শু বাই হ্যান্ড
২ সপ্তাহ
এই ইউনিটের সক্ষমতাগুলো সমাপ্ত করার পর প্রশিক্ষণার্থীরা নিম্নোক্ত কাজগুলো করতে পারবে-
ক্স বিভিন্ন ধরনের কাটিং মেশিনের নিরাপত্তাজনিত নিয়ম-কানুন অনুসরণ করার মাধ্যমে কর্মস্থলে নিরাপদে ও স্বাস্থ্যকর উপায়ে কাজ করতে পারবেন।
১. দ্যব্যাদি (আপার), সহায়ক উপকরণ ও যন্ত্রপাতি গহ্রণ করতে পারবেন।
২. লাস্টের সাথে ইনসোল সংযুক্তকরণ এবং আপার কন্ডিশনিং প্রক্রিয়া।
৩. হাতের সাহায্যে জুতার লাস্টিং প্রক্রিয়া।
৪. উৎপাদিত পণ্য যাচাই ও কর্মক্ষেত্রে পরিষ্কার করতে পারবেন।
কার্যসম্পাদন মানদন্ড
১. প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও উপকরণ ব্যবহারের আগে, ব্যবহারের সময় এবং ব্যবহার পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় সকল নিরাপত্তা নিয়ম অনুসরণ করতে পারবেন।
২. প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও উপকরণ ব্যবহারের আগে, ব্যবহারের সময় এবং ব্যবহার পরবর্তী সময়ে অনিরাপদ অথবা ত্রুটিপূর্ণ যন্ত্রপাতি চিহ্নিত করতে পারবেন এবং নির্দেশিত উপায়ে মেরামত করতে পারবেন।
৩. ব্যক্তিগত নিরাপত্তাজনিত পোশাক (পিপিই) পরিধান করতে পারবেন।
৪. ওয়ার্ক বান্ডিল গ্রহণ ও যাচাই করতে পারবেন।
৫. গৃহীত উপকরণগুলোর গুণাগুণ যাচাই করতে পারবেন।
৬. কাজের বিভিন্ন অংশ পর্যায়ক্রমিকভাবে সম্পাদন করতে পারবেন।
৭. যন্ত্রপাতি যাচাই করতে পারবেন।
৮. রেকর্ড সংরক্ষণ করতে পারবেন।
৯. ইনসোল ও আপার সংযুক্ত করার পূর্বে লাস্ট পরীক্ষা করতে পারবেন।
১০. হাতের সাহায্যে লাস্টে ইনসোল যুক্ত করতে পারবেন।
১১. কাজের বৈশিষ্ট্য অনুসারে কন্ডিশনিং চেম্বারের তাপমাত্রা সমন্বয় করতে পারবেন।
১২. কন্ডিশনের চ্যাম্বারের পানিস্তর পরীক্ষা করতে পারবেন।
১৩. সুনির্দিষ্ট সময়ের জন্য আপার এর সামনে অংশ চ্যাম্বারে স্থাপন করতে পারবেন।
১৪. লাস্টিং পদ্ধতির ক্ষেত্রে গুনগত মান ও নকশা অনুযায়ী আপারের অবস্থান দক্ষতার সাথে সমন্বয় করতে পারবেন।
১৫. সঠিক অবস্থান এর জন্য সমন্বয় করতে পারবেন।
১৬. লাস্টিং মার্জিন নিচে টেনে ইনসোলের সাথে লাগাতে পারবেন।
১৭. লাস্টিং মার্জিন হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ইনসোলের সাথে শক্তাভাবে ও নিরাপদে লাগাতে পারবেন।
১৮. লাস্টিংকৃত আপারকে হীট সেটিং মেশিনের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করতে পারবেন।
১৯. এবড়ো-থেবড়ো অংশ, টপলাইন এবং পেছনের উচ্চতা চেক করতে পারবেন।
২০. উৎপাদন-ত্রুটি সংরক্ষণ করতে পারবেন।
২১. রেকর্ড সমাপ্ত করতে পারবেন।
২২. কাজ গাদা করে রাখতে পারবেন এবং সংরক্ষণ অথবা সরবরাহ করতে পারবেন।
২৩. কর্মক্ষেত্রে এবং যন্ত্রপাতিগুলো কর্মক্ষেত্রের মান অনুযায়ী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে পারবেন।
২৪. কারখানার নিয়ম অনুযায়ী শিল্পবর্জ্য অপসারণ করতে পারবেন।
বিষয়বস্তু
শিখন প্যাকেজ নিম্নলিখিত বিষয়াদি অন্তর্ভূক্ত থাকবে-
ইনফরমেশন শিট
সেলফ চেক শিট
উত্তরপত্র
জব শিট
স্পেসিফিকেশন শিট
কাযক্রমপত্র
জেনেরিক
অকুপেশন
Bbdi‡gkb wkU-1
DcKiY e¨env‡ii Av‡M, e¨env‡ii mgq Ges
e¨envi cieZ©x mg‡q cÖ‡qvRbxq mKj wbivcËv welqK wbqg AbymiY|
e¨w³MZ wbivcËvRwbZ †cvkvK (wcwcB)
cwiavb|
wbivcËv wb‡`©kbv
·
Kg©‡ÿ‡Îi
wbqg Abyhvqx e¨w³MZ wbivcËvRwbZ †cvkvK cwiavb Ki‡Z n‡e|
·
Kg‡ÿ‡Îi
wbqg Abyhvqx mwVKfv‡e wbivc` DcKiY e¨envi Ki‡Z n‡e|
·
Kg©‡ÿ‡Îi wbqg Abyhvqx wekÖv‡gi weiwZ wb‡Z n‡e|
·
‡ckvMZ
¯^v¯’¨ Ges wbivcËv wbðqZv Abymv‡i Kg©‡ÿ‡Î mvRv‡Z n‡e|
·
wPwýZ
c_ w`‡q nuvU‡Z n‡e|
·
DcKiY¸‡jv
e¨eüZ bv n‡j, Kg©‡ÿ‡Îi wbqg Abymv‡i msiÿY Ki‡Z n‡e|
·
wbqg
Abymv‡i Kg©‡ÿÎ cwi®‹vi cwi”Qbœ Ges evavgy³ ivL‡Z n‡e|
·
KviLvbvi
†gS Ges Kg©‡ÿ‡Î AcÖ‡qvRbxq Kvc‡oi UzKiv, myZv-`wo, †bvOiv big Kvco, ayjv,
AveR©bv BZ¨vw` gy³ ivL‡Z n‡e| A_©vr G¸‡jv mwi‡q cwi®‹vi Ki‡Z n‡e| G‡ÿ‡Î KviLvbvi cÖPwjZ wbqg AbymiY Ki‡Z n‡e|
·
‡Kvb
wKQz KvUvi mgq aviv‡jv Qzwi e¨envi Ki‡Z n‡e|
·
wX‡jXvjv
Kvco e¨envi †_‡K weiZ _vK‡Z n‡e| †Kbbv Gÿ‡Î Kvco †gwk‡b AvU‡K wM‡q `yN©Ubv NUv‡Z
cv‡i|
·
hš¿cvwZi
KvQvKwQ KvR Kivi mgq mZK© _vK‡Z n‡e| †Kbbv AmZ©Kvq nv‡Zi Av½yj †K‡U h‡Z cv‡i|
·
AwMœ-wbe©vcb
cÖwµqv m¤ú‡K© Rvb‡Z n‡e|
wbqgvejx
·
AvBwW
KvW© e¨envi Ki‡Z n‡e|
·
GcÖvb
e¨envi Ki‡Z n‡e|
·
wWDwUi
mgq †g‡b Pj‡Z n‡e|
·
nvwRivi
mwVK mgq †g‡b Pj‡Z n‡e|
·
Kg©‡ÿ‡Î
m¤ú‡K© m‡PZb n‡Z n‡e|
·
Kg©‡ÿ‡Î
AcÖ‡qvRbxq †Nviv‡div Kiv hv‡e bv|
·
Kg©‡ÿ‡Î
AcÖ‡qvRbxq K_vevZ©v ejv hv‡e bv|
·
Ab¨
Kg©x‡K wei³ Kiv hv‡e bv|
·
‡gwW‡Kj
†m›Uv‡i hvIqvi mgq †gwW‡Kj KvW© e¨envi Ki‡Z n‡e|
·
Uq‡jU
hvIqvg mgq Uq‡jU KvW© e¨envi Ki‡Z n‡e|
wcwcB (e¨w³MZ wbivcËv †cvkvK) wbe©vPb
Ges e¨envi| †hgb-
·
nv‡Zi
Møvfm
·
gy‡Lvk
(gv¯‹)
·
G‡cÖvb
·
AveR©bv
e¨e¯’vcK
ÎæwUc~Y© hš¿cvwZ| †hgb
·
wcbPvm©
(cxob/Kó †`q Ggbme wRwbm)
·
KuvwP
·
nvZzwo
·
‡ciK
(U¨vK)
·
Qzwi
·
AvuVv‡jv
c`v_©
·
jv÷
ÎæwUc~Y© hš¿cvwZ †givgZ ‡KŠkj
Qzwi, e·KvUvi Ges Ab¨vb¨ aviv‡jv
hš¿cvwZ
wi‡UBj Kg©x‡`i Rb¨ e·KvUvi GKwU
cÖ‡qvRbxq hš¿| Ab¨w`‡K †Wwj KvD›Uvi Kg©x‡`i Rb¨ AZ¨vek¨Kxq| †hgb- gv‡S dvwj
Kivi hš¿| Qzwi Ges Ab¨vb¨ aviv‡jv hš¿cvwZ Kv‡Ri cÖwµqv wbivc` n‡j GKw`‡K mgq
euvPvq| Ab¨w`‡K Av½~j ‡KwU hvIqv †_‡KI iÿv K‡i|
Qzwi Ges e·KvUv‡ii e¨envi
·
Kv‡Ri
Rb¨ mwVK hš¿ e¨envi Kiæb Ges wbwðZ Kiæb hš¿wU †hb aviv‡jv nq|
·
mgmgqB
kixi †_‡K `~‡i KvUvKvwU Kiæb|
·
aviv‡jv
KvUvi¸‡jv memgq Ab¨vb¨ hš¿cvwZ I miÄvgvw` †_‡K Avjv`vfv‡e msiÿY Kiæb|
·
KvwUs
g¨vU e¨envi Kiæb|
·
KvUvi
KvR Qvov Ab¨ Kv‡R Qzi e¨envi Ki‡eb bv|
·
hZvUv
m¤¢e Avcbvi nvZ k³ K‡i Qzwi aiæb|
·
Qzwi
cwi®‹vi ivLyb|
·
Avcbvi
wb‡qvMKZ©v PvB‡j Pvgov ev avZe wbwg©Z Rv‡ji b¨vq Møvfm e¨envi Kiæb|
‰e`y¨wZK hš¿cvwZ I DcKiY
Avcwb †Kvb nvW©Iq¨v‡ii †`vKv‡b A_ve
evBmv‡Kj ev dvwb©Pv‡ii †`vKv‡b KvR Ki‡j Avcbv‡K ˆe`y¨wZK hš¿cvwZ e¨envi Ki‡Z
n‡Z cv‡i| KviY †mLv‡b wewfbœ wRwbm †Rvov jv‡MZ nq| jvMbv‡bvi welq _v‡K| G‡ÿ‡Î
Avcbv‡K K‡¤ú±i, WK †j‡fjvi, e· ¸uvov Kiv hš¿, gvsm dvwj Kivi hš¿mn Ab¨vb¨
Lvevi ˆZwii hš¿ e¨envi Kivi cÖ‡qvRb n‡Z
cv‡i| GBme hš¿cvwZ I DcKiY h_vh_fv‡e ev mZK©fv‡e e¨envi Kiv bv n‡j G¸‡jv †_‡K
gvivZ¥K ÿwZ n‡Z cv‡i|
‡mjd wP wkU-1
1bs cÖkœ
k~Y¨¯’vb c~ib K‡I evK¨wU c~Y© Kiæb|
KvwUs †ev‡W©i Dci KuvwP I Qzwi ivLv.............|
..................wbe©vcb cÖwµqv m¤ú‡K© Rvbyb|
wb‡R wb‡R...................‡givg‡Zi †Póv Ki‡eb bv|
.....................‡cvkvK cwiavb Gwo‡q Pjyb|
Kg©‡ÿ‡Î PjvPj.................n‡Z n‡e|
Avcbvi Pzj hw` Nv‡oi †P‡q j¤^v nq Zvn‡j.............e¨envi Kiæb| A_ev
Avcwb Aek¨B Avcbvi Pz‡ji †cQ‡bi Ask.............ivLyb|
2bs cÖkœ
‡ckvwfwËK Kg©‡ÿ‡Î wbivcËv wewa-weavb Kx?
