অপারেট মেশিন টু সিউ আপার
৪ সপ্তাহ
মডিউলের বিষয়বস্তু
এই সেকশনে মডিউল সস্পর্কে আপনি সেইসব তথ্য অন্তর্ভুক্ত
করবেন যা আপনার শিক্ষার্থীরা সমাপ্ত করতে
যাচ্ছ । মডিউলের উদ্দেশ্য সম্পর্কে সংক্ষেপে ধারণা দিয়ে
শুরু করুন এবং এ মডিউলে প্রাপ্ত জ্ঞান কোথায়
প্রয়োগ করতে পারবে সে সম্পর্কে ধারণা দিন । শিখনফলগুলো
এখানে দেয়া হলো ।
শিখনফল
এই ইউনিটের সক্ষমতাগুলো সমাপ্ত করার পর প্রশিক্ষণার্থীগণ নিম্নোক্ত কাজগুলো
করতে পারবেন-
·
পণ্যের নির্ধারিত চাহিদা অনুযায়ী সেলাই
মেশিন ব্যবহারের আগে, ব্যবহারের সময় এবং ব্যবহারের পরে কর্মক্ষেত্রে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মতভাবে
কাজ পারবেন ।
·
মানসম্মত আদর্শ পরিচালনা পদ্ধতি অনুযায়ী
কর্মএলাকা চিহ্নিত করা এবং সঠিকভাবে চালানোর জন্য সেলাই মেশিন প্রস্তুত করতে পারবেন
।
·
পণ্যের নির্ধারিত চাহিদা পূরণে বিভিন্ন
সেলাই মেশিনে যথাযথভাবে ধারাবাহিক কর্মপ্রক্রিয়া অনুসরণ করে গুণগতমান সম্পন্ন কাজের
নমুনা চিহ্নিত করতে পারবেন ।
·
শিল্পকারখানর আদর্শমান অনুযায়ী পণ্য
উৎপাদনের জন্য মেশিন চালানো এবং মেশিনের বিভিন্ন অংশের কর্মক্ষমতা চিহ্নিত করতে পারবেন
।
কার্যসম্পাদন মানদন্ড
১ মেশিন ব্যবহারের
আগে, ব্যবহারের সময় এবং ব্যবহার পরবহার পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় সকল
নিরাপত্তাজনিত নিয়ম অনুসরণ করতে পারবেন ।
২ মেশিন ব্যবহারের আগে, ব্যবহারের সময় এবং ব্যবহারের পরবহার পরবর্তী সময়ে অনিরাপদ অথবা এুটিপূর্ণ যন্তপাতি চিহ্নিত করতে পারবেন এবং নির্দেশিত উপায়ে মেরামত করতে পারবেন ।
৩ ব্যক্তিগত নিরাপত্তাজনিত পোশাক (পিপিই) পরিধান করতে পারবেন ।
৪ ওয়ার্ক বান্ডেল গ্রহণ ও যাচাই করতে পারবেন ।
৫ গৃহিত উপকরণ মূল্যায়ন করতে পারবেন।
৬ কাজের বিভিন্ন অংশ পর্য়য়ক্রমিকভাবে সম্পাদন করতে পারবেন ।
৭ কর্মীর ক্লান্তি কমাতে এবং আরমদায়কভাবে কাজ করার জন্য কাজের বেঞ্চ এবং আসন স্থাপন করতে পারবেন ।
৮ মেশিন পরিষ্কার এবং চেক করতে পারবেন ।
৯ রেকর্ড সংরক্ষন করতে পারবেন ।
১০ উৎপাতনকারীর নির্দেশনা এবং কাজের চাহিদা অনুযায়ী
মেশিনের সেটিং সমন্বয় করতে পারবেন ।
১১ চাতিদা অনুযায়ী সুতা নির্বাচন করতে পারবেন ।
১২ সুচ এর ধরন এবং সকংযুক্ত অন্যান্য অংশগুলো চেক করতে
পারবেন এবং নষ্ট সুচ ও অন্যান্য
অংশগুলো প্রয়োজন অনুযায়ী
পরিবর্তন করতে পারবেন ।
১৩ চাহিদা অনুসারে সেলাই এর দৈর্ঘ্য সেটিং এবং চেক
করতে পারবেন ।
১৪ চাহিদা অনুযায়ী টেনশন সেট করতে পারবেন ।
১৫ সঠিকভাবে চালানোর জন্য মেশিন চেক করতে পারবেন ।
১৬ টুকরার আকার, রং এবং স্টাইল অনুসারে নির্বাচন করতে পারবেন ।
১৭ কাঙ্খিত চাতিদা অর্জন করতে উপকরণগুলো যথাযথভাবে
স্থাপন করতে পারবেন ।
১৮ কাঙ্খিত ফলাফলের জন্য সঠিকভাবে সেলাই করতে পারবেন
।
১৯ চাহিদামতো সুতা সাজাতে পারবেন ।
২০ মেশিনের পারদর্শিতায়ে
কোনো ক্রটি আছে কিনা তা নিয়মিত চেক করতে পারবেন ।
২১ মেশিনের পারদর্শিতায়ে ক্রটি থাকলে পারবর্তী কার্যক্রম
গ্রহণ করতে পারবেন ।
২২ কর্মক্ষেত্রের গুণগতমান ও আদর্শ নিশ্চিদ করার জন্য
উংপাদিত পণ্য পরীক্ষা করতে পারবেন ।
২৩ উৎপাদন ক্রটি চিহ্নিত ও দূর করতে পারবেন ।
২৪ আপারগুলো বাঁধতে , জড়ো করতে এবং গুদামজাত বা সরবরাত
বা সরবরাত করতে পারবেন ।
২৫ উৎপাদন- ক্রটি সংরক্ষণ করতে পারবেন ।
২৬ রেকর্ড সমাপ্ত করতে পারবেন ।
২৭ কর্মক্ষেত্র এবং যন্ত্রপাতিগুলো কর্মক্ষেত্রের মান
অনুযায়ী পরিষ্কার – পরিচ্ছন্ন করতে পারবেন ।
২৮ বড় বড় কারখানার
নিয়ম অনুযায়ী অনুযায়ী শিল্পবর্জ্য ব্যবস্হাপনা করতে পারবেন ।
জেনেরিক
১. মেশিন ব্যবহারের
আগে, ব্যবহারের সময় এবং ব্যবহার পরবর্তী সময়ে সময়ে প্রয়োজনীয় সকল নিরাপত্তা নিয়ম অনুসরণ।
২. ব্যক্তিগত নিরাপত্তা
পোশাক (পিপিই) পরিধান।
কর্মক্ষেত্রের স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা
অধিকারের বিষয়
শুধুমাত্র নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মতভাবে কাজ করা
আপনার কর্তব্য নয়, বরং কর্মী হিসেবে আপনার অনেক
নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কিত অধিকারও রয়েছে:
·
আপনার কাজের ক্ষেত্রে সকল
তথ্য জানার অধিকার এবং নিবাপদ কর্ম অনুশীলনসমূহের প্রশিক্ষণ পাবার অধিকার রয়েছে । কর্মরত
অবস্থায় ঝুঁকিসমূত চিনতে পারার অধিকার রয়েছে্ ।
·
আপনিকম ঝুঁকেতে কাজ করতে
পারেন এটি নিশ্চিত হওয়ার জন্য সুপারভিশন করার আপনার অধিকার রয়েছে।
·
স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তাজনিত
বিষয়সমূহে সরাসরি অথবা যৌথভাবে স্বাস্থ্য-নিরাপত্তা কমিটি মাধ্যমে অথবা শ্রমিক প্রতিনিধির
মাধ্যমে আপনার অংশগ্রহণের অধিকার রেয়েছে ।
·
কাজের প্রয়োজনে আপনার রয়েছে মালিক কর্তৃক প্রদত্ত নিরাপদ উপকরণ পারার
অধিকার । তবে আপনার নিজের জন্য নিরাপদ জুতা এবং হেডগিয়ারের ব্যবস্থা করার দায়িত্ব আপনারই
।
·
শৃঙ্খলাজনিত বা অন্য কোনো
কারণে চাকুরিচ্যুত হওয়া ছাড়াও আপনার নিজেরও অধিকার আছে চাকরি ছেড়ে দেয়ার।
