না ঝরে। এবার এগুলোকে চামড়ার ওপর বিছিয়ে দিন। চামড়া ভালোভাবে ভেজার জন্য ১৫ মিনিট এভাবে রাখুন।
ঘ. টেমপ্লেটটি ওপরে-নিচে উল্টিয়ে দিন। এরপর এটিকে একটি কাঠের বোর্ডে রাখুন। সঠিক জায়গায় ভালোভাবে আটকে দিন যেন সরে না যায়।
ঙ. চামড়া থেকে টুকরা কাপড়গুলো সরিয়ে নিন। এরপর অতিরিক্ত পানি মুছে নিন। চামড়ার ওপর একটি তোয়ালে রাখুন এবং ইস্ত্রি করুন। পানি এবং তাপমাত্রা চামড়াটিকে নরম হতে সাহায্য করবে।
চ. চামড়ার কোথায় এম্বোস কাজ হবে তা নির্ধারণ করে টেমপ্লেটের ওপর সেই জায়গায় বিছান। চামড়ার সামনের অংশ টেমপ্লেটের ওপর এবং পেছনের অংশ আপনার দিকে নিন। এভাবে স্থাপন করতে পারলে যেখানে চান কাজটি ফুঠে উঠবে।
ছ. চামড়ার ওপর স্টিরোফামের একটি পাতলা টুকরা রাখুন। স্টিরোফোরেম ওপর ভারী বই বা ইটের মতো ওজন চাপা দিন। এভাবে ছয় ঘন্টা রাখুন এবং এসময়ের মধ্যে এটি সরাবেন না।
জ. স্টিরোফোমের ওজন সরিয়ে নিন। তবে লক্ষ রাখুন যেন চামড়া সরে না যায়। এর পর টেমপ্লেটের চাপে থাকা চামড়া দেখা যাবে। এবার ধাবগুলৈা সঠিকভাবে নির্ধারণ করুন। ধাবগুলো বোঝা না গেলে একটি রাবারের ম্যালেট দিয়ে শক্তভাবে চেপে দিতে পারেন।
ঝ. এবার টেমপ্লেট থেকে চামড়া সরিয় নিন। আরো ডিজাইন বা এম্বোস করতে চাইলে সতর্কভাবে সরিয়ে নিন। এমনভাবে করুন যে সদস্য করা ডিজাইনটির ক্ষতি না হয়। কাজ শেষ হয়ে গেলে চামড়া শুকাতে দিন।
৩.২ চামড়া স্ট্যাম্পিং করার নিয়ম
ফয়েল স্ট্যাম্পিং করা খুব প্রচলিত এটি বাণিজ্যিক প্রিন্ট প্রক্রিয়া। সাধরণত রঙিন বা ধাতব ফয়েল এটি প্রয়োগ করা হয়। সাধারণত এটি সোনালি বা রূপালী হয়। কিন্তু এটি নানা ধরনের হতে পারে যেমন- প্যাস্টেল ফয়েল। এটি সাধারণভাবে একটি সমতল অস্বচ্ছ রঙ বা বিশেষ কোনো সাদা ফিল্মওয়ালা কাগজের উপাদান। এখানে একটি উত্তপ্ত ডাইস ফয়েলের ওপর স্ট্যাম্পিং করে পৃষ্ঠতলের সাথে সংযুক্ত করা হয়। এর ফলে ঐ ডিজাইন কাগটিতে রয়ে যায়। ফয়েল স্ট্যাম্পিং যদি এম্বোসিং এর সাথে করা হয় তবে তা আরো স্পষ্টভাবে ত্রিমাত্রিক আবহ আনতে পারে।
ফলেয় স্ট্যাম্পিং প্রক্রিয়া তাপ ও চাপ প্রয়েঅগ করে রঙিন রো থেকে পছন্দমতো সমতল পৃষ্টের রঙ স্থানান্তর করে। কাগজ অথবাা প্লাষ্টিক বা চামড়ার কার্ডের মতো পৃষ্ঠতলে ফয়েল স্ট্যাম্পিং করা যায়। প্রচরণামূলক পণ্যে অথবা শিল্পকারখানার পণ্যের ফয়ে স্ট্যাম্পিং করা হয়ে থাকে।
ফয়েল স্ট্যাম্পিং প্রক্রিয়ার জন্য একটি খাঁজ (নকশা) কাটা ধাতব প্লেট এর প্রয়োজন হয়। যাতে এই তাপ ও চাপ প্রয়োগ করা হয়। থাতব ব্লক ও কাঙ্খিত সমতলের (যাতে ফয়েল স্ট্যাম্পিং হবে) মাঝে রঙিন ফয়েল চালানো হয়। ফয়েল স্ট্যাম্পিং স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রযোজ্য হতে এক অথবা দুই সেকেন্ড সময় নেয়। এটি দীর্ঘস্থায়ীভাবে এবং পণ্যের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