3bs cÖkœ
Avcwb wK ‡mjvB †gwkb Pvjv‡bv mgq KvUvKvwUi KvR Kivi Rb¨ e¨eüZ e¨w³MZ
wbivcËv DcKiY¸‡jvi bvg Rv‡bb? (Kgc‡ÿ 5wU bvg)|
1 bs †cÖ‡kœi DËi
k~Y¨¯’vb c~ib K‡I evK¨wU c~Y© Kiæb|
KvwUs †ev‡W©I Dci KuvwP I Qzwi ivLv bq|
AwMœ wbe©vcb cÖwµqv m¤ú‡K© Rvbyb|
wb‡R wb‡R ˆe`y¨wZK hš¿cvwZ ‡givg‡Zi †Póv Ki‡eb bv|
wX‡jXvjv ‡cvkvK cwiavb Gwo‡q Pjyb|
Kg©‡ÿ‡Î PjvPj mnR n‡Z n‡e|
Avcbvi Pzj hw` Nv‡oi †P‡q j¤^v nq Zvn‡j Pz‡ji e¨vÛ e¨envi Kiæb|
A_vev Avcwb Aek¨B Avcbvi Pz‡ji †cQ‡bi As †eu‡a ivLyb|
2bs cÖ‡kœi DËi
‡ckvwfwËK Kg©‡ÿ‡Î wbivcËv wewa-weavb¸‡jvi g‡a¨ i‡q‡Q-
·
AvBwW
KvW© e¨envi Kiv;
·
Kg©Kvjxb
mg‡q wWDwU UvBg wVK ivLv;
·
mwVKfv‡e nvwRiv †`qv;
·
Kg©‡ÿÎ
m¤ú‡K© m‡PZb _vKv;
·
Kg©‡ÿ‡Î
AcÖ‡qvRbxq PjvPj bv Kiv;
·
AcÖ‡qvRbxq
Kÿ eÜ ivLv;
·
Ab¨
mnKg©x‡Ki wei³ bv Kiv;
·
wPwKrmv
†K‡›`ª †M‡j †gwW‡Kj KvW© e¨envi Kiv;
·
Uq‡j‡U
†M‡j Uq‡jU KvW© e¨envi Kiv|
3bs cÖ‡kœi DËi
‡gwkb PvjK hLb Kg©‡ÿ‡Î KvwUs †gwkb
Pvjv‡eb ZLb Zv‡K Aek¨B e¨w³MZ wbivcËvRwbZ DcKiY e¨envi Ki‡Z n‡e| †hgb- wbivcËv
MMjm, gy‡Lvk, G‡cÖvb, Møvfm| AveR©bv e¨e¯’vcK 5wU ‡hgb-
KvR: hš¿cvwZ I DcKiY e¨env‡ii Av‡M,
e¨env‡i mgq Ges e¨envi cieZ©x mg‡q cÖ‡qvRbxq mKj wbivcËv wbwðZ Kiv|
wbivcËv wbqg
wb‡R wb‡R ˆe`y¨wZK hš¿cvwZ †givg‡Zi
†Póv Ki‡eb bv|
AwMœ-wbe©vcK m¤ú‡K© Rvbyb|
Pzj Nv‡oii †Pq j¤^v n‡j Pz‡j e¨vÛ
e¨envi Kiæb| A_ev Avcbvi Pz‡ii †cQ‡bi Ask Aek¨B †eu‡a ivLyb|
wbivcËv MMjm&
gy‡Lvk (gv¯‹v)
wbivcËv G‡cÖvb
‡gwkb Pvjv‡bvi mgq wbivcËv G‡cÖvb
e¨envi Kiæb| GB G‡cÖvb Avcbvi kixi‡K iÿv Ki‡e|
nv‡Zi Møvfm
gwkb Pvjv‡bvi mgq wbivcËvi Rb¨ nv‡Zi
Møvfm e¨envi Kiæb|
Kvh©µgcÎ-1
Kv‡Ri mgq ¯§iY ivL‡Z n‡e GgwU 5wU
wbivcËvRwbZ mZ©KZvi ZvwjKv Kiæb|
1..................................................................................................................
2..................................................................................................................
3..................................................................................................................
4..................................................................................................................
5..................................................................................................................
সম্পন্ন হয়েছে
ইনফরমেশন শিট-২
কাজ: প্রয়োজনীয় উপকরণ (আপার), যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি গ্রহণ।
২.১. ওয়ার্ক বান্ডেল গ্রহণ করা ও যাচাই করা।
আপার
এটি জুতার উপরের অংশ। এই অংশ জুতাকে পায়ের সাথে লেগে থাকতে সাহায্য করে। একে আপার বলে। জুতাকে আকর্ষণীয় করতে এই অংশে বিভিন্ন স্টাইল সংযোজন করা হয়।
আপার প্রস্তুতি
১. লাস্টিংকৃত লেদার আপারের লাস্টিং মার্জিন বরাবর রাফিং করে গ্রেইন লেয়ার অপসান করুন।
২. উপরিভাগের ধুলা দুর করুন।
৩. বেশি শোষণকারী আপার লেদার যেমন স্পিøট চামড়ায় দুই ফোটা আঠা প্রয়োগ করুন।
৪. আঠা প্রয়োগ: অ্যাডহেসিভ সুসমভাবে প্রয়োগ করুন। কারণ স্তর যদি পুরু হয় সেক্ষেত্রে ভিতরে সলভেন্ট আটকে থেকে জোড়া দুর্বল হতে পারে।
৫. প্রতিটি কোট কমপক্ষে পাঁচ মিনিট অন্তর দিন।
৬. পূর্নচাপ প্রয়োগের পূর্বে শুকানোর জন্য কমপক্ষে ১৫ মিনিট সময় নিন।
জুতার তলা (সোল)
জুতার বাইরের নিচের অংশকে জুতার তলা বা সোল বলে। এটিই জুতার সবচেয়ে নিচের স্তর যা সরাসরি মাটির উপর পড়ে। এই সোল তৈরি করতে চামড়া, সিনথেটিক রাবার ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন স্টাইল তৈরি করার জন্য সোলের গোড়ালি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অধিক স্থায়িত্বের জন্য রাবার থেকে তৈরি হয়। আর সামনের অংশ চামড়া দিয়ে তৈরি করা হয়। বিশেষ উদ্দেশ্য তৈরি করা জুতায় বিশেষ পরিবর্তন আনা হয়। যেমন- খেলাধূলায় ব্যবহৃত জুতা যেন মাটিকে আঁকড়ে ধরে রাখতে পারেন। সেজন্য আউটসোলে বড় কাটা ব্যবহার করা হয়। অন্যদিকে নাচার কাজে ব্যবহৃত জুতায় অধিক নরম সোল ব্যবহৃত হয়।
জুতার সুকতলা (ইনসোল)
জুতার ভেতরের নিচের যে অংশটি সরাসরি পায়ের সাথে লাগানো অবস্থায় নিচে থাকে, সেটি-ই জুতার সুকতলা। কিছু কিছু জুতায় আলাদা সুকতলা ব্যবহার করা হয়। বাড়তি আরামের জন্য বা স্বাস্থ্যগত কারণে অতবা অন্য কোনো কারণে জুতায় আলাদা সুকতলা ব্যবহার করা। যেমন- জুতার আকৃতি, আর্দ্রাত বা গন্ধ নিয়ন্ত্রণ করতে এটি করা হয়।
মিডসোল
আঘাত নিয়ন্ত্রণের জন্য আউটসোল এবং ইনসোলের মাঝে স্থাপিত স্তরকে মিডসোল বলা হয়। কোনো কোনো বিশেষ জুতার ক্ষেত্রে যেমন- দৌড়ানোর জন্য তৈরি জুতায় আঘাত নিয়ন্ত্রণের জন্য অন্যান্য উপকরণও ব্যবহৃত হয়। এটি গোড়ালির নিচে যেখানে মানুষের শরীরের সবচেয়ে বেশি চাপ পড়ে সেখানে ব্যবহৃত হয়। মিডসোল তৈরির জন্য কী উপাদান ব্যবহৃত হবে তা উৎপাদনকারীর ওপর নির্ভর করে। কোনো কোনো জুতা মিডসোল ছাড়াও তৈরি হয়।
জুতার গোড়ালি (হিল)
জুতার তলার পেছনের অংশকে হিল বলা হয়। এটি জুতা ব্যবহারকারীর পায়ের গোড়ালিকে সাপোর্ট দেয়। জুতার সোল যে উপাদান দিয়ে তৈরি হয় হিল ও একই উপাদান দিয়ে তৈরি হয়। ফ্যাশনের জন্য অথবা নারীরা নিজেদেরকে লম্বা দেখানোর জন্য অনেক সময় উঁচু হিলযুক্ত জুতা ব্যবহার করেন। তবে এটি ফ্ল্যাট এবং আরামদায়কও হয়। এটি দৈনন্দিন ব্যবহারে জন্য ভালো।
শ্যাংক
ইনসোল এবং আউটসোলের মধ্যকার সাপোর্টিভ কাঠামেই হচ্ছে শ্যাস্ক। পর্বত আরোহণের জন্য উপযুক্ত বুট জুতা তৈরির জন্য শ্যাস্ক খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি পর্বত আরোহণের সময় আরোহীদের পায়ের ও গোড়ালির চাপ কমাতে সাহায্য করে। সাধারণত শ্যাস্ক স্টিলের দ্বারা তৈরি করা হয়। তবে এখন এতে ফাইবার গ্লাস এবং কেভলার ব্যবহৃত হয়। এসব উপকরণের অনমনীয়তা বুটের নিরাপত্তা উপাদন হিসেবে কাজ করে যা বুট ব্যবহারকারীর পায়ে ঢালের মতোকাজ করে। ফলে পাথর বা অন্য কোনো কারণে পায়ে আঘাত লাগা বা পা মচকানোর ভয় থাকে না।
লাস্ট
লাস্ট হচ্ছে এমন একটি কাঠামো যা অনেকটা মানুষের পায়ের আকৃতির ন্যায় হয়ে থাকে। মূলত যারা জুতা তৈরি করেন এবং মেরামত করেন তারা এটি ব্যবহার করে থাকেন। লাস্ট মূলত জোড়া হিসেবে তৈরি করা হয়। লাস্ট তৈরিতে শক্ত কাঠ, লোহা ব্যবহৃত হয়। তবে সাম্প্রতিককালে উচ্চ ঘনত্বের প্লাষ্টিক ব্যবহৃত হয়।
টো-পাফ এবং স্টিফেনার
স্টিফেনারের সংযোজন-
স্টিফেনার জুতার আকার ও আকৃতি ঠিক রাখতে ব্যবহৃত হয়। সিনথেটিক উপকরণের (স্টিফেনার) সাহায্যে জুতার টো এবং কাউন্টার (সিটের অংশ) শক্ত করা হয়। এটি সাধারণত থার্মো-প্লাষ্টিক রেজিন এর সাহায্যে প্রলেপ দেয়া ফাইবার বোর্ড বা ফাইবা পদার্থ। তাপ প্রয়োগ করে অথবা দ্রাবকের সাহয্যে আপার এবং লাইনিং এর মধ্যে স্টিফেনারের ধরন অনুযায়ী টো-পাফ সংযোজন করা হয়। লাস্টিং করার সময় জুতার সামনের অংশ প্রথম দিকে নরম থাকে। কিন্তু জুতা তৈরির কাজ শেষ করতে এটি স্থায়ী আকৃতি ধারণ করে।
২.২ গৃহিত উপাদানের গুনগতমান যাচাই
১. প্রান্ত থেকে সেলাই ১.৫ মি.মি এর বেশি দুরত্বে হবে না।
২. ২য় সারির সেলাই ১ম সারি থেকে ২ মি.মি দুরত্বে হতে হবে।
৩. ব্যাক সিম এর জন্য সেলাইয়ের ঘনত্ব হতে হবে ৫-৫.৫ স্টিচ/সে.মি।
৪. ল্যাাপড সিম এবং টপ লাইন সেলাইয়ের জন্য সেলাইয়ের ঘনত্ব হতে হবে ৪-৪.৫ স্টিচ/সে.মি।
৫. কোন অসম্পূর্ণ সেলাই গ্রহণযোগ্য নয়।
৬. ভুল টেনশনযুক্ত সেলাই গ্রহণযোগ্য নয়।
৭. কোন নোংরা আপার গ্রহণযোগ্য নয়।
৮. আপার এর উপর অল্প পরিমাণ দ্রবণ ব্যবহার করতে হবে।
৯. আপার এর সাথে লাইনিং সংযুক্ত করা জন্য রাবার সলিউশন ব্যবহার করতে হবে।
১০. কোন প্রান্তুমুক্ত বা খোলা সেলাই গ্রহণযোগ্য নয়।
১১. ক্ষুদ্র ছিদ্রযুক্ত আংটা বা আইলেটিং অবশ্যই সুস্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হতে হবে।
১২. আইলেটিং এর দুরত্ব উপর থেকে ১০ মি.মি হতে হবে। দুটি আইলেটের মধ্যবর্তী দুরত্ব পরস্পর থেকে ১৫ মি.মি হতে হবে।
১৩. আইলেটগুলো শক্তভাবে বসাতে হবে। কোনভাবেই ঢিলাঢালা অথবা নষ্ট হওয়া যাবে না।
২.৩: কাজের অংশসমূহ সঠিক ক্রমানুযায়ী উপস্থান করা হয়েছে (ডারবি শু):
কাটিং
যাচাই / গুণগতমান নিয়ন্ত্রণ
অনুসন্ধান করা
চিহ্নত করা
স্কাইভিং
সংযুক্ত করা
নিউপ্রিন আঠা দিয়ে লাইনিং সংযুক্ত করা
নিউপ্রিন আঠা দিয়ে লাইনিং সংযুক্ত করা
সেলাই
লাইনিং সেলাই
আপার সেলাই
টপলাই মজবুত করা জন্য চিহ্নিত ও সংযুক্তকরা
টপলাইন ফোল্ডিং করা
ডনউপ্রিন আঠা দিয়ে আপার (পেছনে + সামনের অংশ) সংযুক্ত করা
নিউপ্রিন আঠা দিয়ে টপলাইন সংযুক্ত করা
সেলাই
টপলাইন সেলাই
টাং সেলাই, কাউন্টার ক্লোজড সিম সেলাই
ট্রিমিং করা
সুতার প্রান্ত পোড়ানো
প্রান্ত রং পোড়ানো
আইলেটিং- ৪ এমএম ব্যাসের কালো রং- এর আইলেট দ্বারা
যাচাই / গুণগতমান নিয়ন্ত্রণ
আপার সম্পূর্ণ করা
২.৪. উপকরণ যাচাই
১. হিল ক্ল্যাম্প আঁঠালো খন্ডগুলো সংযুক্ত করা উপকরণ
২. ট্যাক চালানোর মেশিন
৩. হিল সংযুক্ত করার মেশিন
৪. শু লাস্ট
৫. শু-মেকারের স্ট্যান্ড
৬. নেইলিং মেশিন
৭. লাস্টিং স্ট্যঅন্ড
৮. শু-সোলিং যন্ত্রপাতি
৯. শু-সোলকে ট্রিমিং করা নিরাপদে ছুরি
১০. শু-মেকারের জন্য বেঞ্চ উপকরণ
১১. সোল ট্যাকার
১২. জুতার সাথে হিল সংযুক্ত করার মেশিন
১৩. জুতার কাউন্টার অংশ নরম করার মেশিন
১৪. চিমটা
১৫. কাঁচি
১৬. হাতুড়ি
১৭. ট্যাক
১৮. ছুরি
১৯. অ্যাডহেসিভ
২০. লাস্ট
রেকর্ড সংরক্ষণ
২১. উপকরণসমূহ নিপুণ ও নিখুঁতভাবে পরিচালনা এবং স্থাপন করা।
২২. প্রক্রিয় অনুযায়ী কাজের সঠিক রেকর্ড সংরক্ষণ করা।
২৩. পেশাগত নিরপত্তা ও স্বাস্থ্য (ওএইচএস) কৌশল এবং কার্যপদ্ধতি অনুযায়ী কাজ করা।
২৪. গুনগতমান বজায় রেখে কাজ করা।
২৫. কর্মস্থলে কার্যকর যোগাযোগ রক্ষা করা।
২৬. নির্ধারিত প্রক্রিয়া নিরূপণ ও প্রয়োগ করা।
সেলফ চেক শিট-২
প্রশ্ন-১
ওয়ার্ক বান্ডিল থেকে কোন কোন উপাদান এবং যাচাই করা হয়েছে?