নিরাপত্তার
জন্য নির্দেশনা
·
মেশিন ব্যবহৃত না হলে সুইচ
বন্ধ রাখুন ।
·
মেশিন নাগালের মধ্যে চেয়ারের
ওপর বর্গাকারে বসুন ।
·
অগ্নি নির্বাপন প্রক্রিয়া
সম্পর্কে জানুন ।
·
নিজে নিজে মেশিনের কোনো
মেরামত করবেন না ।
·
ঢিলেঢালা পোশাক পরবেন না
।
·
আপনার ব্যাক্তিগত নিরাপত্তার
ব্যাপারে সচেতন থাকুন ।
·
কর্মক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবে
চলাফেরা করুন ।
· কাঁধের দৈর্ঘ্যের চেয়ে চুর বেশি লম্বা হলে চুলে ব্যান্ড ব্যবহার করু । ন অথবা চুল পেছনে বেঁধে
রাখুন ।
·
মেশিনে কর্মরত অবস্থায় কখনই অসতর্ক হবেন না ।
আগুন
এর ব্যাপারে পূর্ব সতর্কতা
·
প্রতিটি কক্সের বিপরীত দিকে কমপক্ষে দুটো বহির্গমন পথ রাখতে
হবে ।
·
বহির্গমন পথ স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করা থাকবে । বহির্গমন পথ
চলাচলের জন্য কোনো বাধা
থাকবে না । এই পথ এমন হবে যেন সহজে খোলা যায় ।
·
প্রতি মাসে একবার অগ্নি নির্বাপন প্রক্রিয়া অনুশীলন করাতে
হবে ।
·
প্রতিটি ফ্লোরে ব্যাটারিচালিত ফায়ার এলার্ম রাখতে হবে । বহির্গমন পথের এবং সিড়ির ওপর
জরুরি বাতি স্থাপন করতে হবে ।অগ্নি নির্বাপকের অনুপাত ১:১০০০
বর্গফুটির কম হবে না ।
কর্মস্টেশন থেকে অগ্নি নির্বাপকের কাছে হেঁটে যাওয়ার দুরত্ব
৭৫ ফুটের বেশি হবে না ।
·
অগ্নি নির্বাপকের আকর যথোপযুক্ত হতে হবে, যেন কর্মীরা তা
সঠিকভাবে উওোলন করতে
পারে । নির্দিষ্ট সময় অন্তর অগ্নি নির্বাপকগুলো পরীক্ষা করতে
হবে ।
·
অগ্নি নির্বাপকের স্থান ভালোভাবে চিহ্নিত করা করতে হবে । অগ্নি নির্বাপক চালানোর
নিয়মগুলো
তার গায়েই স্থানীয় ভাষায় লিখে রাখতে হবে ।
নিয়মাবলী
·
আইডি কার্ড ব্যবহার করতে
হবে ।
·
এপ্রোন ব্যবহার করতে হবে
।
·
ডিউটির সময় মেনে চলতে হবে
।
·
হাজিরার সঠিক সময় মেনে চলতে
হবে ।
·
কর্মক্ষেত্র সম্পর্কে সচেতন
হতে হবে ।
·
কর্মক্ষেত্র অপ্রয়োজনীয় ঘোরাফেরা
করা যাবে না ।
·
কর্মক্ষেত্র অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা
বলা যাবে না ।
· অন্য কর্মীকে বিরক্ত করা যাবে না ।
· মেডিক্যাল সেন্টারে যাওয়ার সময় মেডিক্যাল কার্ড ব্যবহার করতে হবে ।
· টয়লেটে যাওয়ার সময় টয়লেট কার্ড ব্যবহার করতে হবে ।
প্রাথমিক চিকিৎসার
সুবিধাসমুহ
প্রতিটি কর্মক্ষেত্রেই কিছু মাত্রায় প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের ব্যবস্থা থাকবে
। ছোট ও কম ঝুঁকিপূর্ণ কর্মক্ষেত্র যা মেডিক্যাল সুবিধার কাছাকাছি অবস্থিত, এমন কর্মক্ষেত্রে
একটি প্রাথমিক চিকিৎসা যথেষ্ট । তবে বড় কর্মক্ষেত্রে প্রাথামিক চিকিৎসা সেবকের প্রয়োজন
হবে । সম্ভব হলে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য আলাদা একটি কক্ষ । ওরিয়েন্টেশনের সময়, ফাস্ট
এইডের নির্দিস্ট নিয়মকানুন জানতে হবে । এর মধ্যে রয়েছে-
·
কীভাবে এবং কখন আঘাতের রিপোর্ট করতে হবে ।
·
দুর্ঘটনা ঘটলে কে,কাকে রিপোর্ট করবে ।
·
অ্যাটেনডেন্ট এরং প্রাথমিক চিকিৎসা কক্ষ কোথায় তা জানতে হবে
। তবে হাসপাতালে
নেয়ার প্রয়োজন হলে, মালিক পরিবহন খরচ মেটাবেন ।
নিরাপত্তার টিপস
কর্মক্ষেত্রের সম্ভাব্য বিপদ সম্পর্কে মালিক অথবা সুপারভাইজার
কর্মটারীদের জানাবেন যেন তারা সেগুলো
সম্পর্কে সচেতন থাকতে পারেন- এপারেন- এটিই আইন । সাধারণ স্বাস্হ্য
এরং নিরাপত্তা বিষয়ক কিছু ইস্যু-
·
মাসকুলোসকেলিটাল ক্ষতি (এমএসাআইএস)।
·
লিফটিং এবং হ্যান্ডলিং উপকরণমূহ।
·
স্লিপস, ট্রিপস ও ফলস ।
·
চ্যাপটা ধাপযুক্ত মই।
·
কর্মক্ষেত্রে নিট।
· হয়রানি।
চুরি এবং ডাকাতি
·
একা কাজ করা
·
বিপজ্জনক দ্রব্য
·
ছু্রি, বক্স কাটার এবং অন্যান্য ধারালো জিনিস, বৈদ্যতিক যন্ত্রপাতি
ও উপকরণ ।
·
শব্দ দূষণ
·
ফর্কলিফটস এবং খড়ের জ্যাকেট
· এসবের যেকোনো একটি অথবা অন্য কোনো ঝুঁকি দেখলে সাথে সাথে মালিক বা সুপারভাইজারকে জানান।
ছুরি, বস্তু কাটার এবং অন্যান্য
ধারালো জিনিস
খুচরা কর্মীদের জন্য বক্স
কাটার একটি সাধারণ যন্ত্র । ডেলি কাউন্টর কর্মীদের
জন্য ছুরি, মাংস স্লাইচার অত্যাবশ্যকীয় যন্ত্র।নিরাপদ কাজের অভ্যাস সময় নস্ট করার সম্ভাবনা
হ্রাস করে অথবা আঙ্গুল কাটার বা হারানোর সম্ভাবনা কমায়।
ছুরি এবং বস্তু কাটার ব্যবহার
·
কাজের জন্য সঠিক যন্ত্র ব্যবহার
করুন এবং নিশ্চিত হোন এটি ধারালো হয় ।
·
সবসময় আপনার শরীর থেকে দূরে
রেখে কাটুন ।
·
অন্যান্য যন্ত্র পাতি থেকে
ধারালো যন্ত্রপাতিগুলো আলাদাবাবে সংরক্সণ করুন ।
·
কাটার জন্য সমতল উপরিভাগ
(সারফেস) ব্যবহার করুন ।
·
কাটার কাজ ছাড়া অন্য কোনো
কাজে ছুরি ব্যবহার কদুন ।
·
যে হাত বেশি শক্তিশালী সেই
হাতে ছুরি ধরুন ।
·
ছুরি পরিষ্কার করতে এটিকে
আপনার কাছ থেকে একটু দূরে রাখুন এবং ব্লেডের দুর্বল প্রান্তের ওপর কাপড় দিয়ে ঘসুন ।
·
আপনার মালিক যদি চান ছামড়া
বা ধাতব জালক গ্লাভস পরে নিন ।
মেশিন চালকের জন্য যথোপযুক্ত পিপিই
·
নিরাপত্তামূলক গগলস
·
মুখোশ
·
এপ্রোন
·
হাতের গ্লাভস
·
ফিঙ্গার গার্ড
ব্যক্তিগত সুরক্ষার উপকরণ কী?