৩.৩ সম্পন্ন করা ও পরীক্ষিত এম্বোসিং-স্ট্যাম্পিং
১. স্ট্যাম্পিং নং স্পষ্টভাবে দেখা যাবে।
২. লোগো অবশ্যই সঠিক স্থানে থাকবে।
৩. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ফয়েল পেপার নিতে হবে।
৪. ডাইস অবশ্যই সঠিক অবস্থায় থাকবে।
৫. স্ট্যাম্পিং নং র্যাবআউট বা মুছে ফেলতে হবে।
৬. এম্বোসিং করার পর লেদার বা চামড়া পোড়ােেনা যাবে না।
কাজ: নির্ধারিত চাহিদা অনুসাওে রং, শেড ও পুরত্ব অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের এবং গুণগতমানের বিভিন্ন উপকরণ চিহ্নিত করা।
বিভিন্ন ধরনের স্ট্যাম্পিং ও এম্বোসিং উপাদান করুন।
বিভিন্ন ধরনের চামড়া যেমন-
বাছুর, গুও, কিড, ছাগল, ষাঁড়, ক্যাঙ্গারু, সরীসৃপ, ভেড়ার চামড়া ইতাদি।
ফয়েল পেপার, রূপালী, সোনালী, বাদমী, হলুদ অথবা প্রয়োজন অনুয়ায়ী অন্য রং।
বাছুরের চামড়া
অল্প বয়স্ক প্রাণির চামড়ার জমিন মসৃণ ও দানাদার হয়। এগুলো আদর্শ এবং প্রাপ্তবয়স্ক প্রাণির চেয়ে তুলনামূলকভাবে পাতলা হয়। প্রাণিটি যত কম বয়স্ক হবে চামড়ার গুণগতমান তত বেশি ভালো হবে। জুতার উপরিভাগ তৈরির জন্য সারা বিশ্বেই সবচেয়ে ভালো উপকরণ হিসেবে বাছুরের চামড়া সমাদৃত।
ছাগলের চামড়া
জুতার উপরিভাগ তৈরির জন্য সম্পূর্ণভাবে রঞ্জিত ও ট্যান করা ছাগল ছানার চামড়াকে ‘কিড’ বলা হয়। জবাই করা পশুর বয়সের ওপর ভিত্তি করে এই চামড়ার আকার নির্ধারিত হয়। বাছুরের চামড়া গরুর চামড়ার তুলনায় টাইট থাকে। কম বষস্ক ও বেশি ছাগলের চামড়াও একই পার্থক্য দেখা যায়। যদিও ছাগলের চামড়া তুলনামূলকভাবে পাতলা। তবুও এগুলো টেকসই এবং খুব সহজে ক্ষয় হয় না।
ভেড়ার চামড়া
অধিকাংশ দেশে উল বা মাংসের উৎস হিসেবে ভেড়া পালন করা হয়। ভেড়ার চামড়া বা অপরিষ্কৃত লোম ( পেল্ট) উপজাত হিসেবে পাওয়া যায়। উলের পেল্ট খুব বেশি ভালো বৈশিষ্ট্যর হয় না এবং এগুলো কাপড় হিসেবে অধিক ব্যবহারযোগ্য। সঠিক বাছাই এবং প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে লাইনিং এর চামড়া হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
পার্সিয়ান ভেড়া মধ্যপ্রাচ্যে উৎপাদিত হয়। এই ভেড়ার চামড়া থেকে লোমসদৃশ উলের তুন্তু তৈরি করা হয়। এদের চামড়া দানাদার। তুলনামূলকভাবে এই চামড়া টাইট হয়। আর বেশি টেকসই হয়। এ চামড়া জুতার লাইনিং এর জন্য চমৎকার কাজ করে। এটি সাধাণত ডাই করা হয় এবং হলদে বাদামী বা ধূসর শেড এর ফিনিশিং দেয়া হয়।
চামড়ার ধরন
সাধারণভাবে তিন রকমের চামড়া বিক্রি করা হয়।
ফুল গ্রেইন লেদার