১. .............................................................................................
২. .............................................................................................
৩. .............................................................................................
৪. .............................................................................................
৫. .............................................................................................
৬. .............................................................................................
৭. .............................................................................................
৮. .............................................................................................
প্রশ্ন-২
গৃহিত উপাদানের অংশসমূহের গুণগতমানে সম্পর্কে ৫টি পয়েন্ট লিখন।
১. .............................................................................................
২. .............................................................................................
৩. .............................................................................................
৪. .............................................................................................
৫. .............................................................................................
উত্তরপত্র-২
১ নং প্রশ্নের উত্তর
ওয়ার্ক বান্ডিল থেকে যে যে উপাদান গ্রহণ এবং যাচাই করা হয়েছে-
১. আপার
২. জুতার তলা বা সোল
৩. ইনসোল
৪. মিডসোল
৫. শ্যাস্ক
৬. হিল
৭. লাস্ট
৮. টো-পাফ এবং স্টিফনার
২নং প্রশ্নের উত্তর
১. গৃহিত উপাদানের অংশসমূহের গুণগতামান সম্পর্কে ৫টি পয়েন্ট-
২. প্রান্ত থেকে সেলাই ১.৫ মি.মি এর বেশি দুরত্বে হবে না।
৩. ২য় সারির সেলঅই ১ম সারি থেেেক ২ মি.মি দুরত্বে হতে হবে।
৪. ব্যাক সিম এর জন্য সেলাই ঘনত্ব হতে হবে ৫-৫.৫ স্টিচ/ সে.মি।
৫. ল্যাপড সিম এবং টপ লাইন সেলাইয়ের জন্য সেলাইয়ের জন্য ঘনত্ব হতে হবে ৪-৪.৫ স্টিচ/ সে.মি।
৬. কোনো অসম্পূর্ণ সেলাই গ্রহণযোগ্য নয়।
জব শিট-২
কাজ – ওয়ার্ক ব্যান্ডিল গ্রহণ এবং চেক করা
আপার
জুতার যে অংশ বা অংশসমূহ সোলের সাথে সংযুক্ত থেকে পায়ের পদাঙ্গুল, পায়ের উপরের অংশ, পায়ের পার্শ্বের এবং হীকার পেছনের অংশটি ঢেকে রাখে তা আপার নামে পরিচিত।
সোল
জুতার বাইরের দিকে নিচের অংশকে জুতার তলা বা সোল বলে। এটিকে আউটসোলও বলা হয়। এটি সরাসরি মাটির সংস্পর্শে থাকে।
ইনসোল
ইনসোল বা সুখতলা হচ্ছে জুতার ভেতরের তলদেশের অংশ যা সোলের সাথে লেগে থাকে।
মিডসোল
মিডসোল হচ্ছে ইনসোল এবং আউটসোলের মর্ধবর্তী অংশ।
শ্যাস্ক
পায়ের আর্চ অবস্থানের নিচে জুতার সোল ও ইনসোলের মধ্যবর্তী স্তরে শ্যাস্ক বসানো থাকে। শ্যাংক পায়ের ভার বহন করে এবং জুতার নির্দিষ্ট আকৃতি গঠনে সাহায্য করে।
হিল
জুতার পেছনের অংশ যা গোড়ালির নিচে থাকে।
লাস্ট
লাস্ট হচ্ছে মানুষের পা এর মত একটি কাঠামো। জুতার কারিগরেরা জুতাকে পায়ের সাথে মানানসই করে এবং জুতার নকশা ঠিক করতে লাস্ট ব্যবহার করে।
স্টিফনার
জুতার কাউন্টার অংশে আপার ও লাইনিং এর মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত শক্ত উপকরণক কাউন্টার বলে।এটি জুতার পেছনের অংশের স্থায়ী আকৃতি প্রদানে সহায়তা করা।
টো-ক্যাপ
এটি চামড়া বা ধাতব পদার্থের তৈরি শক্ত আবরণ। জুতার সামনের অংশে টো-ক্যাপ ব্যবহৃত হয়।
কার্যক্রমপত্র-২
হ্যান্ড লাস্টিং এ ব্যবহৃত ৫টি উপকরনের নাম লিখুন।
১. ....................................................................................
২. ....................................................................................
৩. ....................................................................................
৪. ....................................................................................
৫. ....................................................................................
হ্যান্ড লাস্টিং-এ মেনে চলা উচিত এমন তিনটি নিয়ম বা রেকর্ড লিখুন।
১. ....................................................................................
২. ....................................................................................
৩. ....................................................................................
ইনফরমেশন শিট-৩
কাজ: লাস্টের সাথে ইনসোল সংযুক্তকরণ প্রক্রিয়া ও আপার কন্ডিশনিং পদ্ধতি
লাস্টের সাথে ইনসোল সংযুক্তকরণ পূর্বে
লাস্টের সাথে ইনসোল এবং আপার সংযুক্ত করার আগে লাস্টটি চেক কওে নিতে হবে।
১. লাস্ট থেকে ইনসোলকে আলাদা করতে হবে। এরপর প্যাটার্ন পেপারের উপর সমতলভাবে বিছিয়ে দিতে হবে।
২. তারপর নিচের প্রান্ত বরাবর কাটতে হবে।
৩. টো এবং হিল এর মাঝখানের বিন্দুগুলো চিহ্নিত করতে হবে।
৪. এরপর মধ্যবর্তী বিন্দু দুটি যোগ করতে হবে এবং লাইনটির ১/৩ অংশ চিহ্নিত করতে হবে।
৫. লাইনটির ১/৩ অংশ থেকে সমকোণে একটি সরলরেখা ড্রইং করতে হবে।
৬. সরলরেখা থেকে ১ মি.মি করে কাটতে হবে। এরপর প্রান্ত দুটি মাস্কিন টেপ দিয়ে সংযুক্ত করতে হবে।
৭. এখন ইনসোল উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত হলো।
হাত দিয়ে লাস্টের সাথে ইনসোল সংযুক্তকরণ
একটি ইনসোলযুক্ত শু-লাস্টের নিচে অন্তত একটি নিাপদ ও সংরক্ষিত অংশ থাকে। এর প্রসারিত অংশের লাস্টের নিচের অংশ থেকে বল প্রয়োগ করে ইনসোল কাটা যায়। এর দৈর্ঘ্য বরাবর প্রসারিত অংশ ও প্রস্থ বরাবর স্থানে ইনসোলকে লাস্টের সাথে ধরে রাখে।
ক্লেইম ১ অনুযায়ী সংরক্ষিত অংশ লাস্টের নিচের সামনে অংশে অবস্থান করে। আর কাটা প্রান্তগুলো প্রস্থ বরাবর বর্ধিত ইনসোলের উপাদনগুলোকে প্রান্তের মাঝে ধরে রাখে। পলে ইনসোল লাস্টের সাথে সংযুক্ত হয়।
ক্লেইম ১ অনুযায়ী শু-লাস্টের কর্তনকৃত প্রান্তগুলোকে সক্রিয় (অপঃরাধঃব) করে।
ক্লেইম ১ অনুযায়ী সু-লাস্টের হিলে পেছনের অংশের প্রান্ত বাঁকানো থাকে। এর ফলে সম্পন্নকৃত জুতা থেকে লাস্ট সরিয়ে ফেলা সহজ হয়।
ক্লেইম ১ অনুযায়ী সু-লাস্টের কর্তনকৃত প্রান্তগুলো দৈর্ঘ্য বরাবর তৈরি হয়। এর বর্ধিত অংশ মূল অংশের সাথে লাস্টে দৃঢ়ভাবে আটকে থাকে।
লাস্টের ইনসোল কাটার অস্থায়ী একটি পদ্ধতি আছে। লাস্ট কাটার জন্য ইনসোল সিকিউকিং আছে। এর নিচে ইনসোলকে রেখে চাপ প্রয়োগ করে ইনসোল কাটতে হয়। ফলে ইনসোল সঠিক মাপে কেটি যায় এবং লাস্টের নিচে আটকে থাকে।
কন্ডিশন আপার
কাজের ধরন অনুযায়ী কন্ডিশনিং চেম্বারের তাপমাত্রা সমন্বয় করা
বহু বছর আগে থেকেই জুতার কারিগরেরা জানেন যে, আপার এর সাথে লাস্ট সংযুক্ত কারার পূবের্ঃ আপারটি একটু ভিজিয়ে নিতে হয়। এতে সংযুক্ত করা খুব সহজ হয়। এই কাজের জন্য বাজারে ডিটারজেন্ট এবং সাবান জাতীয় জিনিসের মিশ্রণ পাওয়া যেত। এইগুলো স্পঞ্জ দিয়ে লাগানো হতো এবং এই মিশ্রণগুলোকে ওয়েলটেড সলিউশন বলে। যাই হোকে, প্রতিটি আপারের জন্য এ রকম করা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। তাই পরবর্তীতে অন্য পদ্ধতি অবলম্বন করা শুরু হয়। জুতা দ্রুত ঋৎপাদনের জন্য ত্রিশ বছর আগে, মুলিং চেম্বার বা অটোমইজিং রুম পদ্ধতি চালু হয়। এই পদ্ধতি খুব গ্রহণযোগ্যতা পায়। এই পদ্ধতিতে একটি ছোট বন্ধ রুমে আপরগুলোকে কিছু সংখ্যাক খুঁটির সাথে ঝুলিয়ে রাখা হতো। তখন রুমের মধ্যে একটি কুয়াশাপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করা হতো। যতক্ষণ পর্যন্ত আপারগুলো লাস্টিং এর জন্য উপযুক্ত না হয় ততক্ষণ সেগুঅে আংটায় ঝুলিয়ে রাখা হতো। এরপর লাস্টিং এর জন্য আপারগুলোকে সংগ্রত করা হতো। কিছু আপার যেগুলো ঠিকমতো বা পরিমান অনুযায়ী পানি গ্রহণ করে নি, সেগুলোর জন্য আরো কিছু ধাপ অবলম্বন করতে হতো।যেসব আপার খুব বেশি ভিজে যায় সেসব আপার লাস্টের সংস্পর্শে এর আপারের লাইনিং এ দাগ পড়ে। মাঝে মাঝে এই ধরনের আপার যখন একসাথে বান্ডিল করে রাখা হয় তখন এর সব কায়গায় দাগ দেখা যায়।