ব্যক্তিগত সুরক্ষার উপকরণ
হতেচ্ছ সেই পোশাকি, উপকরণ বা পদার্থ যা কোনা ব্যক্তিকে আঘাত বা অসুস্থতার ঝুঁকি সুরক্ষা
দেয়।
পিপিই
এর প্রকারভেদ
বিপদে শরীীরের বিভিন্ন
অংশের ঝুঁকি বিবেচনা করে পিপিই শ্রেণিভুক্ত করা হয়।
চক্ষু
বিপদের উৎস সমুহ: ভাঙ্গা সুচ,ছিটানো তরল
রাসায়রনক বা ধাতব,ধুলা,ক্যাটালিস্ট পাউডার,প্রোজেক্ট টাইলস,গ্যাস,তাপ এবং বিকিরণ।
পিপিই: নিরাপত্তা চশমা, গগলস, মুখের ঢাল,ওয়েল্ডিং ঢাল
কান
বিপদের উৎস সমূহ: ৮৫ ডেসিবেলের ওপরের শব্দ ।
পিপিই:
কানের প্লাগ, কানের দস্তানা, ক্যানাল টুপি ।
শরীর
বিপদের উৎস সমূহ : অস্বাভাবিক তাপমাত্রা, খারাপ আবহাওয়া, তরল রাসায়নিক বা ধাতবের
ঝলসানি,
লিকিং চাপ
থেকে সৃষ্ট বিস্ফোরণ, ধারালো বস্তুয়া, এপ্রোন, পেনাপ্রেশন, সংক্রমিত ধুলা ।
পিপিই: বয়লার
স্যুট, রাসায়নিক স্যুট, ভেস্ট বা ফতুয়া, এপ্রোন , পুরো শরীর ঢাকা স্র্যট , জ্যাকেট
ইত্যাদি ।
পা
বিপদের উৎস সমূত : পিচ্ছিল মেঝে, ভেজা ধারালো বস্তু,
পচনশীল বস্তু, রাসায়নিক ঝলকানি, তরল
ধাতবের ঝলকালি , কোনো বস্তুর বিপথগামিতা ।
পিপিই নির্বাচন
ইটি নিশ্চিত করতে হবে যে,
যে মাত্রার সুরক্ষা দরকার পিপিই তা প্রদান করবে । পিপিই হতে হবে-
·
কাজের ধরন অনুযায়ী যথোপযুক্ত
আবং ঝুঁকিতে যথাযথ সুরক্ষা দানে সমর্থ;
·
ব্যবহারকারীকে পর্যাপ্ত সুরক্ষা
দিতে সমর্থ;
·
অতিরিক্ত স্বাসথ্য বা নিরাপত্তা
ঝুঁকি সৃষ্টি করবে না ।
·
অন্যান্য ব্যবহৃত পিপিইএর
সাথে সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে (যেমন – কানের দস্তানার সাথে শক্ত টুপি)
·
সঠিকভাবে ফিট করে ।
·
ব্যবহারকারীর অন্য কোনো স্বাস্থ্যগত
সমস্যার সৃষ্টি করবে না ।
·
সহজে ব্যবহারযোগ্য
·
আরামদায়ক ।
·
বাংলাদেশের মানের সাথে সবঙ্গঁতিপূর্ণ
।
পিপিই নির্বাচনের সময় কর্মীদের
সাথে আলোচনা করে নিতে হবে । কর্মীদের ব্যক্তিগতবৈশিষ্ট্য এবং
পছন্দের গুরুত্ব দিতে হবে
।
পিপিই
এর ব্যবহার
নিশ্চিত করুন যেন-
·
উৎপাদনকারীর নির্দেশনা অনুযায়ী
পিপিই ব্যবহৃত হয় ।
·
পিপিই সঠিক স্থানে ফিট করা
হয় ।
·
এর ব্যবহার বিষয়ে পিপিই প্রশিক্ষণ
দেয়া হয় ।
·
যেখানে পিপিই ব্যবহার করতে
হবে সেসব স্থানে যথাযথ চিহ্ন প্রদর্শিত হয় ।
প্রশিক্ষণের সময় পিপিই এর
সঠিক ব্যবহার, মজুতকরণ এবং এদের সংরক্ষণ ইত্যাদি বিষয় ব্যবস্থা থাকতে
হবে ।আর সে সময়ে প্রশিক্ষণ
দিতে হবে-
·
যখন নতুন কর্মী কাজ শুরু করে ।
·
যখন কর্মী কোনো নতুন পোশাক পাবে তখন ।
সম্পন্ন হয়েছে
১. মেশিন ব্যবহারের আগে, ব্যবহারকা্লে এবং ব্যবহারের
পরে সকল নিরাপত্তার বিধি-বিধান অনুশীলন
চলা হয়েছে ।
২. কীভাবে পিপিই ব্যবহার করতে হবে তা জানতে চাওয়া হয়েছে
।
নিরাপত্তার বিধি – বিধানসমূহ
মেশিন যখর ব্যবহৃত হবে না তখন মেশিনের সুইচ বন্ধ রাখতে হবে ।
নাগালের মধ্যে আপনি আপনার চেয়ারে বর্গাকারভাবে বা আরামদায়কভাবে বসবেন ।
·
সবসময় মেশিনের সামনে বর্গাকারে বা
আরম করে বসবেন ।
·
বসার সময় মেঝের সাথে আপনার ঊরু সুমান্তরাল
থাকবে ।
·
কাজের সময় ববিন বা কাটিসে বাতাস করবেন
।
·
পদচালিত যন্ত্র উঁচুতে রেখে আরামবোধ
করুন । শরীর এর ক্লান্তি পরিহার করার জন্য মেশিন
থাকে চেয়ারের দুরত্ব স্বাভাবিক রাখুন । আর মেশিনের গতি স্বাভাবিক রাখুন ।
অগ্নি নির্বাপন প্রক্রিয়া জেনে নিন ।
কোম্পানির চাহিদা
অনুযায়ী অগ্নি নির্বাপন ড্রিল, নির্বাচন এবং ব্যবহার করতে প্রশিক্ষণার্থীদের সক্ষম
হতে
হবে ।
অকুপেশন
অধিকাংশ সেলাই মেশিনে
তিন ভাবে ফোঁড় সমন্বয় করা যায় । যেমন – দৈর্ঘ, স্টাইল এবং টেনশন অনুসারে
আপনি অস্থায়ী সেলাই
দেয়ার জন্য বা কেনো কিছু একসাথে জড়ো করার জন্য লম্বা লম্বা ফোঁড়ের সেলাই
ব্যবহার করতে পরেন
। এটি পরবর্তীতে যেকোনো সময় খুলে ফেলা যায় । কম দৈর্ঘ্যের বা খাটো ফোঁড়ের
সেলাই সাজসজ্জার সেলাই
বা বোতামের ছিদ্র সেলাইয়ে ভালো কাজ করে । আঁকাবাকা ফোঁড়ের সেলাইয়ের
জন্য ফোঁড়ের স্টাইল
সবচে য়ে ভালো । এই পদ্ধতি জট ছাড়ানোর জন্য উপযোগী । এই পদ্ধতি সাজসজ্জার
সেলাইয়ে র জন্য ভালো
। তবে মেশিনের পোঁড় ঢিলেঢালা বামজবুত হেসেবে সমন্বয় করার জন্য টেনশন
ফোঁড়ে ব্যবহৃত হয়
। বেশিরভাগ মেশিনেই ফোঁড়ের দৈর্ঘ্য, ফোঁড়ের স্টাইল এবং টেনশন সমন্বয় করতে
ডায়ল ব্যবহৃত হয় ।
যদিও উচ্চ ক্ষমতা বা মানসম্পন্ন মেশিনে বৈদ্যুতিক নিয়ন্ত্রণ থাকতে পারে । তবে ফোঁড়
সমন্বয় করা শিখতে
আরও পড়াশুনা করতে হবে ।
নির্দেশনা
ক । ফোঁড়ের দৈর্ঘ্য
সমন্বয় করা ।
১ । লম্বা ফোঁড় দেয়ার
জন্য র্ঘৈ্যকে উচ্চতর নম্বরে সেট করুন । অনেক মেশিনের সম্ভাব্য ফোঁড়ের
দৈর্ঘ্য ৪ ইঞ্চি এবং
গড় ২ ইঞ্চি ।
২ । খাটো ফোঁড় দিতে
দৈর্ঘ্য নিম্নতর নম্বরে সমন্বয় করুন । শূন্যতে সেলাই ফোঁড় তৈরি নাও
হতে পারে্ । কেননা,
সেক্ষেত্রে সুচ একই স্থনে ওঠানামা করবে ।
৩। যা সেলাই করতি
চান সেই ধরনের কাপড়ের চোট একটি ফালি কাটুন ।
৪। ফালির ওপর কয়েকটি
পরীক্ষামূলক ফোঁড় চান, সেগুলো সেলাই করুন । পরীক্ষা করে , দেখুন এবং নিশ্চিত হন
আপনি সেলাইয়ে যে মাপে
ফোঁড় চান, সেগুলো সেই মাপের হয়েছে কিনা ।
৫। ফোঁড়ের দৈর্ঘ্য
প্রয়োজন মতো আবার সমন্বয় করুন ।
খ । ফোঁড়ের স্টাইল
সমন্বয করা ।
৬ । ডায়াল ঘুরিয়ে বা বৈদ্যুতিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে
সেলাই মেশিন আঁকাবাঁকা বা সাজসজ্জার ফোঁড়
সেট করুন ।
৭। আপনি যা সেলাই
করতে চান সেই ধরনের কাপড়ের ছোট একটি ফালি কাটুন ।
৮ । ফালির ওপর কয়েকটি পরীক্ষামূলক ফোঁড় সেলাই করুন ।
৯। পরীক্ষ করে দেখুন এবং নিশ্চিত হোন, আপনি সেলাইয়ে
যে মাপের ফোঁড় চান, সেগুলো সেই
মাপের হয়েছে কিনা । সেলাইয়ের দৈর্ঘ্য এর ওপর করে আঁকাবাঁকা
এবং সজসজ্জার
ফোঁড় খুবই আলাদা দেখাবে ।
১০ । প্রয়োজনমতো সেলাইয়ের দৈর্ঘ্য সমন্বয় করুন এবং পদক্ষেপ
৩ ও ৪ পুনরায় করুন ্
টেনশন সমন্বয় করা
।
১১ । সামান্য ডানে
ডায়াল ঘুরিয়ে আপার টেনশন অধিকতর শক্তভাবে স্থাপন করুন । অথবা সামান্য
বামে ডায়াল ঘুরিয়ে