ফুল গ্রেইন লেদার হলো সমচেয় সূক্ষ্ম কাঁচামাল থেকেক প্রাকৃতিকভাবে পরিষ্কার কেের তৈরি করা হয়। এই চামড়ার ত্রুটি ঢাকার জন্য বালিতৈ ডোবানো হয় না। শুধুমাত্র লোম পরিষ্কার করা হয়। এই চামড়ার দানাদার গঠন স্বাভাবিক থাকে। এটি তন্তুকে সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী করে এবং সবচেয়ে বেশি স্থায়ী হয়। চামড়ার স্বাভাবিক দানাদার গঠন বজায় থাকলে বাতাস চলাচলের স্বাভাবিক অবস্থাও বজায় থাকে এটি কাপড়কে আরামদায়ক করে। এজন্য স্বাভাবিক দানাদার চামড়া অন্য যেকোনো চামড়ার তুলানায় টেকসই হয়। ক্ষয়ে যাওয়ার পরিবের্ত এটি এক ধরনের প্রাকৃতিক আস্তরণ তৈরি করে। সময়ের সাথে এটি আরো সুন্দর হয়ে ওঠে। সবচেয়ে সুন্দর ও সূক্ষ্ম চামড়ার আসবাবপত্র বা জুতা তৈরি হয় ফুল গ্রেইন লেদার বা পূর্ণ দানার চামড়া থেকে। পূর্ণ দানাদার চামড়া ২ ধরনের পাওয়া যায়। ১. রঞ্জক ও ২. অর্ধ-রঞ্জক।
পরিশোধিত গ্রেইন লেদার
পরিশোধিত গ্রেইন লেদার টপ গ্রেইন চামড়া নামেও পরিচিত। এর একদিকে মিছি দানাদার ও অন্যদিকে মুসৃণ হয়। মসৃণ দিকে লোম ও প্রাকৃতিক দানা থাকে যা তুলে নেয়া হয়। যেসকল চামড়া নিম্নমানের কাঁচামাল থেকে তৈরি, সেগুলো থেকে সকল দনা অপসারণ করে কৃত্রিম দানা সংযোজন করা হয। টপ গ্রেইন দানার এই বালি প্রয়োগ কিংবা স্ট্যাম্পিং এর কাজ ঢাকতে ভারী রং করা হয়। সংশোধিত দানার চমড়া প্রধানত ২ ধরনের পাওয়া যায়-১. অর্ধ-রঞ্জিত এবং ২. রঞ্জিত।
সোয়েড
সম্পূর্ণভাবে দানা অপসারণ করা হয়েছে এমন চামড়া অথবা চামড়ার অভ্যন্তরীণ টুকারা হলো সোয়েড। স্পøীট বিচ্ছিন্নকরণ প্রক্রিয়ায় দানা এবং ড্রপ স্পøীট আলাদা করা হয়। পুরুত্বের দিক থেকে ড্রপ স্পøীটকে মধ্যবর্তী স্পøীট বা মাংসল স্পøীটে বিভক্ত করা যায়। খুব মোটা টুকরার ক্ষেত্রে এই স্পøীটকে পাতলা কয়েকটি স্তরে ভাগ করা যায়। সাধারণতভাবে দানাদার স্পøীট থেকে (যার দানা সম্পূর্ণভাবে অপসারণ করা হয়েছে) তৈরি করা হয় অথবা মাংসল স্পøীট থেকে সঠিক পুরুত্বে কেটে তৈরি করা হয়। সোয়েড উভয় পাশে মিহি দানাদার। টপ গ্রেইনের চেয়েং সোয়েড কম স্থায়ী। একটি পুরু স্পøীট থেকে কয়েকটি টুকরা বের করা হয় বলে সোয়েড তূলনামূলকভাবে কম মূল্যের হয়। অন্যদিকে টপ গ্রেইন শুধুমাত্র একটি হয়। উৎপাদকারীরা সোয়েডকে পূর্ণ দানার দেখানোর জন্য বেশ কিছু কৈৗশল অবলম্বন করেন। উদাহালস্বরূপ-সোয়েডের একদিকে আঠা লাগানো হয়। এটি পরবর্তীতে রোলারের মধ্যে ঢোকানো হয় যাতে এর একদিকে পূর্ণ দানার মতো দেখায়। এর একটি বাণিজ্যিক নাম লাতিনো। দানাদার চামড়ার একটি ধরণ হলো রিভার্সড সোয়েড। এই চামড়ার দানাদার অংশটি দৃশ্যমান তলের বিপরীতে রেখে কারুকাজ করা হয়। এটি সত্যিকার অর্থে সোয়েড নয়।
প্রকৃত চামড়ার ধরন
কয়েক ধরনের প্রকৃত চামড়া আছে যা নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