এই পদ্ধতি কয়েক বছর ধরে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিশেষ করে যেসব চামড়ার গ্রেইন অংশের কুচকানোর সম্ভাবনা বেশি থাকে সেগুলোর জন্য এখনও ব্যবহৃত হয়। আপারগুলো কেবিনেটের ভেতরে রডের উপর বিছানো থাকে ৫০ সে. তাপমাত্রায় ১৫-৩০ মিনিট সময় দরে দ্রুত গতিতে আপারের ্ওপর দিয়ে পানির প্রবাহ চালনা করা হয়। এই প্রবাহ চালনা শেষ হওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব আপারের লাস্টিং শুরু করা জরুরি। কারণ কারখানার গরম আবহাওয়ায় আপারের আর্দ্রতা চলে যেতে পারে। তাছাড়া, পুরো আপার বিবেচনা করলে এর পেছনের অংশ তখনও ব্যাক মল্ডিং এবং সিট লাস্টিং এর জন্য ভালো অবস্থায় থাকে।
হিট সেটিং
হিট সেটিং এর ফলে লাস্টেড আপার এর অভ্যন্তরীণ চাপ সরে গিয়ে আপারকে আগের মসতল আকার পেতে সাহায্য করে। কিন্তু এখানে, স্যান্ডেল বা চরি এর জন্য হিট সেটিং জুররি নয়।
নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আপার এর সামনের অংশ চেম্বার রাখা
যে ওভেনে আপাকে টেকসই বা শক্ত করা হয় সেখানে আপারকে ইনসোলের সাথে আঠা দিয়ে সংযুক্ত করা হয়। ওভেন চেম্বার এর ভেতরে চেম্বার এর ভেতরকার গরম বাতাস দিয়ে এর ভেতরে কনভেয়ব বেল্ট এ রাখা শু-আপার লাস্ট এর স্থাপন করা হয়। আস্তে আস্তে পরিবহন ও পরিচালনা পদ্ধতিতে কম তাপমাত্রা রাখতে হবে যেন বাড়তি তাপমাত্রায় শু-আপার থেকে ইনসোল আলাদ হয়ে না যায়। কনভোয়ার বেল্ট সাধারণত কম তাপ পরিবাহক উপাদান দিয়ে তৈরি হয়। আাঁশ জাতয়ি উপকরণ (ঋরনৎব সধঃবৎরধষ)।
শর্তসমূহ
যে ওবেনে আপাকে টেকসই বা শক্ত করা হয় সেখানে আপারকে ইসোলের সাথে আঠা দিয়ে সংযুক্ত করা হয়। ওভেন চেম্বার এর ভেতরকার গরম বাতাস দিয়ে এর ভেতরে কনভেয়র বেল্ট এ রাখা শু-আপার লাস্ট এ স্থাপন করা হয়। আস্তে আস্তে পরিবহন ও পরিচালনা পদ্ধতিতে তাপমাত্রা কমাতে হয় যেন বাড়তি তাপমাত্রায় শু-আপার থেকে ইনসোল আলাদ হয়ে না যায়। ১) ওভেনের চেম্বারের ভেতরে যেখানে কনভেয়র বেল্ট চলে তার উপরের শীতল সহায়ক তলই শীতলীকরণ প্রকোষ্ঠ। ২) ওভেনের সহায়ক তল হচ্ছে চেম্বারের চারপাশের সেই দেয়াল যা ভেতর দিয়ে শীতল তরল পদার্থ চলাচল করতে পারে। ৩)ওভেনের কনভেয়ার বেল্ট হচ্ছে জালের মতো বা ঢেউ খেলানো আঁশের মতো শীতলীকরণ প্রকোষ্ঠ যা বেল্টের ভেতরে দিয়ে জোরে শীতল বায়ু প্রবাহ করে। ৪) ওভেনের চেম্বারের ভেতরে যেখানে কনভেয়ার বেল্ট চলে, তর ওপরে একটি ছিদ্রযুক্ত সহায়ক তল যা চেম্বারের দেয়াল হিসেবে কাজ করে এবং এর মধ্য দিয়ে শীতল তরল প্রবাহিত হয়। অথবা ৫) ওভেনের শীতল তরল কক্ষ তাপমাত্রা বা আগের শীতলীকরণ বায়ুর তাপমাত্রার সমান হয়।
উপরোক্ত যেকোন একটি শর্ত দাবি করলে এর মধ্যে যে শর্তটি অবশ্যই থাকতে হবে তা হচ্ছে ওভেনের কনভেয়ার বেল্ট। এটি জালের মতো বা ঢেউ খেলানো আঁশের মতো শীতলীকরণ প্রকোষ্ঠ। এই বেল্টের ভেতর দিয়ে জোরে শীতল বায়ু প্রবাহ হয়।
বর্ণানা
১. বর্তমান সময় আবিষ্কার করা ওভেনের সাথে সম্পর্কিত যা আপার মাউন্টেড লাস্টকে স্থিতিশীল করে। বিশেষ করে শু-রেক স্থিতিশীল করতে আপারকে ইনসোলের সাথে আঠা দিয়ে সংযুক্ত করে।
২. জুতা উৎপাদনকারী কারখানাগুলোতে জুতা তৈরির একটি সাধরণ ধাপ হচ্ছে ওভেন স্থিতিকরণ প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে আপার, লাস্টের উপর থাকে এবং তাপের মাধ্যমে ইনসোলের সাথে যুক্ত হয়। এ পরীক্ষাটি খুব অল্প সময়ে করা হয়, এবং আপারের অভ্যন্তরিন চাপ মুক্ত করা হয়। ফলে আপারকে যে কোন ধাপে লাস্ট থেকে সরিয়ে ফেলা সহজ হয়।
৩. জুতা স্থিতিকরণ প্রক্রিয়া সাধারণত গরম বায়ু সম্বলিত ওভেনের ভেতরে সংঘটিত হয়। এর মধ্যে যা কনভেয়ার বেল্ট দিয়ে চলমান তাকে। ওভেনের ভেতরে তাপমাত্রা সাধাণত ৭০ সে. থেকে ২০০ সে. এর মধ্যে থাকে। তাপমাত্রা সাধারণত নির্ভর করে ওভেনের দৈর্ঘ্যরে ওপর। ওভেনের ভেতহর জুতার চলার গতির উপর, চামড়ার ধরনের ওপর এবং বায়ুস আর্দ্রতার পরিমানের উপর। এই স্থিতিকরণ পদ্ধতি ততই দ্রুত এবং ফলপ্রসূ হবে, ততই ওভেনের ভেতরের তামাত্রা বেশি হবে। তবে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সময় অবশ্যই চামড়ার বা জুতার প্রকৃতি অনুযায়ী বাড়াতে হবে। এটি একটি সাশ্রয়ী পদ্ধতি। এই পদ্ধতি জুতা তৈরির সময় কমিয়ে দেয়। যাই হোক, তীব্র তাপমাত্রায় স্থিতিকরণ পদ্ধতি এখন অন্য একটি উপাদান দ্বারা নিষ্কাশন করা হয়েছে। এটি বর্তমানে শু-তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয় যেখানে শু-আপারের প্রান্তগুলোকে স্থির করে দেয়া হয়। কোন পেরেক দিয়ে নয়। বরং ইনসোল এর উপর দিয়ে জড়িয়ে আঠা দিয়ে করা হয়।
৪. ওভেন স্থিতিকরণ পদ্ধতিতে আপার সংযুক্তির জন্য তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে মৌলিক উপাদান। এর কারণ হচ্ছে এ পদ্ধতিতে তাৎক্ষণিকভাবে আপারের উপর আঠা লাগানো শুরু হয়। এর ফলে শু স্থিতিশীল ওভেনে প্রবেশের সময় আঠা প্রাথমিক বা আংশিক বৃদ্ধি পায় এবং পরে শুকায়। তার মানে এই যে, যদি তীব্র তাপমাত্রায় আঠা গরম করা হয়, তারপর নরম করা হয়, তাহলে আপার থেকে ইনসোলে খুলে যেতে পারে। কারণ আপারের উপর প্রয়োগকৃত বল তখনও সরানো হয় নি।
৫. বর্তমান যুগে এটি একটি সার্বজনীন সমস্যা। এই রকম আনগ্লুইং-শু- আপার প্রচলিত আঠার তুলনায় বেশি আর ক্ষয়ের ক্ষমতাও বেশি, এটা যদি বেশী সময় ধরে তাপমাত্রা বেশী রাখা হতে আপারকে আলাদা করে দেয়।
জুতা প্রস্তুকারীদের জন্য আপার ইনসোল থেকে আলাদা হওয়া অবশ্যই একটি ক্ষতিকর পরিনাম। এর ফলে আপার ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আপারের একটি ছোট অংশও যদি ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাও সেটি খুব সহজে বোঝা যায়। তাই বর্তমানে উৎপাদনকারীরা এগুলো বাজেয়াপ্ত করে। উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে ঘটতে পারে। যেমন ত্রুটিপূর্ণ জুতা তৈরি হবে, যেখানে ক্রেতা যখন ব্যবহার শুরু করবে তখন দেখবে আপারের আঠা খুলে গেছে। এটি কারখানার ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করবে যা কখনোই ফিরে পাওয়া যাবে না। এমকি টাকার বিনিময়েও না।
৬. শু- আপার থেকে আঠা যাওয়ার মারাত্বক ক্ষতিকর প্রভাব আছে স্থিতিকরণ ওভেনে। তাই জুতা প্রস্তুতকারীরা আঠা খোলার এই ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও বর্তমানে তীব্র তাপমাত্রায় এই প্রক্রিয়া চালিয়ে জুতা উৎপাদন বাড়াতে চায়।
৭. অতএব আপার থেকে আঠা যাওয়ার মারাত্বক ক্ষতিকর প্রভাব বিবেচনা করে বর্তমানে এমন ওভেন আবিষ্কার করা প্রয়োজন যা উপরোক্ত ক্ষতিকর দিকগুলো থেকে মুক্ত করবে। ইনসোল থেকে আঠা খুলে যাওয়ার মতো ঘটনা যাতে না ঘটে এজন্য প্রচলিত ধারার ওভেন ব্যবহার করার চিন্তা বাদ দিয়ে নতুন ধারার ওভেন আবিষ্কার করা প্রয়োজন। জলে বেশি তাপমাত্রায় জুতা তৈরির কাজ করা যায়।
৮. ক্ষতিকর দিকের কথা চিন্তা করে বর্তমানে যে ওভেন স্থিতিকরণ (ংঃধনরষরংধঃরড়হং) ব্যবহার করা হয়, সে ওভেনে ইনসোলের সাথে আঠা একদম সংযুক্ত থাকে। ফঃেল ইনসোল লাস্টের সাথে যুক্ত থাকে। এটি একটি কনভেয়র বেল্টের মধ্য দিয়ে ওভেন চেম্বারে চলমান থাকে। এর চারপাশে একটি শীতলীকরণ প্রকোষ্ঠ আছে। এই শীতলীকরণ প্রকোষ্টটি আপার এর তাপমাত্রা কমিয়ে রাখে। যে তাপমাত্রায় আঠা ইনসোল থেকে খুলে যতে পারে তার চেয়ে কম তাপমাত্রায় প্রকোষ্ঠটি রাখা হয়।
৯. বর্তমানে আবিষ্কৃত ওভেনে যে শীতলীকরণ প্রকোষ্টটি আছে তার ভেথরে একটি শীতল তরল সর্বদা চলমান আছে। এই প্রকোষ্টটি কনভেয়ার বেল্টের চারপাশে দেয়াল হিসেবে কাজ করে। উপরোক্ত বর্ণিত শীতল তরল আসলে বিশেষ বায়ুপ্রবাহ।
১০. আবিষ্কৃত ওভেনের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, কনভেয়ার বেল্টটি নিম্ন তাপীয় পরিবাহক উপাদন দিয়ে তৈরি। এটি অনেকটা তন্তু প্রকৃতির।
১১. বর্তমানে আবিষ্কৃত ওভেনে কনভেয়ার বেল্টটি ঢেউ খেলা তন্তুর মতো। এর চারপারশে যে প্রকোষ্টটি আছে তা ছিদ্রযুক্ত। এর মধ্যে যাতে শীতল বায় সহজেই বেল্টের মধ্য দিয়ে চালিত হতে পারে। আর শু- আপারের নিচের অংশকে শীতল করতে পারে।
সেলফ চেক শিট-৩
প্রশ্ন ১:
আপারের লাস্টের যুক্ত করার আগে আপনার কী কী দরকার?
১. ....................................................................................
২. ....................................................................................
প্রশ্ন ২:
আপার কন্ডিশনিং এর তাপমাত্রা কত?
....................................................................................
....................................................................................
উত্তরপত্র-৩
১ নং প্রশ্নের উত্তর
১. সাইজ অনুযায়ী ইনসোল আছে কিনা তা দেখা।
২. লাস্টের আকৃতি অনুযায়ী সাইজ এবং জোড় মিলিয়ে রাখা।
২নং প্রশ্নের উত্তর
আপার কন্ডিশনিং এর তাপমাত্রা কত?