অধিকতর নরমভাবে আপনার টেনশন স্থাপন করুন । (অথবা সেলাই
মেশিনে যদি ইলেকট্রনিক
নিয়ন্ত্রণ থাকে, তার সাহায্যে করুন) । এটি মূলত
সুতার মজবুত ত্বকে
সমন্বয় করে ।
১২ । ডায়াল অথবা ইলেট্রনিক
নিয়ন্বণের মাধ্যমে লোয়ার টেনশন সামান্য শক্ত অথবা ঢিলেঢালা করা
স্থাপন করুন । এটি
ববিনেক মতাকে মজবুতভাবে সমন্বয় করে ।
১৩ । আপনি যা সেলাই
করতে চান সেই ধরনের কাপড়ের ছোট ছোট একটি ফালি কাটুন ।
১৪। ফালির ওপর পরীক্সমূলক
কয়েকটি ফোঁড় সেলাই করে দেখুন সেগুলো বেশি শক্ত বা বেশি
ঢিলেঢালা হয়েছে কিনা
। কাপড়ের ওপর সলাই সমতল হতে হবে । যাতে কাপড়ের টান না
থাকে অথাবা কাপড়ে
ছিদ্র না হয় ।
১৫ । প্রয়োজন হলে
১ থেকে ৪ নং ধাপপসমূহ পুনরায় করুন ।
যেভাবে কাজের এলাকা এবং – এর গুরুত্ব চিহ্নি করা যায় ।
মেশিনের টেবিল অথবা বেঞ্চের লেআউট সম্পর্কে জানুন ।
·
সম্পাদিত কাজের
ধরনে ওপর মেশিনের টেবিল অথবা বেঞ্চের লে- আউট কম সেশি হয় ।
· মেশিনের চালক সবসময়ই লক্ষ রাখবেন যেন মিতব্যয়ী হওয়া যায় ।
কাজের এলাকার গুরুত্ব
১. উভয় হাত কাজে রাখুন ।
১. বেঞ্চের ওপর কাজ হাতের
নাগালের মধ্যে রাখুন ।
২. আপনার যন্ত্রপাতি একটি নির্দিষ্ট স্থানে রাখুন
ক) মেশিনের মধ্যে হাত বা বাহুটি
খ) মাথা এবং ববিন উইন্ডার
এর মধ্যে
নোট : মনে রাখবেন সকল যন্ত্রপাতিই বিপজ্জনক।
মেশিন এবং কাজের বেঞ্চ স্থাপন
১. কাজের এলাকা স্থাপিন করুন ।
আপনার সামনে একটি শক্ত টেবিল
কাউন্টারে বা সেরাই ক্যাবিনেটে মেশিন রাখুন । টেবিলের উচ্চতা অনুযায়ী
একটি চেয়ারে বসুন । মেশিন
এমনভাবে স্থাপন করুন যেন সুচটি আপনার বাম দিকে থাকে । আর মেমিনের
বডি ডান দিকে থাকে । প্রথমে
আপনাকে অনেক কিছু দেখতে হবে । মেশিনটি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে
নিতে হবে । তাই এখনই এটি প্লাগ ইন করবেন না ।
দেখুন , ভিত্তিরি সমতর অংশের ওপর সেলাই মেলাই মেশিনের সুচ ।
নিরাপদভাবে একটি সুচ স্থাপন
করুন । তবে সুচ স্থাপন হবে সমতল দিকে । তাই শুধু একদিকে যাবে ।
আর সেটি পিছনের দিকে হবে ।
সাধারণত শ্যাম্কের সমতল দিকের বিপরীতে সুচের একদিকে খাঁজকাটা
থাকবে ।
যেখান থেকে সুতা লাগানো হয়
সেই দিকে খাঁজের মুখ থাকবে । পোস্টের ভেতর এব
সবটুকুতে সুচ
ঢুকান এবং নিরাপদভাবে থাম্ব
স্ক্রু শক্তি করুন । যদি মেশিনে আগে থেকেই সুঁচ থেকে তাহলে সেটি
সোজা আছে কিনা পরীক্স করুন । আর নিরাপদভাবে ঢুকানো আছে কিনা দেখুন ।
২. ফিড ডগ হচ্ছে দাঁতের অংশ
যা চামড়ার বিপরীতে চামড়াকে এগিয়ে নেয়
৩. আঙ্গুলের স্কু, প্রেসার
ফুটকে ধরে রাখে । নিশ্চিত হউন , সেলাই এর যেন আবৃত থাকে ।
প্রেসার ফুট চিহ্নিত করুন
। এটি স্কি আকৃতির এবং এটি চামড়াকে নেচের দিকে ধরে রাখে । নিশ্চিত হোন যে
ছবির চামড়া স্থাপিত হয়েছে কেএমনভাবে যেখানে আঙ্গুলের স্ক্রু আবৃত আছে ।
প্রেসার ফুটকে ওপর – নিচ করার
অনুশীলন করুন । প্রেসার ফুট লেভেল দেখুন । এটি সুচ এসেম্বলির ডান অথবা
পেছনের দিকে থাকবে । এটি একবার
পুরো উপরের দিকে উঠাবেন এবং তারপর নামাবেন ।
৪। এবার পাক দিন এবং ববিন ঢুকান।
পাক
দিন এবং ববিন ঢুকান । একটি মেশিনে দুটো সুতোর উৎস ব্যবহার করা হয় । একটি টপ সুতা এবং
অপরটি
নিচের সুতা । এই সুতা ববিনে জমা থাকে । পাক দেয়া এবং ববিন ঢুকানার ওপর বিস্তারিত র্দিশনার
জন্য
সংযোগ বা লিংক অনুসরণ করুন ।
সম্পন্ন হয়েছে
৫ । সেলাই মেশিনে সুতা দিন ।
সেলাই
মেশিনে সুতা দিন : বিস্তারিত জানার জন্য লিংক অনুসরণ করুন । অথবা আপনার ম্যানুয়াল দেখন
(যদি থেকে থাকে ) ।
· ১. মেশিনের গায়ে
চাপানো গাইডও আপনি অনুসরণ করতে পারেন ।
· ২. সাধারণভাবে ক,
সুতা এই সাধারণ প্যাটার্ন অনুসরণ করে – বামে,নিচি ওপরে , হুকের মধ্যে , সুচের
ভেতর দিয়ে । আন্য উপায়টি হচ্চে- স্পুল পিন, টেনশন ,টেক-আপ
লিভার সুচ নিন, সুতার গাইড
ব্যবহার করে । স্পুল পিন সুতা জড়ানো ধরে রাখে , টেনশন
নিয়ন্ত্রন করে যাতে সহজভাবে সুতো
নাটাই থেকে উত্তেলিত হয় টেক আপ রেভার সুতার অতিরিক্ত
দৈর্ঘ্য ব্যবহার করে । ববিন বাক্সে
চারদিকে আপনার সুতোকে ফাঁস দেয়ার প্রয়োজন হবে । পরবর্তী
ফোঁড়ের জন্য ব্যাক আপ করুন ।
· ৩. বাম থেকে ডানে অথবা সামনে থেকে পেছনে – এই পদ্ধতিতে সুতা ভারা যায় । যদি ইতোমধ্যে
সুতিা ভরা হয়ে থাকে এটি নির্দেশনার জন্য একটি সংকেত
। যদি না হয়ে থাকে, সুচে এর কাছাকাছি
নির্দেশনা থাকবে । এই নির্দেশনা দেখুন যা থেকে আপনি অবশ্যই সুচে সুতা লাগাতে পারবেন ।
· ৪. যদি আপনার মেশিনের
সুতা লাগানোর নির্দেশনা না থাকে, চেষ্টা করুন গুগলে মেশিন ব্র্যান্ড ও
মডেল নম্বর
টাইপ করার । অনেক কোম্পানি রয়েছে যারা এই জঠিল তথ্য অনলাইনে পোস্ট
করে থাকে ।
৬. ববিন থ্রেড উঠানো
আপার থ্রেডের শেষ প্রান্তে ধরুন যা আপনার বাম হাতের সুচের মধ্যে দিয়ে চরে যায় ।
মেশিনের হ্যান্ড হুইল উপরে
ডান দিকে ঘুরান । সাধাতণদ এটি আপনি ঘুরাবেন যাতে আপনার নিজের
দিকে টপকে মুব করাতে পারেন । একে একটি পূর্ণ আবর্তনে ঘুরান ।
প্রেসার ফুটের নিচে কাঁচি ঢুকান ।
উভয় সুতার লুপ পেনে নিতে প্রেসার
ফুট এবং প্লেটের মধ্যে এক জোড়া কাঁচি ঢুকান । এখন আপনার কাছে
থাকবে দুটো সুতার শেষ ভাগ । একটি সুচ থেকে এবং অপরটি নিচ থেকে আসা ।
৭. মেশিনে প্লাগ ঢুকান ।
মেশিনে প্লাগ ইন করুন এবং এটিকে চালু
করুন । অনেক বেল্ট ইন আলো রয়েছে যা মেশিনে পাওয়ার
আছে কিনা তা নির্দেশ করে । সাধারণভাবে
পাওয়ার সুইচ মেশিনের ডান দিকের থাকে । অথবা
মেশিনের পেছনে থাকা । কোনো কোনা মেশিনে
গুধু প্লাগ ইন করার ব্যবস্থা আছে । আলাদা কোনো পাওয়ার
সুইচ নেই । এসব ক্ষেত্রে প্লাগ ইন করার
সাথে সাথে মেশিন চালু হয়ে যায় ।
সেলাইয়ের অনুশীলনের একটি নমুনা গ্রহণ করুন । সেটি মেশিনের বেঞ্চের ওপর রাখুন ।
চামড়ার নমুনা সেলাইয়ের জন্য প্রস্তুত ।
কাঁচি/কাটার মেশিনের বাহুর ভেতর রাখা ঞয়েছে ।
এই কাঁচিটির সাহায্যে পরীক্ষত কাজের টুকরাগুলো কাটা অথবা সুতা পরিপাটি করা হয়েছে ।
বেঞ্চের ওপর আপনার নাগালের
মধ্যে কীভাবে এবং কোথায় আপনি কাজের টুকরোগুলো রাখবেন ?