পরিশোধিত গ্রেইন
সহজে পাওয়া যায় এবং মৌলিক ধরনের চামড়া। সংশেধিত দানায় দৃঢ়ভাবে প্রতিরোধক প্রলেব সম্পন্ন ফিনিশ থাকে। এটি ভিন্ন ধরনের অনুভূতির সৃষ্টি করে।
সংশোধিত দানায় হালকা মসৃণ ফিনিশ থাকে। এটি উচ্চতর গ্রেডের মতো বিলাসবহুল নয়। কিনউত নামকরা আসবাপত্রের দোকানে এর কদর রয়েছে। যারা সাধারণত শক্ত প্রকৃতির পোশাক পছন্দ করে এটি তাদের জন্য। এই চামড়া কয় মূল্যে ধুয়ে পরিষ্কার করা যায় এবং টেকসাই হয়।
ফাইন গ্রেইন বা সেমিএনিলিন
ফাইন গ্রেইন অত্যন্ত মসৃণ ও নরম চামড়া। যারা নরম ও উষ্ণ অনুভুক্তির পোশাক পছন্দ করে তাদের জন্য এটি উপযোগী। আধুনিক সুটগুলোতে বা নরম সিটের ডিজাইনের জন্যও আদর্শ। এটি আদর্শ কোটেড চামড়ার তুলনায় বেশি নরম ও বেশি বিলাসবহুল। একই সাথে এটি নিত্যব্যবহারের জন্য নিরাপদ।
দ্বিগুণ পুরুত্ব
সাধারণ চামড়ার তুলনায় দ্বিগুণ পুরু এবং অত্যন্ত দীর্ঘস্থায়ী। বর্গাকৃতির নকাশার জন্য এবং সুটে অত্যন্ত মানানসই। দ্বিগুণ পুরু চামড়া ভারী দানাদার হয এবং অত্যন্ত সুরক্ষিত। প্রতিদিনে ব্যবহারের জন্য অত্যন্ত উপযোগী।
অতিরিক্ত পুরু চামড়া
প্রায় দ্বিগুণ পুরু চামড়ার মতো। কিন্তু সাধারণ চামড়ার তুলনায় প্রায় ১.৫ গুন পুরু।
প্রাকৃতিক মোমযুক্ত চামড়া
প্রাকৃতিক মোযুক্ত চামড়া বর্তমান বাজারে সর্বাপেক্ষা দ্রুত বর্ধনশীল চামড়া। চিরাচরিত, আধুনিক ও সমসাময়িক সবসময়ই ব্যবহার উপযোগী। একে পুলআপ চামড়াও বলা হয। যা বৈচিত্র ও স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্যের (যেমন- আসল ক্ষত চিহ্নিতকরণ) দিক থেকে অত্যন্ত আবেদনময়ী ও খাঁটি। এই চামড়ার যে সকল জায়গায় আঁচড় দেয়া থাকে ( এখরনে ওয়াক্সিং তেল প্রয়েঅগের মাধ্যমে করা হয়।) তা কিছুটা অনজ্জ্বল দেখায়। এটি পরবর্তীতে ঘষা হলে বা বিশেষায়িত ক্রিম দেয়অ হলে পুনরায় রং ধারণ করে।
পূর্ণ এনিলিন লেদার
বর্তমানে এই চামড়া সর্বাপেক্ষা নরম ও বিলাসবহুল এং সহজলভ্য। এটি পূর্ণ রঞ্জক চামড়া সম্পূর্ণভাবে প্রাকৃতিক। এতে কোন ধরনের প্রলেপ থাকে না এবং দেখতে সুন্দর ও অভিজাত। যারা একই সাথে আরাম এবং সুন্দর জিনিস চান, তাদের চাহিদার সাথে এটি মানানসই। অত্যন্ত হালকা প্রলেম থাকলেও সম্পূর্ণ ডাই করা হয়। এজণ্যে ওয়াক্সড চামড়ার মতো এতে আঁচড় থাকে না।
চমড়া নির্বাচন
কাঁচামাল: উদ্দেশ্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে চামড়া নির্বানচ অত্যন্ত গরুত্বপূর্ণ। উদাহারণস্বরূপ, নারীদের হালকা পোশাক তৈরিতে গরুর চামড়া সর্বাদিক উপযুক্ত নয়। যদি আপনি একটি শক্ত ও হালকা চামড়া চান তবে বড় ও প্রাপ্ত বয়স্ক ভেড়ার চামড়া ০.৭ মিমি এর এম্বোস করার পর তা দুর্বল হয়ে যাবে। মৌসুমী বৈচিত্র্য ও পশুর প্রজননকালে, আকার ও গুণগতমান, সম্ভাব্য স্ট্যাম্পিং এর মান এবং মূল্যকে প্রভারিত করবে। কাঁচামালের ধরনের কোনো বাঁধাদরা নিয়ম না থাকলেও এর সম্পর্কে অভ্যন্তরীণ জ্ঞান ও এদের অন্তর্নিহিত বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরি।