আপার কন্ডিশনিং এর তাপমাত্রা হবে ৭০-২০০ সে. এর মধ্যে।
জব শিট-৩
হাতের সাহায্যে ইনসোল সংযুক্ত করা
১. লাস্টের সাথে ইনসোল এবং আপার সংযুক্ত করার আগে লাস্ট বা পায়ের সাইজ চেক করতে হবে।
২. ইনসোলের সাইজ ঠিক আছে কিনা তা লাস্টের সাইজের সাথে মিলিয়ে নিতে হবে। তারপর তা লাস্টের সাথে যুক্ত করতে হবে।
৩. টো এবং আপারকে ঠিকভাবে স্থাপন করতে হবে।
আপারের কন্ডিশন
হিট সেটিং মেশিনের সাহায্যে আপারের কন্ডিশনিং
শু-আপার, কৃত্তিম আঁশের তৈরি শু-আপার এবং এমনকি মিশ্রিত শু-আপারের সমস্যা রয়েছে যা ফিনিশিং প্রস্তুতকারক ও বিক্রেতাদের জন্যও সমস্যা। সাধরণ সমস্যাগুলো নিম্নরূপ-
১. নিংড়ানো দাগ থাকা;
২. ফাটা এবং সেলাইয়ের সময় শু-আপারের কাত (ঞরষঃরহম) হয়ে যাওয়া;
৩. শু-আপারের উভয় প্রান্তে ভাঁজ করার দাগ থাকা;
৪. ফিনিশিংয়ের সময় রং এর পরিবর্তণ হয়ে যাওয়া।
উপরের সব কিছু বিবেচনায় রেখে মেশিনের মডেলের নকশা করা হয়েছে। কারণ এই মেশিন আপনার বিনিয়োগের চেয়েও বেশি অর্থ আপনাকে ফেরত দেবে।
গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যসমূহ
স্টিম চেম্বার
স্টিম চেম্বারের সাথে মেশিন স্থাপন করা হয় যাতে শু-আপারের প্রবেশ পথে আর্দ্রতা যুক্ত হতে পারে।
‘জে’ বক্স
ট্রিটমেন্ট চেম্বারে ফিডেড হওয়ার আগে শু-আপার কয়েক সেকেন্ড এর জন্য ‘জে’ বক্স এ থাকবে। তাপের কারণে ফাইবার বা তন্তু নম হবে আর ‘জে’ বক্স এ অবস্থানের প্রত্যেকটি তন্তু আর্দ্রতা শোষাণ করতে পারবে।
প্রবেশ পয়েন্ট
প্রবেশ পয়েন্টে শু-আপার ট্রিটমেন্ট চেম্বারে গাইডেড হবে যেখানে একটি পূর্বনির্ধারিত অ্যঅডজাস্টেবল গঠন শু- আপারকে প্রয়োজন অনুযায়ী আকৃতি দেবে।
ট্রিটমেন্ট চেম্বার
ট্রিটমেন্ট চেম্বার এর পবেশ পথে ওপরে এমনভাবে ডিজাইন করা হবে যেন এটি শু-আপারকে তাপ প্রয়োগে প্রয়োজনীয় আকৃতি দান করে। চেম্বারের ভেতরে পূর্ব স্থাপিত যন্ত্রটি তাপ ছাড়তে শুরু করে। আর শু-আপার চেম্বারস থেকে যাথযথ তাপ পেতে থাকে। এটি সবধরনের সিনথেটিক এবং ব্লেন্ডেড জুতার জন্য আবশ্যাক।
ষ্টীল রোলার
ট্রিটমেন্ট চেম্বারের ওপরে স্থাপিত ষ্টীল রোলার তন্তুকে তাপের মাধ্যমে চাপ দিয়ে সুন্দর ফিনিশিং দেয়া হয়। তারপর কনভেয়ারের সাহায্যে শু-আপার কলিং যন্ত্রে পৌঁছে যায়।
কুলিং চেম্বার
কুরিং চেম্বার বাতাস প্রবাহিত করার যন্ত্রের সাথে যুক্ত থেকে ট্রিটমেন্ট চেম্বার থেকে বের হয়ে আসা শু-আপারকে ঠান্ডা করে। এই পদ্ধতি শু-আপার থেকে শুধুমাত্র তাপ শোষণ করে তা নয়। বরং এটি শু-আপারকে রং পরিবর্তন হতেও রক্ষা করে। কারণ শু-আপার যখন গরম থাকে তখন রং পরিবর্তন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ট্রলি
সমন্বয় করা যায় এমন বৈদ্যুতিক যন্ত্রের (ডিভাইস) প্যানেল চলমান ট্রলি প্রতিস্থাপিত হয়ে শু-আপারকে একটি সমান ভাঁজ প্রদান করে এবং ফিনিশের প্রস্থ মজবুত রাখে।
কন্ট্রোল প্যানেল
ইনভারটরের সাহায্যে চালিত ওয়ান টাব কন্ট্রোল প্যানেরল সহজভাবে মেশিন চালনায় সাহায্য করে। মোটরটি শু-আপারকে যথাযথভাবে প্রস্তুত করে তোলে। এটি তন্তুর গিট এবং প্যাঁচ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
উপরোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো এই মেশিনটিকে আপনার চাহিদার উপযোগী করে তোলে।
স্পেসিফিকেশন
প্রয়োজনীয় শক্তি : ৩২ কে ডব্লিও-এইচ, ৮ ডব্লিও-এম
প্রয়োজনীয় বাষ্প : ৫০ কেজি
সর্বোচ্চ বাষ্পীয় চাপ : ৪ বি এ আর
ব্যবহারেরযোগ্য কার্য-বিস্তৃতি : ১৪০০এম এম
কাজের গতি : ০-১৫ এম
মাত্রা সমূহ
প্রস্থ : ৩৬০০ এম এম
দৈর্ঘ্য : ৪০০০ এম এম
উচ্চাত : ২৬০০ এম এম
মোট ওজন (প্রায়) : ৩০০০ কেজি
কার্যক্রমপত্র-৩
হিট সেটিং মেশিনের যন্ত্রাংশগুলো নাম লিখুন।
১. ....................................................................................
২. ....................................................................................
৩. ....................................................................................
৪. ....................................................................................
৫. ....................................................................................
৬. ....................................................................................
৭. ....................................................................................
৮. ....................................................................................
ইনফরমেশন শিট-৪
কাজ: হাতের মাধ্যমে লাস্ট দ্বারা জুতা তৈরি এবং আপারকে লাস্টেও নিচের দিকে টানা।
হাতের মাধ্যমে লাস্ট দ্বারা জুতা তৈরির প্রকিয়া
আপাকে সঠিকভাবে স্থাপন করতে হবে এবং লাস্টিং প্রক্রিয়ায় দক্ষতার সাথে এক ব্যবহার করতে হবে। চাহিদামতো একে সমন্বয় করতে হবে যাবে গুণগতমান অর্জিত হয় এবং নকশা ঠিক থাকে।
১. প্রথমে ইনসোল লাস্টের সাথে সংযোজন করতে হবে।
২. টো-পাফ এবং স্টিফেনার আপার সংযুক্ত করতে। জুতা তৈরির জন্য বিভিন্ন ধরনের পদার্থ ব্যবহার করা যতে পারে। কিন্তু হাতে তৈরি জুতার জন্য সেগুলো সাধারণত চামড়ার হয়। বিশেষ করে যদি জুতায় ফিতা থাকে বা জুতা যদি ফিতা দিয়ে বাঁধতে হয়।
অবস্থান অর্জন করা জন্য সমন্বয় সাধন করা
১. তৈরিকৃত আপারকে প্রথমে লাস্টের উপর স্থাপন করতে হবে। এরপর এক জোড়া লাস্টিং সাঁড়িশি ব্যবহার করে প্রথশ ড্রাফটিং পুল তৈরি করতে হবে। পরিচালনার পথেম অংশে প্রতিটি পুলকে আমরা একটি ড্রাফট বলব। সংখ্যাসূচক ক্রমে সেগুলো তৈরি হবে এবং তা অবশ্যই হতে হবে ডায়াগ্রামে নির্দেশিত নিয়মে।
২. প্রথম পুল লাস্টের উপর আপারের পজিশনিং এর ফলে লাস্টের দৈর্ঘ্য বরাবর হবে। টপ লাইন এর উপর কিছু টেনশন রেখে ইনসোলের টোর শেষ প্রান্তে আপারের সংযুক্ত করতে হবে।
৩. দ্বিতীয় এবং তৃতীয় জুতার সামনের অংশকে প্রসারিত করে। (এক্ষেত্রে সমস্ত আপার সোজা আছে কিনা তা সযত্নে পরীক্ষা করতে হবে)।
৪. চতুর্থ ড্রাফটিং করা সীট পজিশনের জন্য। (এই পয়েন্টে আমাদের চেক করে দেখতে হবে যাতে পেছনের সেলাই সোজা হয় এবং টপ লাইন সঠিক অবস্থানে থাকে)
৫. পঞ্চম এবং ষষ্ঠ ড্রাফটিং নেয়া হয় স্টিফেনারের সামনের প্রান্ত থেকে যাকে কর্ণাররিং দ্যা স্টিফেনার বলা হয়।
এই পযায়ে লাইনিংকে এমনভাবে টানা হয় যেন কোনো ভাাঁজ না পড়ে। এটিকে লাইনিং এর ক্লিনিং বলা হয়। এবার সাঁড়িশি দ্বারা আপার, স্টিফেনার এবং লাইনিংকে একত্রে টানা হয়। এই টানের ফলে লাস্টের উপর আপার টানটান অবস্থায় থাকে।
৬. ৭ এবং ৮ নং টানটি লাস্টের জয়েন্ট অবস্থানের কিছুটা পেছনে সামনের দিক বরাবর দেয়া হয়। এর ফলে কোন অতিরিক্ত উপকরণ থাকে না।
৭. ৯ এবং ১০ নং ড্রাফটিং টান আপারের সামনের অংশের মাঝ বরাবর দেয়া হয়। এমনভাবে দেয়া হয় যেন ভ্যাম্প লাস্টের উপর টানটান অবস্থায় থাকে।
৮. ১১ নং ১২ নং ড্রাফটিং টান কয়েকটি অংশে দেয়া হয় যেন আপারটি লাস্টের তলে সঠিকভাবে টানটান অবস্থায় থাকে।
৯. ড্রাফটিংগুলোর মধ্যবর্তী ফাঁকা অংশে ৫ থেকে ১০ এম. এম দুরত্বে পেরেক দিয়ে আটকানো হয়।
১০. টো এবং সিট অংশৈ সাঁড়াশি একবার ঘড়ির কাঁটার দিকে সেন্টার লাইনের ডান দিক বরাবর) এবং আরেকবার ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে ( সেন্টার লাইনের বাপ দিক বরাবর) টান দিতে হয়। এই মোচড় প্রক্রিয়ায় চামড়া চেপে থাকার ফলে কোন ভাঁজ পড়ে না।
১১. সবশেষে লাস্টিং মার্জিনে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ফেদার লাইন মসৃণ করা হয়।
১২. গোড়ালির প্রান্ত থেকে ১০ এমএম এবং ট্রেড অবস্থান থেকে ২০ এমএম এর মধ্যে শ্যাস্ক- কে ইনসোলের উপর বসাতে হবে।
১৩. গোড়ালিকে আউটসোলেরর সাথে যুক্ত করতে হবে।
১৪. লাস্টেড জুতা এবং আউটসোলের উপর প্রয়োজনীয় অ্যাডেসিড বা আঠা প্রয়োগ করতে হবে।
১৫. লাস্টেড আপারকে আউটসোলের সাথে যুক্ত করতে হবে।
পরিপূর্ণ লাস্টেড জুতায় অবশ্যই নিম্নোক্ত গুরুত্বপূর্ণ গুণসমূহ থাকতে হবে-
১. আপার লাস্টের উপর যেন টানটান অবস্থায় থাকে।
২. টপ লাইন যেন দৃঢ় থাকে।
৩. জুতা থেকে লাস্ট বের করার পরও যেন আকৃতি ঠিক থাকে।
৪. পেছনের দিক যেন সোজসুজি এবং সঠিক উচ্চতাসম্পন্ন হয়।
আপারকে লাস্টের দিকে টেনে নামানো
লাস্টিং মার্জিন টেনে নামিয়ে ইনসোলের সাথে স্থায়ীভাবে আটকানো
লাস্টের সংযুক্ত ইনসোলের সাথে আপারকে স্থায়ী ও শক্তভাবে আটকাতে তিনটি প্রধান অপারেশন সম্পৃক্ত রয়েছৈ। যেমন-ড্রাফটিং (পুলিং ওভার) প্লিটিং এবং ট্যাকিং। পুলিং ওভার মেশিনের বিষয় হলেঅ আপার টেনে লাসেটর তলায় নামানো যেন আপার লাস্টের আকৃতি পায়। এটা লাস্টের সমোন্নতি রেখা নিশ্চিত করে এবং ইনসোলের প্রান্ত অস্কিত হয়। প্রান্ত যখন ট্যকড ডাউন হয় তা দৃঢ়ভাবে ধরে রাখে। মেশিনে সাধারণত তিনটি পিনচটার সেট থাকে। এর একটি টো এর শেষে এবং দুটি টোর এর সাউডে অপারেট করে। এই পিনচারের চারিদেকে মেটাল পিলশার থাকে। যা উইপার এবং ট্যাকিং কৌশলযুক্ত পিনচারের মধ্যে ইনসোল বেস্ট থাকে যা পিনচারের টান প্রতিরোধ করে।
অপারেটর পুলিং ওভার করে পিনচার জস এর মধ্য দিয়ে নামতে থাকে যতিক্ষণ না ইনসোলে পৌঁছায়। সে তখন প্যাডেলকৈ ডিপ্রেস করে যা মেশিন চালু করে। এর ফলে পিনচার আপারকে ধরতে পারে। মেশিন চলমান অবস্থায় আপারকে লাস্ট পর্যন্ত নাময় যা চক্রমিক হয়। হাত দিয়ে চালনার সময় পিনচার প্রয়োজনে আপারকে সঠিক অবস্থানে আনতে পারে। তখন সে এক সেকেন্ডের জন্য প্যাডেল প্রেস করে না এবং পিনচার একে অপরের দিকে চলমান থাকে। লাস্টের চারিদিকে শক্তভাবে লেদারকে টেনে নিচে নামায়। একই সময়ে আপারের নিরাপদ অবস্থানের জন্য টো এর উপর বা পাশে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলতে থাকে। এই ট্যাকস পুরাপুরি চলে না যেহেতু পরবর্তীতে তা পত্যাহার।
ইনসোলে লাস্টেড মার্জিনকে নিরাপদ করার জন্য হাতুড়ি দিয়ে আঘাত
এটি সকল অপারেশনের মধ্যে জটিল। যা সম্পূর্ণরূপে শু- লাস্টিং এবং পুলিং ওভার অনুসরণ করে। যখন এক টুকরা নমনীয় উপকরণ যেমন- চামড়া এবং ফ্যাবরিক মোটামুটি গোল আকারের কোণাকোণি টানা হয়। এটি সারফেসকে জটিল করে। যখন সারফেস অসম আকৃতির হয় তখন মূল আপার অংশ সমতল হয়। উপকরণ ঐ সারফেসের প্রতিটি অংশের সাথে একবোরে মিলিত হবে। এটি প্রকৃতই জটিল যখন জুতার টো ও হীল প্রান্তে যেখানে বাঁকা প্রান্তে রেডিয়াস কম হয়।
সেলফ চেক শিট-৪
প্রশ্ন নং –
লাস্ট দ্বারা সম্পূর্ণ হাতে তৈরি জুতার গুরুত্বপূর্ণ গুণগত বিষয়গুলো উল্লেখ করুন।
১. ....................................................................................