কাজের সময় মেশিনের টেবিল অথবা
বেঞ্চের ওপর কোথায় আপনার কাঁচি বা কাটার রাখবেন তা আপনার
সুপারভাইজারকে দেখান ।
কীভাবে সেলাই মেশিন ব্যবহার করতে হবে তা শিকতে ভয়
লাগতে পারে । কিন্ত শেখার কৌশল হচ্ছে,
ছোট ছোট কাজে বাগ করে সহজ পদক্ষেপ এবং মৌশলগুলো
শেখা । এই নির্ধেশনাগুলো আপনার
মেশিনের ওপর নির্ভর করে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে ।
আপনার যেসব প্রশ্নের উত্তর এখানে দেয়া হেচ্ছে নাসেগুলো
আপনার সেলাই মেশিনের ম্যানুয়াল থেকে দেখে নেবেন
। আপনার কাছে যদি কোনো ম্যানুয়ালে না থাকে
উৎপাদনকারীর ওয়েবসাইটে গিয়ে একটি অর্ডার পাঠিয়ে
দিন ।এই বিষয়ে ম্যানুয়ালে দেয়া কৌশলগুলোই
যথেষ্ট ।
সেলাই শিখতে এবং সঠিক মেশিন ব্যবহার করা শেখার প্রথম
স্টেপ বা ধাপ হচ্ছে জেনে নিতে হবে যে ,
কীভাবে মেশিনুটি কাজ করে । অধিকাংশ মেশিনের রয়েছে
ইন্টারলকিং ফোঁড়ের ব্যবস্থা যেখানে প্রধান সুতার
নাটাই যা ফোঁড়ের টপ তৈরি করে । আর রয়েছে একটি চোখ
। হাতে সেলাই সুচের মতো ভোঁতা বা তলা তৈরি
সুচে ধারালো প্রান্তের ওপর রয়েচে একটি চোখ । হাতে
সেলাই সুচের মতো ভোঁতা বা প্রান্তের পরিবর্তে এটি
কাপড়ের
ভেতর দিয়ে প্রধান সুতাকে ঠেলে দেয় । আর সেখানে ববিন সুতা নেয়
১
। সেলিই মেশিন ব্যবহার শেখার পরবর্তী ধাপ হচ্চে মেশিনের সকল পার্টসকে জানা বা বুঝা
। যদিও
একটি
থেকে আরকটি আলাদা , তাদের অধিকাংশেরই রয়েছে নিম্ন বর্ণিত বৈশিষ্ট্য-
স্পুল
পিনস । এগুলো কতকগুলো ছোট পোস্ট আপনার মেশিনের ওপরে সাধারণভাবে দক্ষিন প্রান্তে ও কাছে
থাকে
। সেগুলো প্রধান সুতার নাটাইকে ধরে রাখো । এখানে কমপক্ষি ১টি স্পুল পিন থাকে । তবে ২টি এই
অতিরিক্ত
সপুল পিনটি সুতার নাটাইকে ধরে রাখবে ।
থ্রেড
গাইড : মেশিনের টপ এর কাছে বাম দিকে টেনন্ত্রণ থাকে । স্পুল ত্যাগ করার আগে মূল সুতা
এই
শ্লটর মাধ্যমে যায় ।
টেনশন
রেগুরেটর : সুতার গাইডের বাম দিকে টেনশন নিয়ন্ত্রণ থাকে । স্পুল ত্যাগ করার করার আগে
মূর সুতা
এই
শ্লটর মাধ্যমে যায় ।
টেক
আপ লিভার: মেশিন যখন আপনার মাসনে আপনার দিকে থাকবে , আপনি একটি লম্না শ্লট
দেখতে পাবেন । মেশিনের সামনে নিচের দিকে চলন্ত থাকবে যার সাথে একটি লিভার বাইরের দিকে লেগে থাকবে ।
নিডর ক্ল্যাম্প :
টেক আপ লিভারের নিচে রয়েছে একটি ছোট ক্ল্যাম্প যা সুচকে
তার স্থানে ধরে রাখে।
প্রেসার ফুট : সুচের নিচেই রয়েছে প্রেসার ফুট াকাপড়কে নির্দিষ্ট স্থানে
ধরে রাখতে আপনি প্রেসার ফুটকে নিচু
করতে পারেন । এটি মেশিনের মধ্যে দিয়ে যায় ।
ববিন উইন্ডার : নাটাই স্পিনের পরেই আপনি আরেকটি ছোট পোস্ট দেখবেন ্ এর ওপর
সুতা পাকাতে
আপনি আপনার ববিন রাখবেন ্ ববিন একটি নাটাই যা প্রায় এক ইঞ্চি উচ্চতা বিশিষ্ট
এটি স্বাভাবিকভাবে
রূপার ধাতু দিয়ে তৈরি ।
থ্রোট প্লেট: এটি একটি রূপার প্লেট যা প্রেসার ফুটের নিচের এলাকা কভার করে
। কেন্দ্রে এর একটি উন্মুক্ত
এলাকা রয়েছে যা সুতা অতিক্রম করে । ববিন সুতাকে আঁকড়িয়ে ধরার জন্য বিবিন্ন
রকমের থ্রোট প্লেট
রয়েছে । এটি নির্ভর করে আপনি কোন ফোঁড় বেশি ব্যবহার করেন তার ওপর ।
হ্যান্ড হুইল : এটি দেখা যাবে মেশিনের ডান প্রান্তে অএর সাহায্যে সুচ ওঠানো
ও নামানো যাবে । হ্যান্ড হুইলি
সঠিকভাবে পজিশেন করো ফোঁড় দেয়া গুরু
করতে সাহায্য করে ।
ফুট কন্ট্রোর : এটি ব্যবহার করা হয মেশিন চারাতে এবং বন্ধ করতে । ফোঁড় শুরু
করার জন্য ফুট কন্ট্রোলে
চাপ দিন । আর মেশিন বন্ধ করতে চাপ ছেড়ে দিন ।
অন্যান্য বৈশিষ্ট্য: আপনার মেশেনে ফোঁড়ের দৈর্ঘ্য , প্রস্থ এবং ধরন নির্বাচন
করার ব্যবস্থা থাকবে । মেশিন
ভিদে এগুলো ম্যানুয়াল লিভারের মাধ্যমেও হতে পারে অথবা কম্পিউট্যারাইজড স্ক্রিনের মাধ্যমেও
হতে
পারে
২ । আপনি এখন মেশিনের সাথে পরিচিত হয়েছেন । এখান মেশিন ব্যবহার করতে পারেন
। মধ্যম প্রকৃতির
কাপড়ের প্রকৃত জাজ আরম্ভ করাার আগেই জানাটা উওম ।আপনার কাপড় ইস্ত্রি করুন
। তাহলে-কাপড়
ভাঁজমুক্ত হবে । ফলে তা সুচে আটকাবে না ।
৩ । সেলাই মেশিনে সুতা লাগাতে নির্দেশনা ম্যানুসরণ করুন ।
৪ । কীভাবে সেলাই করতে হবে তা শিখার জন্য এখন আপনি প্রকৃতভাাবে প্রস্তুত
্ দুটি কাপড়ের ফালি
নিন । একটির উপরে আরেকটি রাখুন । এক্ষেত্রে দুটো কাপড়ির ডান দিক একত্রে
একদিকে থাকবে ।
এমনভাবে রাখুন যেন, কাপড়ের কিনারা সমরেখায় থাকে । প্রকৃত কাজ শুরু করলে
,ছোট প্রান্তগুলো
একই দিকে যাবে । এটি নিশ্চিত করে যে , আপনাকে প্রকল্পের এক সেকশনে থেকে
অন্য সেকশনে একই
পরিমাণ দেয়া হবে ।
৫ । সুচ উঠানোর জন্য হ্যান্ড
হুইল ব্যবহার করুন ্ সুচের সামনে ফেব্রিকটির পজিশন ঠিক করুন । তারপর
হ্যান্ড হুইল ব্যবহার করে
সুচ নিচু করুন, যতক্ষণ এটি ফেব্রিকের প্রায় কাছাকাছি স্পর্শ না করে ।
৬ । কাপড়ের ফালি যথাস্থানে
রেখে প্রেসার ফুট নিচে নামান ।
৭ । ফুট কন্ট্রোলে চাপ দিন
। এবার মেশিনের সুচ ওঠা-নামা শুরু করবে । আপনার এক হাত ফেব্রিকের
ফালির প্রতিটি দিকের ওপর রাখুন
। এটি সুচের নিচে গাইড করতে সাহায্য করবে। করবে । বেশির ভাগ প্রকল্পের
বা কাজের জন্য ১/৪ ইঞ্চি সিম
ব্যবহার করুন । সুচ থেকে প্রেসের ফুটের প্রান্তের দুরত্বও ১/৪ ইঞ্চি ।
তাই ফুটের প্রান্তের এক সারিতে
ফালিগুলো রাখতে চেষ্টা করুন ।