চামড়ার ধরণ
বিভিন্ন ধরনের ফিনিশ চামড়া পাওয়া যায়। কিন্তু প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী তা বাছাই করতে হয়। রঞ্জক চামড়া, নিউবাক বা সোয়েড এর চেয় অর্ধ-রঞ্জক চামড়া বেশি স্থায়ী হয়। তবে, অর্ধ-রঞ্জক চামড়া সাধারণত এর প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য ধরে রাখতে পারে না। রঞ্জক চামড়া ও তেলতেলে নিউবাক দ্রুত নোংরা হয়। এটি পরিষ্কার করা কঠিন। নিউবাক বা ওয়াক্সড ও তেলেতেলে চামড়ার ক্ষেত্রে রং উঠে যাওয়ার সমস্যা হতে পারে।
চামড়ার গুণগতমান
‘ভালো কিছু পেতে হলে ভালো কিছু দিতে হয়’। অর্থাৎ বাজেট না কমিয়ে ভালো চামড়ার জন্য ন্যায্য মূল্য দেয়া উচিত। যদি কোনো গার্মেন্টস পণ্যে মূল্যে কমানো হয়, সাধারণত তা চামড়ার ক্ষেত্রে করা হয়। এক্ষেত্রে নমনাতে যা দেখানো হয় এবং তার চেয়ে বাস্তব পণ্যের অনেক পাথ্যক্য থাকে।
নমুনা
ফিনিশড গার্মেন্টস পণ্যের জন্য কী গ্রহণযোগ্য এবং কী গ্রহণযোগ্য না তা জানিয়ে সম্ভাব্য চামড়ার গুণগত মান নিয়ে আগেই ঐক্যমতে পৌঁছাতে হবে। মনে করুন, আপনি সর্বোচ্চ মানের নাপ্পার জন্য মূল্য পরিশোদ করছেন। আর সেটাই আপনি পেতে চান। তবে ঐ চামড়ার একটি চুকারা ও আঙ্গুলের ছাপসহ পরবর্তী সময়ে যোগাযোগরে জন্য সংরক্ষণ করুন। অর্থাৎ নমুনা সংরক্ষণ করুন।
গুণগতমান
চামড়া কেনা বা বাছাই এর সময় মাথায় রাখা উচিত যে, চামড়া বিভিন্ন গ্রেড অনুযায়ী কেনা যায় বা চাইলে মিশ্রিতভাবে বাছাই করেও কেনা যায়। গ্রেড অনুযায়ী কিনলে গার্মেন্টস পণ্যের জন্য কোন ধরনের চামড়া কেনা হবে তা ঠিক করে নিন। এটি প্রতিটি গার্মেন্টস প্যানেল ব্যবহার করবেন।
ভিন্নতা
চামড়া একট প্রাকৃতিক পণ্য হওয়ার কোন ধরনের চামড়া কেনা হবে তা নির্ধারণ করা হলেও এর কিছুটা ভিন্নতা থাকতে পারে। তবে উৎপাদনকালে দক্ষ কিছু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এই ভিন্নতা কিছুটা কমানো বা নিয়ন্ত্রণ করা যা। একটি বিষয় মনে রাখুন যে, কিছু কাঁচামাল এবং বৈচিত্র্যের কারণে চামড়ার আকার এবং মানের ভিন্নতা দেখা দেয়। স্পষ্টভাবে চামড়ার ভিন্নতার ধরন সেট করুন। এরপর পরীক্ষা করে নমুনা অনুযায়ী স্টোর করুন।
উত্তর-১
১. স্ট্যাম্পিং নং স্পষ্ঠভাবে দেখা যাবে।
২. লগৈা অবশ্যই সঠিক স্থানে রাখতে হবে।
৩. ফয়েল পেপার অবশ্যই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হবে।
৪. ডাইস সঠিক অবস্থায় থাকতে হবে।
৫. স্ট্যাম্পিং ও এম্বোসিং নং মুছে ফেলতে হবে।