২. ....................................................................................
৩. ....................................................................................
৪. ....................................................................................
উত্তরপত্র-৪
১নং প্রশ্নের উত্তর
লাস্ট দ্বারা সম্পূর্ণ হাতে তৈরি জুতার গরুত্বপূর্ণ গুণগত বিসয়গুলো উল্লেখ করা হলো-
১. আপার লাস্টের ওপর যেন টানটান অবস্থায় থাকে।
২. টপ লাইন যেন দৃঢ় থাকে।
৩. জুতা থেকে লাস্ট বের করার পরও যেন আকৃতি ঠিক থাকে।
৪. পেছনের দিক যেন সোজাসুজি এবং সঠিক উচ্চতাসম্পন্ন হয়।
জব শিট-৪
হাতের মাধ্যমে লাস্ট দ্বারা জুাত তৈরি এবং আপারকে লাস্টের নিচের দিকে টানা
এখন লাস্টিং করা হবে। আপারে টো-পাফ সঠিকভাবে সংযুক্ত করে শুকানোর প্রক্রিয়ার পূর্বে বলা হয়েছে। পরবর্তী কাজ হলো জুতার সামনের অংশের আকৃতি দেয়া। এটি লাস্টের আকৃতি দেয়ার কৌশল। এজন্য একটি র্যাস্প (জধংঢ়) ব্যবহার করতে হবে। এজন্য ফেদার (ঋবধঃযবৎ) প্রান্তের দিকে মনোগ দিন। খেয়াল রাখুন, আপারের উপরের েিদক যেন র্যাস্পের ঘষা না লাগে। টো বক্সের (ঞড়ব নড়ী) উপরে টো-পাফের মোটা অংশ এমনভাবে স্থাপন করুন যেন পাতলা অংশ প্রান্ত বরারব অবস্থান করে। লাস্ট সরিয়ে নেয়ার পরে টো-পাফ টো আকৃতি ধরে রাখে বলে এটিকে শক্ত হয়ে হয়। টো-পাফের প্রান্তকে ভালোভাবে স্কাইভ করে পাতলা করে এটির সংযুক্তি সহজ হয়। আর আপারের উপরে টো-পাফের প্রান্তের দাগ ভেসে উঠে না। লাস্টিং এর পর জুতার বাইরে থেকে টো-পাফ দেখা যাবে না। ভালো র্যাস্প দ্বারা প্রান্তকে ঘষতে হবে। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে যেন লাইনিং নষ্ট না হয়।
যখন দুটি জুতার টো-পাফ এর আকৃতি সঠিক মনে হবে তখন জুতা দুটি উল্টিয়ে পেরেকগুলো সতর্কতার সাথে উঠিয়ে ফেলুন। এর ভাঁজ করা অতিরিক্ত লেদার স্কাইভ করে মসৃণ ফেদার প্রান্ত তৈরি করুন।
এবার পেরেক ঢকানো শুরু করুন। একদিকে একটি এবং অন্যদিকে দুটি পেরেক ঢুকার। এভাবে পর্যায়ক্রমে দুই পাশে পেরেক বসান। তবে লক্ষ্য রাখুন যে, বসানো ুদটি পেরেকের মধ্যে চামড়ায় ভাঁজ না থাকে। লাস্টিং সাঁড়িশি দিয়ে আপারের সমানের অংশ লাস্টের সামনের দিকে টানুন এবং পেরেক বসান। আপারের টো-ক্যাপ আলাদা থাকলে সঠিক স্থানে টেনে আনতে হবে।
এভাবে ওয়েস্ট এর সম্পূর্ণ অংশে পেরেক সবানো সম্পন্ন করুন। লাস্টিং করার সময় প্রতি ক্ষেত্রে একটি টান দিয়ে একটি পেরেক বসান। আর সাথে সাথে লাস্ট উল্টিয়ে আপার চেক করুন। লক্ষ রাখুন যেন, সঠিক স্থানে পেরেক বসানো নিশ্চিত হয়। আবার টান বেশি দিলে আপারের সেন্টার লাইন ঠিক থাকে না। অন্যদিকে পর্যাপ্ত টানের অভাবে আপার লাস্টের উপর টান টান অবস্থায় থাকে না। চামড়ার এটি একটি বিস্ময়কর বৈশিষ্ট্য যে, চামড়াকে প্রয়োজন অনুযায়ী যেকোন আকৃতি দেয়া যায়। এমনটিক সমতল আকৃতি থেকে ত্রিমাত্রিক আকৃতি পর্যন্ত দেয়া যায়। এটি একটি অদ্ভুত ব্যাপার। তবে শুধু বার বার পরীক্ষা করে দেখতে হবে। ভ্যাম্পকে লাস্ট এর তলে টান টান ভাবে রাখতে হবে।
পরিশেষে হাতুড়ি দিয়ে পেরেকগুলোকে ভালোভাবে বসিয়ে দিন। এভাবে আপনি কাজটি প্রায় সম্পন্ন করতে পারবেন। পেরেক থেকে ৬ মি.মি দূরের অতিরিক্ত চামড়া কেটে ফেলুন। লাইনিং হতে পেরেকগুলো উঠিয়ে ফেলুন।
যখনই আপনি অতিরিক্ত অংশ কেটে ফেলবেন, তখনই কাজটি শেষ করার জন্য র্যাস্পে ব্যবহার করুন। তবে নিশ্চিত করুন, র্যাস্প, অবশ্যই জুতার মাঝ বরাবর ব্যবহার করুন। কারণ তা না করে যদি আপনি অন্যদিকে ব্যবহার করুন তাহলে লাস্ট থেকে লাইনিং দূরে সরিয়ে নিয়ে যাবে। ফলে সেখানে আর পেরেক বসানো মত জায়গা থাকবে না।
কার্যক্রমপত্র-৪
হাতের মাধ্যমে লাস্ট দ্বারা জুতা তৈরির প্রক্রিয়ার ধারাবাহিক ধাপগুলো উল্লেখ করুন।
১. ....................................................................................
২. ....................................................................................
৩. ....................................................................................
৪. ....................................................................................
৫. ....................................................................................
৬. ....................................................................................
৭. ....................................................................................
ইনফরমেশন শিট-৫
কাজ- তৈরিকৃত পন্য যাচাই এবং কর্মক্ষেত্রে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার প্রক্রিয়া।
তৈরিকৃত পণ্য যাচাই
চামড়ার ভাঁজ, টপ লাইন এবং পেছনের উচ্চতা যাচাই
১. পা থেকে জুতা বের করার সমাথে সাথে জুতার ভেতরে শু-টিস হিসেবে কাঠের লম্বা দন্ড প্রবেশ করান। ব্যবহারে পর জুতা কিছঠুটা গরম থাক অবস্থায়- শূ ট্রিস ব্যবহারে ভালো ফল পাওয়া যায়। তবে এক্ষেত্রে উপযুক্ত শু ট্রিস নির্বাচন করতে হবে যেন সঠিকভাবে ফিট হয়ে জুতার আকৃতি ঠিক থাকে।
২. জুতা প্রসারক তরল দ্রবণ দিয়ে জুতায় প্রলেপ দিন। এটি মূলত জুতা মেরামতের জন্যই কাজ করে। এটি অনলাইনে বো দোকান থেকে কেনা যায়।
৩. একটি পুরানো হেয়ার স্টাইরিং ইস্ত্রি বা ছোট বহনযোগ্য ইস্ত্রিকে বৈদ্যুতিক সংযোগে উত্তপ্ত করতে থাকুন যে পর্যন্ত আপনি তা হাত দিয়ে ধরতে পারছেন। গরম হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য আপনার আঙুল ভিজিয়ে ইস্ত্রির ব্যারেলে দ্রুত স্পর্শ করে দেখুন। হিসহিস শব্দ শুনতে পেলে বুঝবেন যে, ইস্ত্রিটি যথেষ্ট গরম হয়েছে।
৪. বৈদুতিক সংযোগ থেকে ইস্ত্রিটা খুলে ফেলুন। এবার জুতার ভাঁজ পড়া অংশে আস্তে আস্তে ইস্ত্রি বসিয়ে জুতার ভাঁজ সমতল করতে থাকুন।
৫. শু-ট্রিস জুতার ভেতর ২৪ ঘন্টা রেখে দিতে হবে।
৬. এরূপ লেদার প্রটেক্টর এর স্তরের ওপর একটি ফ্রেমশ পরিশ এর প্রলেপ দিতে হবে।
৭. প্রয়োজন হলে উত্তপ্ত বায়ু প্রবাহে ভাঁজ দূর করুন।
উৎপাদন ত্রুটিসমূহ লিপিবদ্ধ করা
১. সাঁড়াশি দিয়ে ট্যানার ফলে আপারে চির তৈরি হলে;
২. টপ লাইনে কিছু ভাঁজ থাকলে;
৩. আঠা ঠিকমতো কাজ না করলে;
৪. পেছনের উচ্চাত সঠিক না হলে।
জমাকৃত কাজ দুগামজাত অথবা সরবরাহ করা
স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে জমাকৃত দ্রব্যের গুদামজাতজনিত সমস্যা দূর করতে সঠিক সংরক্ষণ পদ্ধতি অনুসরণ করা অত্যাবশ্যক। এক্ষেত্রে নড়াচড়ার প্রয়োজন যত কম হবে দুর্ঘটনা সম্ভাবনাও তত কমে যাবে। বিশেষ করে হাতে নড়াচড়ার ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য। স্টোর করা দ্রব্যের অবস্থান কাজের ক্ষতি করে না বরং প্রয়োজন অনুযায়ী সহজপ্রাপ্য করা উচিত। সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট জায়গা রাখতে দ্রব্যগুলোর মধ্যবর্তী দুরত্ব অন্ত পক্ষে ১ মিটার বাা প্রায় ৩ ফুট থাকতে হবে।
সংরক্ষণের ক্ষেত্রে কার্টুন বা ড্রামগুলোকে শক্ত ভিত্তির উপর প্রয়োজন অনুয়ায়ী আড়াআড়িভাবে বেঁধে রাখতে হবে যেন নড়াচড়া না করে। সংরক্ষিত দ্রব্যাদির অবস্থান যেন চলাচলে পথ সিঁড়ি, বের হওয়ার পথ, অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রাদি ও অন্যান্য জরুরি পথে বাধা না হয়। সংরক্ষিত এলাকা যেন ভালোভাবে চিহ্নিত থাকে।