৮ । আপনার ফালির চিক প্রান্তের
বাইরে সেলাই করুন । তারপর ফুট কন্ট্রোল এর ওপর ছেড়ে দিন ।
এতে সেলাইয়ে জট পাকাবে না।
৯ । ফুট কন্ট্রোল চাপ দেয়া
হলে, মেশিনে ইন্টারলকিং সেলাই তৈরি না হলে বুঝতে হবে ঠিকভাবে সুতা
লাগানো হয় নি । তাহলে নির্দেশনা
ম্যানুয়াল ব্যবহার করে চেক করুন, সুতা সঠিক পথে চলছে কিনা
এবং ববিন সঠিক দিকে ঘুরছে
কিনা ।
১০ । যদি আপনার মেশিনে তা
থ্রোট প্লেটের নিচে বাঞ্চ আপ করে তাহলে বুঝতে হবে, আপনার টপ টেনশন
বেশি শক্ত হয়েছে । এখন টেনশন
সমন্বয় করুন এবং পুনরায় চেষ্টা করুন ।
যখন আপনি আপনার মেশিনে সেলাই
করতে আরমবোধ করবেন এবং ১/৪ ইঞ্চি সিম মেইনটেন করতে
পারবেন, তখনই প্রকৃত সেলাইয়ের
কাজ শুরু করবেন । একজন নবীন এর জন্য ছোট, বর্গাকৃতির এবং সোজা
সিমই উপযুক্ত । যেমন – বালিশ
ও বালিশের কভার সেলাই ।
সেলাই মেশিনের ব্যবহার শেখা
কখনোই সহজ ছিল না । আপনার একটু অনুশীলনই আপনার ইচ্ছা পূরণ
করতে সাহায্য করবে ।
সুতা
এ কাজটি সম্পন্ন করার পূর্বে
নিম্নলিখিত দ্রব্যাদি প্রয়োজন-
ক । ৮০ সাইজের একটি নিডল
খ । ৬০, ৪০ এবং ২০ সাইজের সুতা ।
গ । সিনথেটিক বা ন্যাচারাল ফাইবারের এক টুকরা
সুতা ।
সুতা ন্যাচারাল (কটন ) বা
সিনথেটিক (নাইলন ) বা উভয়ের সমন্বয়েও হতে পারে ।
২, ৩ বা অধিক সংখাক স্ট্যান্ড
বা ফিলামেন্টকে পেঁচিয়ে সুতার সাইবারের এক টুকরা সুতা ।
সুতায় প্যাচানো বৈশিষ্ট্য থাকে যা দুই উপায়ে
করা যায় এবং এটি বিভিন্ন নামে পরিচিত ।
১ । ঘড়ির কাঁটার দিকে বা বিপরীত
দিকে
২ । এস বা জেড
৩ । ওয়েফট-ওয়ে বা টুইস্ট-ওয়ে
৪ । সাধারণ বা বিপরীত
৫ । বাম বা ডান
ক । একটি সুতাকে বাম হাতের
বৃদ্ধাঙ্গুল ফোর ফিঙ্গার দিয়ে ধরে এর প্যাঁচানোর দিক পরীক্ষা
করা যায় ।
খ । ডান সইজকে নম্বর দিয়ে
ও ফোর ফিঙ্গার ঐ সুতাকে নিজের দিকে প্যাঁচান ।
গ । সুতার সাইজকে নম্বর দিয়ে
প্রকাশ করা হয় । এখানে নম্বর বেশি হলে ঐ সুতা বেশি চিকণ
অথবা মোটা হতে পারে যা নির্ভর
করে এর সাইজের পদ্ধতির ওপর ।
ঘ । সুতার স্পুলের উপরে বা
নিচে এই নম্বর থাকে ।
ঙ । ন্যাচারল ফাইবার সুতা
সুতা সনাক্তকরণ- একটি সুতাকে আগুনের শিখায় ধরুন । সুতাটি শিখা
উৎপন্ন করে ধীরে ধীরে জ্বলবে ।
চ । সিনথেটিক ফাইবার সুতা সনাক্তকরণ । একটি
সুতাকে আগুনের শিখায় ধরুন । সুতাটি ধোঁয়া
উৎপন্ন করে ছোট শিখা উৎপন্ন করে জ্বলবে ।
এক্ষেত্রে একটি ছোট বল উৎপন্ন হবে যা দ্রুত
পুড়ে যাবে ।
সুতার সাইজের সাথে সুচ এর সাইজের সম্পর্ক
আছে । ৮০ সাইজের সুচ এবং ৬০, ৪০ ও ২০ সাইজের সুতা
ব্যবহার কুরন ।
ক । যেকোনো স্পুল হতে নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যর
সুতা কেটে নিন ।
খ । নেডল এর আই এর ভেতর দিয়ে সুতা প্রবেশ
করান ।
গ । সুচ এ লম্বা খাঁজ নিচের যেকোনো মসৃণ সমতলে
রাখুন ।
ঘ । যদি কোনো প্রকার ঘর্ষণ ব্যতীত সুতাকে
টানা যায় ।
ঙ । সুতাটি ঐ সাইজের সুচ এর জন্য সুবিধাজনক ।
চামড়া সেলাইয়ের মেশিনে যেভাবে সুতা লাগানো হয়
আদর্শ সেলাই মেশিন পাতলা চামড়া
সেলাই করা সুবিধাজনক ।তবে মোট ও শক্ত চামড়া সেলাই করতে
পারে না । এসকল ক্ষেত্রে চামড়া
সেলাইয়ের মেশিন যেকোনো প্রজেক্ট যেমন – লেদার জ্যাকেট, ওযালেট বা
স্যাডেল সেলাইয়ের ক্ষেত্রে
মোটা ও টেকসই সুচের প্রয়োজন হয় । তাই সেলাই আরম্ভ করার পূর্বে আপনার
পছন্দমতো মোটা ও শক্ত সেলাইয়ের
সুতা দিয়ে চামড়া সেলাইয়ের মেশিনে সুতা লাগিয়ে নিন । সুতা লাগানোর
ক্ষেত্রে সাধারণ কিছু ধপ থাকলেও প্রতিটি মেশিনে সুতা লাগানোর পদ্ধতিতে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে ।
সেলাইয়ের জন্য যা
প্রয়োজন
·
চামড়া সেলাইয়ের মেশিন
·
সুতা
নের্দেশনাসমূহ
১ । চামড়া সেলাইযের মেশিনের
উপরে অইস্থিত থ্রেড স্ট্যান্ডের মধ্যে সুতার স্পুল প্রবেশ করান । থ্রেড
স্ট্যান্ডের মধ্যে এটিকে কার্যকরীভাবে
প্রবেশ করাতে স্পুলের প্রতটি প্রান্তের লেবেলকে অপসাসণ
করতে হতে পারে । থ্রেড স্ট্যান্ডের পাশের
ছোট নির্দেশিকা অনুসরণ করুন । তাহলে আপনি বুঝতে
পারেন যে স্পুল থেকে সুতা ঘড়ির কাঁটার
ঘূর্ণনের দিক বা বিপরীত দিক বরাবর বের হচ্ছে কিনা ।
২ । স্পুল থেকে সুতার শেষ প্রান্ত টানুন
। চামড়া সেলাইর মেশিনের সংশ্লিষ্ট প্রতিটি অংশ দিয়ে সুতাকে বুনন
করুন । প্রতিটি অংশ সুতা লাগানোর পদ্ধতি
মেশিনের ডায়াগ্রাম বা প্রস্তুতকারকেদের প্রদও ম্যানুয়ালে
দেখানো থাকে ।
৩ । মেটাল থ্রেড গাইডের মধ্য দিয়ে সুতা বুনন করুন ।এরপর
মেশিনের নিচের প্রান্তে নিয়ে আসুন । নিডল
ফুটের মধ্য দিয়ে সুতা নিচে প্রবেশ করান ।
৪ । চামড়া সেলাইর মেশিনের নেডলের দিকে সুতা টানুন । সুতার শেষ প্রান্তকে
নিডলের আইয়ের মধ্য দিয়ে
প্রবেশ বরান । যদি সুতা প্রবেশ করাতে সমস্যা দেখতে পান তাহলে সুতার ঐ মাথা কাঁচি দিয়ে কেটে
পুনরায় চেষ্টা করুন ।যদি তারপরও নিডলের মধ্যে সুতা ঢুকাতে সমস্যা হয় তাহলে
তবে একটি থ্রেডার
ব্যবহার করুন ।
৫ । নিডলের মধ্য দিয়ে সুতার শেষ প্রান্তকে টানুন । নিডল হতে ছয় থেকে আট
ইঞ্চি সুতা বাখুন ।
সুচ
প্রথমেই নিশ্চিত হোন যে , সুচটি যথাযাথ দৈর্ঘ্যের আছে । পাপনার ম্যানুয়লে
সুপারিশকৃত দৈর্ঘ্য এবং নম্বর
অনুযায়ী সেটি আছে কিনা ।