৬. এম্বোসিং এরপর চামড়া পোড়ানো হয় না।
উত্তর-২
চামড়া এম্বোস করার পদ্ধতি
ক. এম্বোস করার জন্য নরম চামড়া বেছি নিন। এই চামড়াগুলো ভাঁজ করতে সুবিধা হয় এবং কাজ করতেও সুবিধা হয়।
খ. এম্বোস করার জন্য একটি টেমপ্লেট ডিজাইনসহ নির্বাচন করুন।
গ. একটি টেবিলে চামড়া বিছান। এক গামলা পানিতে কিছু টুকরা কাপড় নিন। এমনভাবে হালকা করে নিংড়ে নিন যাতে ভেজা থাকে কিন্তু পানি না ঝরে। এবার এগুলোকে চামড়ার ওপর বিছিয়ে দিন। চামড়া ভালোভাবে ভেজার জন্য ১৫ মিনিট রাখু।।
ঘ. টেমপ্লেটটি ওপরে-নিচের উল্টান এবং এটিকে একটি কাঠের বোর্ডে রাখুন। সঠিক জায়গায় ভালোভাবে আটকে দিন যেন সরে না যায়।
ঙ. চামড়া থেকে টুকরা কাপড়গুলো সরিয়ে নিন এবং অতিরিক্ত পানি মুছে দিন। চামড়ার ওপর একটি তোয়ালে রাখুন এবং ইস্ত্রি করুন। পানি এবং তাপমাত্রা চামড়াটিকে নরম হতে সাহায্য করবে।
চ. চামড়া কোথায় এম্বোসের কাজ হবে তা নির্ধারণ করে টেমপ্লেটের ওপর সেই স্থানে চামড়া বিছান। চামড়ার সামনের অংশ টেমপ্লেটের ওপর এবং পেছনের অংশ আপনার দিকে রাখুন। এভাবে স্থাপন করতে পারলে যেখানে চাক কাজটি ফুঠে উঠবে।
ছ. চামড়ার ওপর স্টিরোফোমের একটি পাতলা টুকরা রাখুন। স্টিরোফোমের ওপর ভারী বই বা ইটের মতো ওজন চাপান। এভাবে ছয় ঘন্টা রাখুন এবং এসময়ের মধ্যে এটি সরাবেন না।
জ. স্টিরোফের ওজন সরিয়ে নিন। তবে লক্ষ রাখুন যেন চামড়া সরে না যায়। এরপর টেমপ্লেটের চাপে থাকা চামড়া দৃশ্যমান হবে। ধারগুলো সঠিকভাবে নির্ধারিত হবে। ধারগুলো বোঝা না গেলে একটি রাবারের ম্যালেট দিয়ে শক্তভাবে চেপে দিতে পারেন।
ঝ. এবার টেমপ্লেট থেকে চামড়া সরিয়ে নিন। যদি আরো ডিজাইন বা এম্বোস করতে চান তবে সতর্কভাবে সরিয়ে নিন। এমনভাবে করুন যেন সদ্য করা ডিজাইনটির ক্ষতি না হয়। এরপর চামড়া শুকাতে দিন।
জব শিট-৩
জব টাস্ক- এম্বোসিং এর জন্য কীভাবে চামড়ার টুকারা নির্বাচন করতে হয় তা জেনে নিন।
ফুল গ্রেইন লেদার
পরিশোধিত গ্রেইন লেদার
সোয়েড লেদার- সোয়েড লেদার বা গ্রেইন সাইড বা হাইড তৈরির জন্য ঘষে তোলা হয় এমন পেপার দিয়ে সাইড লেদার বাফড বা স্নাফট করা হয়।
হর্স আপ লেদার
সম্পূর্ণ তৈরি জুতার গ্রেইন ম্যাচিং চেক করার পর অবশ্যই সাইজ এবং জোড়া নম্বর দিতে হবে।
জোড়ায় স্ট্যাপ এবং এম্বোস এবং এম্বোস না হওয়া পর্যন্ত স্ট্যাম্পিং এবং ক্লিকার চলমান রাখতে হবে। এগুঅে সাধরণত ৫ জোড়ার বান্ডিল কওে লট বানানো হয়। এগুলোকে নির্ভুলভাবে চেক করা হয়।
পরিষ্কারভাবে স্ট্যাম্পিং চেক করুন।
এরপর সঠিকভাবে এম্বোস চেক করুন।
কার্যক্রমপত্র-৩
চামড়া চেক করার জন্য পূর্ব সতর্কতার পাঁচটি পয়েন্ট লিখুন।
১. ...............................................................................