আগুন ধরতে পারে এমন বিস্ফোরক, বিষাক্ত এবং অন্যান্য ঝুঁজিপূর্ণ দ্রব্যসমূহকে ঝুঁকির মাত্রা অনুযায়ী নির্দিষ্ট জায়গা সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। ফায়ার কোডে নির্দেশিত চাহিদা অনুযায়ী সংরক্ষণ করতে হবে। যেটি পরিবেশ এবং পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্পর্কিত আইন মেনে চলবে।
কর্মক্ষেত্র পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা
কর্মক্ষেত্রের আদর্শমান অনুযায়ী কর্মক্ষেত্র ও যন্ত্রপাতিসমূহ পরিষ্কার রাখা
এই শিক্ষ া কর্মসূচি পরিষ্কার ও নিরাপদ কর্মক্ষেত্রের জন্য নির্দেশনা প্রদান করে। এটি ঠিকাদার ও শ্রমিকদের উন্নত হাউজকিপিং সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় ও বাস্তব ত্যথ্যাবলী প্রদান করে । এই শিক্ষা কর্মসূচিতে সাধারণ তথ্যাদি আছে। সুনির্দিষ্ট আইনের ব্যাপারে জনাতে কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত আইন ও বিধানের বিশেষজ্ঞের সাথে আলোচনা করে নিরাপদ কর্মপদ্ধতি সম্পর্কিত সঠিক আইনগুলো জেনে নিন।
পরিষ্কার ও নিরাপদ কর্মক্ষেত্র
কর্মক্ষেত্রে দুর্বল হাউজকিপিং এর জন্য প্রায়ই বিভিন্ন দুর্ঘটনা ঘটে। শ্রমিকেরা আঘাত পেয়ে থাকে। কর্মক্ষেত্র পরিষ্কার রেখে এ জাতীয় দুর্ঘটনা সহজেই প্রতিরোধ করা যায়। উত্তম হাউজকিপিং এর মাধ্যমে কর্মক্ষেত্র অীধক কার্যকর ও নিরাপদ করা যায়। কর্মক্ষেত্রের হাউজকিপিং বলতে বঝায়, ছোট টুকরা ও ময়লা আর্জনাকে প্রতিদিন পরিষ্কার করা। এগুলোকে সুনির্দিষ্ট কন্টোইনারে ফেলা এবং নিয়মিত এই কন্টেইনারসমূহ খালি করা। কর্মক্ষেত্রের হাউজকিপিং বলতৈ দ্রব্যাদি ও যন্ত্রপাতির সংরক্ষণকেও বুঝানো হয়ে থাকে। কর্মক্ষেত্রে নিজের এবং সহকর্মীর নিরাপত্তা উন্নয়নের খুব সহজ উপায় হলো ভালো হাউজকিপিং করা। কর্মক্ষেত্রের দুর্বল হাইজকিপিং এর কারণে দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। আমরা সবাই জানি যে, ছোট টুকরা, ভাঙ্গা ইট, দেয়াল ভাঙ্গা নাস্তা ও খাবার থেকে সৃষ্ট আবর্জনা দ্বারা ময়লার স্তুপ হয়ে থাকে নির্মাণ কাজে সৃষ্ট আবর্জনা বিভিন্ন আকৃতিতে থাকে। তীক্ষè ধারালো বস্তুতে পূর্ণ থাকায় এদের নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। এদের প্যাকিিেজং করাও খুব জঠিল বিষয়। এগুলো অনেক ক্ষেত্রে মূলবস্তু থোক আলাদা হয়ে পড়ে থাকে। যা হোচট খাওয়া এবং পিছলে সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়া কোনো অংশ অপরিষ্কার থাকলে যেকেউই সেখানে ময়লা ফেলতে পারে। কোন দুর্ঘটনা ঘটার পূর্ব পর্যন্ত লোকজন অনেক ক্ষেত্রে হাউজকিপিং এর প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারে না। খারাপ হাউজকিপি এর ফলে দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। প্রতিদিনের হাউজকিপিং এবং পরিষ্কার করার কাজ কখনোই কয়েক মিনিটের জন্যও কোন কর্মচারীর ফেলে রাখা ঠিক নয়। এটি হবে একটি চলমান প্রক্রিয়া। কর্মক্ষেত্র পরিষ্কার রাখতে কর্মচারী বা নিয়োগকারী পত্যেকেই শেষ করার সাথ সাথেই ময়লা আবর্জনা সরিয়ে ফেলবেন।
কর্মক্ষেত্রে অগ্নি-নির্বাপকজনিত ব্যবস্থা
কীভাবে আগুন প্রতিরোধ করা যায় এবং আগুন ধরার পর কী ব্যবস্থা নিতে হবে তা জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোনো বস্তু আগুনের সংস্পর্শে আসার পর তা পূর্বের অবস্থায় ফেরত নেয়ার কোন উপায় নেই। কর্মক্ষেত্রে আগুন ধরলে শত শত মানুষ মারা যায় এবং অগণিত লোক আহত হয়ে থাকে। সুতারং আগুন ধরা এমনই একটি শোকাবহ ঘটনা যা কখনেই কারও কাম্য নয়।
প্রতিরোধ
নিয়মিতভাবে সাধরণ হাউপকিপিং এর মাধ্যমে আগুন লাগার বিষয়টি প্রতিরোধ করা যায়। এজন্য নিশ্চিত করতে হবে যে, কর্মক্ষেত্রে ও গুদাম ঘরে কোন আর্বজনা থাকতে পারবে না। তেল বা তেল জাতীয় যে কোন আবর্জনাকে ধাতব কন্টেইনারের মাধ্যেমে যেকোন দাহ্য উৎস থেকে দূরে সরিয়ে ফেলতে হবে। প্রতিদিনই আবর্জনার কন্টেইনার খালি করতে হবে। দাহ্য যেকোনো তরলকে তা বদ্ধ কন্টেইনারে থাকলেও অগ্নিশিখা থেকে দূরে রাখতে হবে।
অগ্নি- নির্বাপন পদ্ধতি
আগুন ধরা মাত্রই কারখানার নির্দেশিত পদ্ধতি অনুসরণ করুন। আগুন চারদিকে ছড়ানোর পূর্বে অগ্নি-নির্বাপক যন্ত্রের সাহায্যে আপনি হয়ত ছোট আকারের আগুনকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। আপনি কেবলমাত্র নিরাপদে অগ্নি-নির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করতে পারলে এটি ব্যবহার করুন। কিন্তু যখন আপনি নিরাপদ উপায়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না তখন দ্রুত ঐ স্থান ত্যাগ করুন। এসময় সংশিষ্ট শ্রমিক ও ফায়ার বিভাগকে জনানোর জন্য সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
মনে রাখনেব
১. আপনার বের হবার পথ বিপজ্জনক হতে পারে।
২. অগ্নি-নির্বাপক যন্ত্র বিকল হতে পারে।
৩. অগ্নি-নির্বাপক যন্ত্র কার্যকর নাও হতে পারে।
৪. বেমিক্ষণ নিরাপদে অগ্নি-নির্বাপকের কাজ করার সামর্থ আপনার নাও থাকতে পারে।
আরো কছিু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা মনে রাখবেন
৫. দুর্বল হাউজকিপিং এর জন্য বিভিন্ন বস্তু দ্বরা অনেক দূর্ঘটনা ঘটে থাকে।
৬. কর্মক্ষেত্রে ময়লা আর্জনা পড়ে থাকতে পারে।
৭. পড়ে থাকা অনেক জিনিসের জন্য হোঁচট খেতে পারেন।
৮. কর্মক্ষেত্রের সকল বস্তুকে পরিষ্কারভাবে সাজিয়ে রাখতে হবে।
৯. কাজের অগ্রগতির সাথে সাথে সমস্ত ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করতে হবে।
১০. চলার পথ, ল্যাস্প, ল্যাডার প্লাটফরম, সিঁড়ির ময়লা আবর্জনা মুক্ত রাখার দিকে লক্ষ রাখতে হবে।
১১. যখন কোনো যন্ত্রপাতি ও মেশিন ব্যবহৃত না হবে তখন সেগুলো যত্রতত্র ফেলে রাখা যাবে না।
১২. যাতায়াত ও পরিবহনে বেশি ব্যবহৃত জায়গায় পানির পাইপ, বিদ্যুৎ সংযোগ এবং ওয়েল্ডিং এর যন্ত্রপাতি ফেলে রাখা যাবে না।
১৩. কাঁদা ও অন্যান্য আঁঠালো বস্তুকে সিঁড়ি, কর্মক্ষেত্র এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জায়গায় ফেলেরাখা যাবে না।
১৪. গ্রিজ, তেল জাতীয় ও অন্যান্য দাহ্য বস্তুকে নির্ধারিত কন্টেইনারে রেখে অপসারণ করতে হবে।
১৫. উন্মুক্ত অথবা হালকা বস্তুকে ছাদ খোলা মেঝেতে ভালোভাবে সংরক্ষণ ব্যবস্থা করতে হবে যেন বাতাসের চাপে সরে না যায়।
১৬. লক্ষ রাখতে হবে কোন ধরনের উপকরণ যেন উপ থেকে পড়ে না যায়। এজন্য প্রয়োজনে কন্টেইনার বা ঢালূ পথ ব্যবহার করে নামাতে হবে।
১৭. খোলা ছাদ বা মেঝে অথবা ছাদ বা মেঝের প্রান্ত এবং যেকোন গর্তথেকে দ্রব্যাদি অন্তত ৬ ফুট দুরে রাখতে হবে।
১৮. আগুন প্রতিরোধের জন্য হাউজকিপিং খুবই গরুত্বপূর্ণ।
১৯. দাহ্য আবর্জনা এবং ধ্বংসাবশেষ, ওয়েল্ডিং এর জায়গা থেকে, ফ্রেম কাটিং থেকে, প্রোপেন হিটিং থেকে অথবা অন্য কান দাহ্য উৎস থেকে দ্রুত সরিয়ে ফেতে হবে।
২০. অগ্নি- নির্বাপক স্টেশন পরিষ্কার এবং সজজেই প্রবেশযোগ্য রাখতে হবে।
২১. কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তার দিকটির উন্নতিকল্পে ভালো হাউজকিপিং একটি সুন্দর উপায়। মনে রাখতে হবে, একটি পরিচ্ছন্ন কর্মক্ষেত্র হলো একটি বিপদমুক্ত কর্মক্ষেত্র।
একটি কার্যকর হাউজকিপিং কর্মসূচির উপাদান?