দ্বিতীয়ত কাপড়ের জন্য উপয়ের জন্য উপযোগী এমন মাপের সুচ ব্যবহার করুন।ম্যানুয়াল অথবা সেলাইড মেশিন কেন্দের চিার্টে সেলাই ও বিভিন্ন প্রকার সুতার সুপারিশ দেয়া আছে । তুলনামূলকভাবে বড় ডায়ামিটারের সুচে আকর্ষণীয় সেলাই পড়ে না তাতে কাঙ্খেত সুতার ছেদ্র (কাপড়ে) অপেক্ষা বড় ছিদ্র হয় ।
তৃতীয় নিশ্চিত হোন যে, সুচটি সোজা এবং
এর কোনো দুর্বল পয়েন্ট নেই । মাঝে মাঝে বন্ধ
হয়ে যায় না ।
চতুর্থত বিশেষ পোশাক সেলাই এর জন্য সুচ
বাছাই করুন । যেমন – বলপয়েন্ট সুচ নীটের জন্য এবং চামড়ার
জন্য কীলক (ওয়েজ) বাছাই করতে পারেন ।
সুচর লম্বা খাঁজের দিকে সুচ ক্লাম্পের
উপরে সুচ যন্ত্রে বা ক্ল্যাম্পে সুচ প্রবেশ করুন । যতক্ষণ পর্যন্ত না এটি
পিন বন্ধ করছে ততক্ষণ প্রবেশ করাতে থাকুন
।খাপ খয় এমন সুচে এর মাধ্যমে মেশিনের ওপর সুচ বারের
পজিশন সমন্বয় করুন । যতক্ষণ না সুচ, সুচ
প্লেটের ছিদ্রের ভেতরে না যায় ।
নিডল প্লেট (থ্রোট প্লেট)
কিছু কিছু মেশিনের উৎপাদনকারীর সরাসরি
সেলাই এর জন্য গোলাকার ছিদ্রের সুচ এবং আঁকাবাঁকা সেলাই
এর জন্য সম্প্রসারিত ছিদ্রের সুচ ব্যবহারের
পরামর্শ দিয়ে থাকেন । আপনি সঠিক সুচ প্লেট ব্যবহার না করলে
সোজা সেলাইয়ের সময় আপনার সেলাইগুলো আঁকাবাঁকা
প্রকৃতির হতে পারে । এটি সিনথেটিক লেদারের
ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সত্য । অমসৃণ স্থানের
জন্য সুচ প্লেট পরীক্ষা করুন ।জরুরি কাগজ বা
কাপড়ের দ্বারা
এগুলো সারিয়ে নিন ।
ফিড ডগ
ফিড ডগের ওপর দাঁত, সুচ প্লেটের ওপর কাজ করবে যাতে দাঁতের নিচের অংশ অথবা খাঁজকাটা অংশ
সুচ
প্লেটের উপরে একই লেভেলে থাকে । এটি তখন
হবে যখন সুচ দিয়ে সৃষ্ট সেলাইএর আগে ডগ উপকরণ
চলাচল করে ।
একটি ভালো সেটিংস
এ প্রতিটি ইঞ্চি সেলাইয়ে ১০ থেকে ১২ টি ফোঁড় থাকবে । খুব পাতলা এবং সূক্ষ্ম
উপকরণের ক্ষেত্রে
প্রতি ইঞ্চি সেলাইয়ে ১৪ থেকে ১৬ টি ফোঁড় থাকবে । চামড়া অথবা ।চামড় অথবা ভিনাইলের ক্ষেত্রে
লম্বা
সেলাই আশা
করা হয়ে । এক্ষেত্রে প্রতি ইঞ্চি সেলাইয়ের ৬ থেকে ১০ টি ফোঁড় থকবে ।
প্রেসের ফুট
ফিড ডগের
ওপর কাপড় ধরে রাখার জন্য প্রেসার ফুটের ওপর প্রচুর চাপ প্রয়োগ করতে হবে যাতে সেলাই
এর দৈর্ঘ্য
একইরকম হয় । সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী ভারী কাপড়ে জন্য প্রয়োজন হালকা চাপ । ভেতরের
একটি পিনের
নিচের দিকে ঠেলে চাপ বাড়ানো যেতে পারে । অথবা বারের একটি রিং মুক্ত করে চাপ হ্রাস করা
যেতে পারে
। তবে অন্যান্য মেশিনের থাম্ব স্ক্রু বা ডায়াল থাকতে পারে । এই ডায়াল দিয়ে চাপ নিয়ন্ত্রণ
করা
যায় । কীভাবে
চাপ খাপ খাওয়ানো যায় তা জানার জন্য আপনি আপনার মেশিন বুকলেটের ওপর
একটি রোলার
এর মতো প্রেসার ফুট মানসম্মত প্রেসার ফুটের চেয়ে ভালো ফিডিং দিতে পারে ।
রিপু (ডারনিং)
করার সময়, হয় প্রেসার ফুটের ওপর চাপ হ্রাস করুন, অতবা ড্রপ ফিড বোতাম বা কভাবে
প্লেটের
ব্যবহার দ্বারা মেশিনের ওপর ফিড ডগ নিচু করুন ।
থ্রেড টেনশন
আপর এবং
লোয়ার (ওপর এবং নিচের) টেনশন সঠিক সেলাই এর জন্য অবশ্যই সমন্বয় করতে হবে ।
আপার টেনশন
ভিন্ন ভিন্ন মেশিনে ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় থকতে পারে ।এটি সোজ প্লেটের উপরে হতে পারে ।
নিডল বার
হাউজিং এর ওপর হতে পারে । নিডল বার হাউজিং সম্মুখে হতে পারে অথবা মেশিন হেডের
আপার হ্যান্ডেলের
ওপর হতে পারে ।
লোয়ার টেনশন
শটল বা ববিন কেসের ওপর স্থাপিত হয় । এটি স্ক্রুর সাহায্যে খাপ খওয়ানো হয় । দুটি স্ক্রু
লোয়ার টেনশন
স্প্রিংকে ববিন কেসে আটকিয়ে দিলে স্প্রিং এর কেন্দ্রের কাছাকাছি স্ক্রুটি উল্টিয়ে
সমন্বয়
করতে হবে
। এক্ষেত্রে শেষের স্ক্রুটি উল্টানো না ।
পরিষ্কার
করার সময় লোয়ার টেনশন স্প্রিং খোলা হয়ে থাকে অথবা এর সমন্বয় পরিবর্তিত হয়ে থাকে ।
এ
সময় মেশিনের
সাধারণ ব্যবহারের মতো সমন্বয় পদ্ধতি একই হবে । অর্থাৎ ধরে নিতে হবে যে, যতক্ষণ না
ভুল প্রমানিত
না হয়, ততক্ষন লোয়ার টেনশন ঠিকই আছে । আপর টেনশনের ওপর সকর সমন্বয় করতে
হবে ।
লোয়ার টেনমন
নষ্ট হলে, লোয়ার টেনশন এবং আপর টেনশন উভয়কেই সেট করুন । তাতে প্রতিটি সুতা
কিছুটা
টানটান হতে পারে । ববিন এবং নাটাই উভয়ের ওপর একই আকারের সুতা ব্যাবহার করুন । একই
টেনশন সমন্বয়
করুন ।সেলাইয়ের দিকে তাকান ।সেলাই স্পষ্টভাবে দেখার জন্য সুতার বৈসাদৃশ্যপূর্ণ রং
ববিনের
ভেতরে ও উপরে ব্যবহার করুন । মধ্যম দৈর্ঘ্যের সেলাই এর জন্য সেলাইয়ের দৈর্ঘ্য নিয়ন্ত্রণ
সেট
করুন ।
একটি ৬ ইঞ্চি থেকে ৮ ইঞ্চি বর্গাকার গড় ওজনের কাপড় ভাঁজ করুন । এর ওপর কোণাকুনি সেলাই
করুন । এই সেলাই হতে হবে ৪৫০ কোণের সমান ।
সুচের বিভিন্ন অংশ ও কার্যাবলী
একটি আদর্শমেশিন
নিডল এর মূল বৈশিষ্ট্যগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো । বিভিন্ন সুচের ধরন অনুযীয়ী এদের
গঠন – বৈশিষ্ট
ভিন্ন হয়ে থাকে ।
বাট
বারের ভেতর
সুচকে সহজেই প্রবেশ করাতে সাহায্য করে ।
শ্যাষ্ক
সুচের উপরের
অংশ যা মেশিনের ভেতর ঢুকে থাকে । বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সামনের দিক গোলাকার ও
পেছনের
দিক সমতল হয় । একটি সুচকে যথাস্থানে বসাতে সাহায্য করে ।
শোল্ডার
এটি সুচের শ্যাষ্ক ও ব্লেডের মধ্যবর্তী অংশ । শ্যাষ্কের