২. ...............................................................................
৩. ...............................................................................
৪. ...............................................................................
৫. ...............................................................................
স্পেসিফিকেশন শিট: (২, ৩)
যন্ত্রপাতি
১. ছুরি
২. কাঁচি
৩. এন্টিকাটার
৪. ফয়েল
৫. মাসকিন টেপ
৬. হাতুড়ি
৭. পুরুত্বের গজ
৮. অ্যালেন চাবি
৯. ডাইস
১০. মন্ড ইত্যাদি
ইনফরমেশন শিট-৪
এম্বোস বা স্ট্যাম্পের টুকরা চেক
কাজ ১: জব স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী এম্বোস বা স্ট্যাম্প লেদার বা উপকরণের টুকরা ভালোভাবে চেক করা এবং বাতিল টুকরাগুলো নির্দিষ্ট কাজের জন্য সম্মতিক্রমে সরিয় নেয়া।
কাজ ২: কর্মক্ষেত্রের মানদন্ড এবং প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী কর্মএলাকা ও যন্ত্রপাতি পরিষ্কার ও বর্জ্য পদার্থ অপসারণ করা।
এম্বোস বা স্ট্যাম্পের টুকরা চেক করা
এম্বোস বা স্ট্যাম্প উপকরণের ব্যবহার এমনভাবে করতে হবে যেন চামড়ার অপচয় সবচেয় কম হয়।
১. কাজের টিকেটের তথ্য চেক করুন এবং উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানারে সঠিক সংখ্যা হিসেব করুন।
২. কাজের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান পছন্দ ও বাছাই করুন।
৩. এম্বোস এবং স্ট্যাম্পিং উপাদানের পর উপকরণের বৈশিষ্ট্য ও গুণগতমান চকে করুন।
৪. নিশ্চিত হোন যে, স্ট্যাম্পিং ও এম্বোসিং করার সময়-
৫. নিজের এবং অন্যের ক্ষতি করা থেকে বিরত থাকবেন।
৬. ডাইস ও অন্যান্য যন্ত্রপাতির ক্ষতি করা থেকে বিরত থাকবেন।
৬. বর্জ্য পদার্থ নিরাপদভাবে অপসারণ করুন এবং পুনরায় ব্যবহারযোগ্য উপাদান তাৎক্ষণিকভাবে সরিয়ে রাখুন।
৭. কাজের শেষে যন্ত্র বন্ধ করার নিয়মাবলী অনুসরণ করুন।
৮. নিশ্চিত করুন এম্বোস বা স্ট্যাম্পিং উপকরণ
৯. উৎপাদনের পরবর্তী ধাপে সহায়তার জন্য সঠিকভাবে বাছাই ও সংরক্ষণ করবেন।
১০. ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ কমাতে সতর্কভাবে সংরক্ষণ করবেন।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কর্মএলাকা
বোর্ড থেকে ডাইস তোলার পরে, একজন ক্লিকারের পরিচ্ছন্নতার কাজে নিম্নোক্ত বিষয়গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে-
ক। এম্বোস বা স্ট্যাম্পিং উপাদানের প্যাকিং করা।
খ। এম্বোস বা স্ট্যাম্পিং চামড়ার টুকরা গণনা করা।
গ। এম্বোস বা স্ট্যাম্পিং চামড়ার টুকরা চিহ্নিত করা।