ধূলাবালি এবং ময়লা অপসারণ
কোনো কোনো কাজে বেড়া এবং ইগজস্ট ( মেশিন থেকে অনাবশ্যক বাষ্প নির্গমন) ভেন্টিলেশন পদ্ধতি ধূলাবালি, ময়লা এবং বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় টুকরাদি অপসারণ করতে পারে না বা ব্যর্থ হয়। ধূলাবালি শুকিয়ে ফেলার যন্ত্র হালকা ধূলাবালি, ময়লা ইত্যাদি অপরাসণের জন্য যথপোযক্তি। লিশ্প কারখানার কোথাও কোথাও, দেয়াল, সিলিং যন্ত্রপাতি, সেখানে ধূলা ময়লা জমে থাকে অথব পরিষ্কার করার জন্য ঐসব জায়গায় পৌঁছানো বেশ কষ্টকর। তবে ঐসব জায়গা পরিষ্কার করার জন্য বিশেষ ফিটিং এর ব্যবস্থা থাকে।
ঝুকিপূর্ণ পদার্থসমূহ অপসারণের জন্য বিশেষ উদ্দেশ্য তৈরি ভ্যাকুয়াম খুবই উপযোগী। এ্যাসসটস অথবা ফাইবার গ্লাসের ছোট ছোট কণা বের করার জন্য ভ্যাকুয়াম ক্লিনার্স এর সাথে হেপা (হাইএফিসিয়েন্সি পার্টিকুলেট এয়ার) যুক্ত করা হয়।
মেছি ঝাড়ু দেয়ার পূর্বে মেঝের ধূরাবালি কমানো জন্য মেঝে ভেজানো হয়। এরপর ঝাড়ু দেয়ার উপকরণ ব্যবহার করা হয়। শেলফ, পাইপের ভেতর, হাল্কা আসবাবকপত্র, জানালা এবং লকার্স ইত্যাদি যেসব জায়গায় ময়লা, ঝুল, কালি ইত্যাদি জমে সেসব স্থানে ম্যানুয়ালি পরিষ্কার করতে হবে।
যন্ত্রপাতি অথবা কারখানার ওয়ার্ক সারফেস থেকে কমপ্রেসড এয়ার এর সাহায্যে কখনো ধুলা ময়লা বা গুঁড়া অপসারণ করা ঠিক হবে না।
কর্মীদের সুযোগ-সুবিধাদি
কর্মীদের জন্য প্রদেয় সুযোগ-সুবিধা পর্যাপ্ত হওয়া দরকার। কর্মীদের ব্যক্তিগত ব্যবহারের জিনিসপত্র রাখার জন্য লকার্স বা ছোট ছোট আলমারি রাখা প্রয়োজন। ভালো শৌচারগর সুবিধা থাকতে হবে। তাদের জন্য সাবান, তোয়ালে ইত্যাদির ব্যবস্থা রাখতে হবে।
ঝুকিপূর্ণ পদার্থ ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এজন্য গোসল করার জন্য ঝর্ণা সুবিধা, কাপড়-চোপড় পরিবর্তন করার কক্ষ ইত্যাদির ব্যবস্থা থাকতে হবে। বিশেষ ক্ষেত্রে গোসল করার ব্যবস্থাসহ দুটি লকার রুমের বা আলমারির ব্যবস্থা থাকতে হবে। ফলে কর্মীরা কর্মক্ষেত্রে গোসলের সুবিধা পেতে পারে। এতে কর্মীরা কাজ শেষে কর্মক্ষেত্রে পরিধানের কাপড় বা দেহে লেগে থাকা সংক্রামক জীবাণূ ধুয়ে পরিষ্কার করতে পারে। এর ফলে কর্মীরা পরিষ্কার অবস্থায় নিজের পোশাক পরে বাসায় যেতে পারে। যেসকল কর্মক্ষেত্রে বিষাক্ত পদার্থ ব্যবহৃত হয় সেসব ক্ষেত্রে ধূমপান করার জায়গা অবশ্যই কর্মক্ষেত্রে থেকে আলাদা হতে হবে। এছাড়া খাবার জায়গাও কর্মক্ষেত্রে থেকে আলাদা হতে হবে। আর প্রতি শিফটে এই জায়গাগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করে ফেলতে হবে।
কর্মক্ষেত্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রসমূহ
মেঝে
খারাপ মেঝে দুর্ঘটনার একটি বড় কারণ। তাই ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়া তেল এবং অন্যান্য তরল জাতীয় পদার্থ তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার করতে হবে। ছোট ছোট বিভিন্ন রকমের টুকরা এবং সঞ্চিত ধূলাবালিৗ দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। তাই এগুলো মেঝেতে আসার আগেই পরিষ্কার করে এগুলো জমতে পারে না। কিছু কিছু এলাকা সবসময় পরিষ্কার করা যায় না। যেমন- প্রবেশ পথ। এসব স্থানে অ্যানটি স্লিপ ফ্লোরিং থাকা উচিত। মেঝে ভালো অবস্থায় রাখার অর্থ হলো দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে এমন পদার্থ প্রতিনিয়ত মেঝে থেকে সরিয়ে ফেলা।
দেয়াল
হালকা রঙের দেয়াল আলোর প্রতিফলন ঘটায়। কালো রং এর দেয়াল আলেঅ শুষে নেয়। কনট্রাস্টিং রং দৈহিক ক্ষতি এবং চলাচলে বাধার সৃষ্টি করতে পারে। যমেন- পিলারসমূহকে ভালোভাবে দেখতে বাধার সৃষ্টি করে। তাছাড়া গার্ডস এবং অন্যান্য উপকরণকেও দেখতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। কিন্তু নজরদারির বিকল্প হিসেবে একে ব্যবহার করা ঠিক না। এই কর্মসূচি রং এর ব্যবহারবিধি ও মান সম্পর্কে ধারণা দেয়।
হাল্কা আসবাবপত্র ব্যবস্থাপনা
হাল্কা ময়লা বা ফেলে দেয়া আসবাবপত্র প্রয়োজনীয় আলোর পরিমাণ কমিয়ে দেয়। অন্য দিকে পরিষ্কার হাল্কা আসবাবপত্র প্রয়োজনীয় আলো বৃদ্ধি করে।
চলার পথ এবং সিঁড়ি পথ
বসার আসনগুলো মধ্যবর্তী চলার পথ হতে হবে যথেষ্ট বিস্তৃত যাতে মানুষ এবং যানবাহন সহজে এবং নিরাপত্তা সহকারে চলাচল করতে পারে। এই মর্ধবর্তী রাস্তা ব্যবহৃত হবে বিবিধ দ্রব্যাদি ও অন্যান্য উপকরণ পরিবহনের কাজে। বিপদচিহ্ন ও আয়না অন্ধকার জায়গায় আসা লোকজনকে দেখেতে সাহায্য করে এই মধ্যবর্তী রাস্তা ব্যবহারে কর্মীদের উৎসাহিত করতে হবে যাতে তারা বিপজ্ঝনক কোনো সংক্ষিপ্ত রাস্তা দিয়ে চলাচলের ঝুঁকি না নেয়।
মধ্যবর্তী রাস্তা এবং সিঁড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা খুবই জরুরি। এগুলোতে কখনোই বিভিন্ন দ্যব্য বা জিনিসপত্র রেখে রাস্তা আটকে দেয়া বা চলাচলের জন্য কঠিন করা উচিত নয়। এমনকি তা সাময়িক সময়ের জন্যও নয়। সিঁড়ি মধ্যবর্তী রাস্তায় পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করতে হবে।
তরল পদার্থ গড়িয়ে পড়া নিয়ন্ত্রণ করা
তরল পদার্থ গড়িয়ে পড়ার আগেই তা বন্ধ করা-ই হচ্ছে সব চাইতে ভালেঅ ইপায়। মেশিনসহ অন্যান্য উপকরণ নিয়মিত পরিষ্কার করা এবং সংরক্ষণ করা একটি উপায়। অন্য উপায় হলো যেখানে তরল গড়িয়ে পড়তে পারে এমন স্থানে ড্রিপ প্যান রাখা। পাশাপাশি নিয়মিত চেক করার ব্যবস্থা করা। যদি কখনো তরল পদার্থ গড়িয়ে পড়েই যায় তখন সাথে সাথে তা পরিষ্কার করতে হবে। চর্বি মাখানো তৈলাক্ত এবং অন্যান্য তরল পদার্থ মুছার জন্য শোষক উপকরণ প্রয়োজন। ব্যবহৃত শোষক দ্বারা অবশ্যই যথাযথভাবে এবং বিপদমুক্তভাবে তরল অপাসারণ করতে হবে।
উপকরণ ও যন্ত্রপাতি
হাউজকিপিং উপকরণ ও যন্ত্রপাতি যন্তকক্ষে বা পেছনের উঠানে অথবা বেঞ্চের ওপর যেখানেই থাকুন না কেন এই যন্ত্রপাতি ও উপকরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবহারের পর সেগুলো সাথে সাথে পূর্বের জায়গায় সংরক্ষণ করলে তা হারানোর এবং বিপদের সম্ভাবনা কমে যায়। কর্মীদের সকল যন্ত্রপাতি নিয়মিত যেমন পরীক্ষা করতে হবে, তেমনি সেগুলো পরিষ্কার এবং প্রয়েঅজনে মেরামত করতে হবে। যদি কোন যন্তপাতি নষ্ট হয়ে যায় সেটি সাথে সাথে সরিয়ে ফেলতে হবে।
রক্ষাণাবেক্ষণ
দালান এবং যন্ত্রপাতি রক্ষাণাবেক্ষণ করা ভালো হাউজকিপিং এর জন্য গরুত্বপূর্ণ উপাদান। রক্ষাণাবেক্ষণ বলতে দালান, যন্ত্রপাাতি এবং মেশিন নিরাপদে এবং কার্যকরভাবে ব্যবহার করার পাশাপাশি এবং মেরামত করাকেও বুঝায়। এর মধ্যে রয়েছে নিয়মিত শৌচাগার ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সুবিধাদি নিশ্চিত করা। পাশাপাশি দেয়াল রং করা ও পরিষ্কার করা। ভাঙ্গা জানালা, নষ্ট দরজা, ক্রুটিপূর্ণ পানি ব্যবস্থা এবং ভাঙ্গা মেঝে একটি নোংলা ও অবহেলিত কর্মক্ষেত্র মনে হয়। এরূপ অবস্থা দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে এবং কাজের বিঘ্ন ঘটাতে পারে। সেই করণে ভাঙ্গা বা নষ্ট হয়ে যাওয়া উপকরণ গুলো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মেরামত করে নিতে হবে। একটি ভালো রক্ষাণাবেক্ষণ কর্মসূচি বলতে নিয়মিত পরিদর্শন, সংরক্ষণ, নিরাপত্তা এবং উপকরণ, যন্ত্রপাতি ও মেশিনের সুরক্ষা ইত্যাদিকে বুঝায়।
কারখানার নিয়ম অনুযায় আবর্জনা ব্যবস্থাপনা
আর্বজনা ব্যবস্থাপনা
নিয়মিত আবর্জনা সংগ্রহ, পরীক্ষা, বাছাই ও স্তরীভূতকরণ ভালো হাউজকিপিং এর অংশ। এতে যেসমস্ত দ্রব্যাদি পনুরায় ব্যবহৃত হবে এবং যেগুলো অপসারণ করতে হবে তা বাছাই করতে সুবিধা হয়। মেছেতে দ্রব্যাদি উৎপাদন করলে সময় এবং শক্তির অপচয় হয়। কেননা পরে ঐগুলো পরিষ্কার করে অতিরিক্ত সময়ের প্রয়োজন হয়। যেখানে আবর্জনা উৎপাদিত হয় তা কাছাকাছি ভাঙ্গা টুকরা রাখার পাত্র রাখলে আবর্জনা সংগ্রহ এবং অপসারণ করা সহজ হয়। আর্বজনার সকল পাত্রে সুন্দরভাবে লেবেল লাগেত হবে ( যেমন নুরায় ব্যবহারযোগ্য গ্লাস, প্লাষ্টিক টুকরা, ধাতবসমূহ ইত্যাদি)।
সেলফ চেক শিট-৫
১ নং প্রশ্ন
উপপাদিত দ্রব্য পরীক্ষা করার ৫টি পয়েন্ট লিখুন।
১. ....................................................................................
২. ....................................................................................
৩. ....................................................................................
৪. ....................................................................................
৫. ....................................................................................
২নং প্রশ্ন
কীভাবে উৎপাদনের ক্রুটিসমূহ রেকর্ড করা হয় উল্লেখ করুন।
১. ....................................................................................
২. ....................................................................................
৩. ....................................................................................
৪. ....................................................................................
৩নং প্রশ্ন
একটি কার্যকর হাউজকিপিং কর্মসূচির উপাদানগুলো কী কী?
১. ....................................................................................
২. ....................................................................................
৩. ....................................................................................
৪. ....................................................................................
৫. ....................................................................................
৬. ....................................................................................
৭. ....................................................................................
৮. ....................................................................................
উত্তরপত্র-৫
১ নং প্রশ্নে উত্তর
উৎপাতি দ্রব্য পরীক্ষা করা ৫টি পয়েন্ট হলো-
১. জুতার ভেতর সুবিন্যস্তভাবে ফিট করানোর জন্য শু-টি-কে সমন্বয় করতে হবে।
২. জুতা প্রশস্তকরণতরল দ্রবণ এর সাহায্যে জুতায় প্রলেপ দিতে হবে।
৩. শুটিকে জুতার ভেতর ২৪ ঘন্টা রাখতে হবে।
৪. জুতায় চামড়া সুরক্ষা স্তর দেয়ার পর পরিশের একটি উজ্জল প্রলেপ দিতে হবে।
৫. যেখানে ভাঁজ থাকবে যেখানে প্রয়োজনবোধে গরম বাতাস দিতে হবে।
২নং পশ্নের উত্তর
যে ভাবে উৎপাদনের ত্রুটিসমূহ রেকর্ড করা হয়-
১. গাঁড়শি ব্যবহারের মাধ্যমে জুতার আপার ক্ষতিগ্রস্ত হলে।
২. টপ লাইনে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাঁজ থাকলে।
৩. আঠা যথাযথথাভাবে কাজ না করলে।
৪. পেছনের উচ্চতা সঠিক বা যথাযত না হ।ে
৩নং প্রশ্নের উত্তর
একটি কার্যকর হাউজকিপি কর্মসূচির উপাদানগুলো হলো-
১. ধুলা এবং ময়লা অপসারণ
২. কর্মীদের সুযোগ-সুবিধাসমূহ
৩. কর্মক্ষেত্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রসমূহ
৪. আলো ব্যবস্থাপনা
৫. চলাচলের পথ এবং সিঁড়ির পথ
৬. তরল পদার্থ গড়িয়ে পড়া নিয়ন্ত্রণ
৭. উপকরণ ও যন্ত্রপাতি
৮. রক্ষাণাবেক্ষণ
জব শিট-৫
কাজ: হাতে শু-লাস্টিং করার পর কর্মক্ষেত্রে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার পদ্ধতি
টেবিল পরিষ্কার করতে হবে।
কাজ শেষে কাটার ছুরি বন্দ করে রাখতে হবে।
এরপর উপকরণ ও যন্ত্রপাতি সঠিক জায়গায় রাখতে হবে।
কাজ শেষে কাটিং ম্যাটকে সঠিক জায়গায় রাখতে হবে।
চিত্রে প্রদর্শিত উপকরণ দিয়ে কর্মক্ষেত্রে পরিষ্কার করতে হবে।
ব্রুম (ইৎড়ড়স) ব্যবহারের নিয়মাবলী দেখানো হলো।
কার্যক্রমপত্র-৫
কীভাবে কর্মক্ষেত্র পরিষ্কার করবেন?
১. কর্মক্ষেত্রে আপনার কাটিং নাইফ................রাখতে হবে।
২. আপনার..................সঠিক জায়গায় রাখুন।
৩. পানির বোতল...............যথাস্থানে রাখুন
৪. বের হবার সময় আপনার লাইট...............উচিত।