ঘ। ডাইস পরিবর্তন করা।
ঙ। ক্র্যাপ লেদার অপসারণ করা।
যন্ত্রপাতি পরিষ্কার ও সংরক্ষণ
১. অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরিয়ে কর্মএলাক পরিষ্কার রাখতে হবে যেন কেউ বাধাপ্রাপ্ত না হয় বা পড়ে না যায়।
২. দোকান ঘর তেল বা গ্রিজমুক্ত রাখতে হবে। পিচ্ছিল মেঝে অত্যন্ত বিপজ্জনক।
৩. কাজ শেষ করা পর, যন্ত্রাংশ ও যন্ত্রপাতি কাপড় দিয়ে মুছে সংরক্ষণ করতে হবে।
৪. কাজ শেষ করার পর যন্ত্রপাত ও অন্যান্য উপকরণ সঠিক জায়দায় দ্রুত রেখে দিতে হবে।
সেলফ চেক শিট-৪
প্রশ্ন-১
কীভাবে এম্বোস এবং স্ট্যাম্প লেদারের টুকরা চেক করা হয় তা চেকলিস্ট তৈরি করুন।
উত্তরপত্র-৪
উত্তর-১
এম্বোস বা স্ট্যাম্পের টুকরা চেক করা
১. কাজের টিকেটের তথ্য চেক করুন এবং উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানারে সঠিক সংখ্যা হিসেব করুন।
২. কাজের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান পছন্দ ও বাছাই করুন।
৩. এম্বোস এবং স্ট্যাম্পিং উপাদানের পর উপকরণের বৈশিষ্ট্য ও গুণগতমান চকে করুন।
৪. নিশ্চিত হোন যে, স্ট্যাম্পিং ও এম্বোসিং করার সময়-
৫. নিজের এবং অন্যের ক্ষতি করা থেকে বিরত থাকবেন।
৬. ডাইস ও অন্যান্য যন্ত্রপাতির ক্ষতি করা থেকে বিরত থাকবেন।
৭. বর্জ্য পদার্থ নিরাপদভাবে অপসারণ করুন এবং পুনরায় ব্যবহারযোগ্য উপাদান তাৎক্ষণিকভাবে সরিয়ে রাখুন।
৮. কাজের শেষে যন্ত্র বন্ধ করার নিয়মাবলী অনুসরণ করুন।
৯. নিশ্চিত করুন এম্বোস বা স্ট্যাম্পিং উপকরণ
১০. উৎপাদনের পরবর্তী ধাপে সহায়তার জন্য সঠিকভাবে বাছাই ও সংরক্ষণ করবেন।
১১. ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ কমাতে সতর্কভাবে সংরক্ষণ করবেন।
জব শিট-৪
গুণগতমানের জন্য প্রতিটি টুকরা চেক করা।
সকল উপাদান সঠিক আকার ও প্যাটার্ন অনুসাওে স্ট্যাম্প এবং এম্বোস করা উচিত। তবে এগুলো উপাদানের কাটা অংশ হওয়া উচিত।
উপাদানগুলোর একটিকে অপরটির সাথে বান্ডিল করে একটি ইলাষ্টিক ব্যান্ড দিয়ে চারিদেকে ঘুরিয়ে গ্রেইন সাইট ভেতরের দিকে দিয়ে বাঁধতে হবে।
সম্পূর্ণ তৈরি জুতার গ্রেইন ম্যাচিং চেক করার পর অবশ্যই সাইজ এবং জোড়া নম্বও দিতে হবে।
জোড়ায় প্রয়োজনীয় স্ট্যাম্প এবং এম্বোস না হওয়া পর্যন্ত স্ট্যাম্পিং এবং এম্বোসিং চাপ চলমান রাখতে হবে। এগুলো সাধারণত ৫ জোড়ার বান্ডিল করে লট বানানো হয়। এগুলোকে নির্ভুলভাবে চেক করতে হবে।
মেশিনের চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
বর্জ্য অপসারণ
অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র থেকে কর্মস্থানকে পরিষ্কার করতে হবে।