ব্যাস ধীরে হ্রাস পেয়ে ব্লেডের ব্যাসে পৌঁছায়
ক্রমান্বয়ে সরু হওয়া এ অংশকে শোল্ডার বলে । এটি সুচকে
বাড়তি শক্তি প্রদান করে ।
ব্লেড/শ্যাফট
সুচের ভেদ করার শক্তি ও ছিদ্রের আকর নির্ভর করে এর ব্লেডের
আকার ও ব্যাসের উপর ।এটি সুচের শ্যাষ্ক
ও আইয়ের মধ্যবর্তী অংশ ।
লম্বা খাঁজ
এটি সুচের ব্লেড বরাবর থ্রেড যুক্ত করার স্থান । লম্বা
খাঁজের কাজ হলো সুতাকে ব্লেড বরাবর ধরে রাখা । এর
ফলে সুচ উপকরণকে ছিদ্র করে ভেতরে ঢোকার ক্ষেত্রে ঘর্ষণ
কম হয় । ফলে ব্লেড ও উপকরণের মধো সুতা
আটকে যায় না ।
সম্মুখ বা খাটো খাঁজ
এটি সুচের সম্মুখের স্লিট যা সুষম সেলাইয়ের জন্য যথেষ্ট
বড় হতে হয় ।
পয়েন্ট
এটি সুচের সর্বশেষ প্রান্ত যা ফ্যাব্রিকের ভেতর প্রবেশ
করে সুতাকে ববিন হুকে পৌঁছায় । এটি স্টিচ তৈরি
করে । সুচের প্রকৃতির ওপর ভিত্তি করে এর পয়েন্ট ও ভিন্ন
হয়ে থাকে ।
ক্লিয়ারেন্স কাট
এটি আইয়ের ওপরে ব্লেডের একটি সমতল কাটা স্থান । এখান
থেকে ববিন হুক সুতা সংগ্রহ করে ।
ভালো সেলাইয়ের জন্য ক্লিয়ারেন্স কাট সাট সাহায্য করে
থাকে । হুক সুচের কাছাকাছি এলে ক্লিয়ারেন্স কাট অংশ
থেকে সুতা সংগ্রহ করে লুপ তৈরি করে । এটি অবশ্যে সুচ
ও হুকের ক্ষতির পরিমাণ হ্রাস করে ।
আই
এটি সুচের শেষ প্রান্তের ছিদ্র । এখানে সুতা অতিক্রম
করে । সুচের সাইজ ও ধরন দিয়ে এই আইয়ের সাইজ
ও আকৃতি নির্ধারিত হয় ।
হাতের কাজ অনুযায়ী নিডল নির্বাচন করা
সেলাই মেশিন প্রস্ততকারকদের সবসময় উদ্দেশ্য হলো যে,
তাদের মেশিন যেন উপযুক্ত সেলাইয়ের ফোঁড়
তৈরি করে । এক্ষেত্রে সুচের গাঠনিক বৈশিষ্ট্য এমন হতে
হবে যেন এটি সুতা দ্বারা কাপড় সেলাইয়ের ক্ষেত্রে,
ত্রুটিপূর্ণ সেলাই এর পরিমাণ হ্রাস করে ।
চামড়ার ওজনের ভিত্তিতে সাধারণ নিডল বা সুচ এর সাইজ নির্বাচন
নিয়মিত সেলাইয়ে নিডল নির্বানের ক্ষেত্রে প্রথমেই সাইজ
বিবেচনা করতে হয় । ইউরোপীয়ান সাইজ সিস্টেমে
নিডলগুলো ৬০ থেকে ১২০ এর মধ্যে থাকে । এক্ষেত্রে আই-এর
ঠিক উপরে নিডল শ্যাফট এর পরিমাপ দ্বারা
সাইজ প্রকাশ করা হয়ে থাকে । আমেরিকাতে নিডলকে সাইজিং
করা হয় ৮ থেকে ১৯ পর্যন্ত নম্বর দিয়ে । এটি
প্রত্যেক সুচের ইউরোপীয়ান নম্বরের পাশে লিখে প্রকাশ
করা হয় । গেমন ৬০/৮ বা ৭০/১২ । সাইজ বা নম্বর
যত বেশি হবে ঐ সুচটি তত বেশি মোটা হবে ।
কাপড়ের ওজনের ভিত্তিতে নিডল সাইজ নির্বাচন
রেশমী বা মসরিনের
ন্যায় পাতলা কাপড়ের ক্ষেত্রে ৬০/৮নিডল নির্বাচন করতে হয় । মধ্যম ওজনের জার্সি,
লাইক্রা, লিলেন বাকাফলেদার
এর জন্য ৭০/১০ বা ৮০/১২ সাইজের নিডল নির্বাচন করুন । মোটা কাপড়
যেমন- জিন্স, ভিনাইল,
গালিচা বা ক্যানবাস এর জন্য ৯০/১৪ এবং ১০০/১৬ সাইজের সুচ উপযুক্ত । আর
অত্যাধিক মোটা কাপড়ের
ক্ষেত্রে ১১০/১৮ বা ১২০/১৯ সাইজের সুচ উপযুক্ত । সাইজ নির্বাচনের পর ফ্যাব্রিক
অনুযায়ী নিডল পয়েন্ট
নির্বাচন করুন । নিডল পয়েন্টের ওপর ভিত্তি করে নিডল এর প্রকৃতি ও নাম
ঠিক করা হয়ে থাকে
।
নিডল-এর চোখ বা ছিদ্রের
মাধ্যমে সহজেই সুতা প্রবেশ করা উচিত
নিডল এর আই দিয়ে সুতা
যেন সহজেই অতিক্রম করতে পারে । সুষম ও নিয়মিত সেলাইয়ের জন্য নিডল
আই এর ভেতর দিয়ে সুতাকে
সহজেই অতিক্রম করা একটি অত্যাবশ্যকীয় বৈশিষ্ট্য । সুতরাং সুচ ও সুতার
মধ্যে সঠিক সমঞ্জস্যতা
না থাকলে সেলাই মেশিনে সুতা লাগাতে সমস্যা দেখা দেবে । নিডল এর সামনের
খাঁজে সুতা যেন ভালোভাবে
বসতে পারে ।
সবশেষে বলা যায় যে,
সকল সেলাইকারীদের উদ্দেশ্য হলো পেশাগত বৈশিষ্ট্যের সেলাই করা । সেলাইয়ের
সৌন্দর্য ও মূল কার্যকারিতা
নিডল নির্বাচন দ্বারা বেশি মাত্রায় প্রভাবিত হয় । তাই সুচ সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান
প্রয়োজন হয়ে থাকে
। প্রতিটি সতিটি সঠিক নির্বাচনের ক্ষেত্রে নতুন সুচ মেশিনে সংযুক্ত করতে হয় । এখানে
৮ থেকে
১২ ঘন্টা সময়ের প্রয়োজন
।
ডায়াগ্রাম বা ফটো
সম্পূর্ণ ববিনকে বিয়ে ববিন
কেস এ ঢুকান । নিশ্চিত করুন যে, ববিন থেকে ঘড়ির কাঁটার দিকে যেন
সুতা বের হয়ে না আসে । ববিন
কেস থেকে সুতা টানুন এবং টেনশন স্প্রিং এ দিন ।
যেভাবে সেলাইয়ের ফোঁড়
তৈরি হয়
·
চামড়ায় সুচ প্রবেশের সাথে সাথে সেলাইয়ের
ফোঁড় তৈরি শুরু হয়ে যায় । এটি সর্বনিম্ন পয়েন্ট
পর্যন্ত নামে ।
·
ববিন হুক নিডল স্কার্ফ এর মধ্যে তখন পিছলে
গিয়ে উপরের সুতাকে ধরে ফেলে । আর সুতাসহ
ববিনের চারিদিকে ঘুরিয়ে আনে ।
·
এ অবস্থায় সুতা চামড়ার ওপরে উঠে সেলাইয়ের
ফোঁড় তৈরি করে ।
সুতার ব্যাষ্ক বা থ্রেড বক্স
থ্রেড কোন
আদর্শ সেলাই মেশিনে পাতলা চামড়া সেলাই করা থাকে । তবে শক্ত ও মোটা চামড়া
সেলাই করা যায়
না । তবে মোটা চামড়ার জ্যাকেট, ওয়ালেট বা স্যাডেল তৈরির ক্ষেত্রে টেকসেই
সেলাই মেশিন ও মোটা সুচ
ব্যবহার করতে হয় । সেজন্য চামড়া সেলাই মেশিনে সেলাই আরম্ভ করার পূর্বে শক্ত
ও মোটা সুতা সংযুক্ত
করুন । সেলাইয়ের ক্ষেত্রে কিছু ধারাবাহিক ধাপে মিল থাকলেও প্রতিটি চামড়া
মেশিনে সুতা লাগানোর
পদ্ধতি ভিন্ন হয়ে থাকে ।
চামড়া সেলাই মেশিনের উপরে স্থাপিত থ্রেড স্ট্যান্ডে সুতার স্পুল ঢুকান ।
থ্রেড স্ট্যান্ডে স্পুলকে ভালোভাবে
স্থাপন করতে প্রতিটি স্পুলের শেষ প্রান্তে সংযুক্ত লেবেলকে অপসারণ করতে
হতে পারে । থ্রেড স্ট্যান্ডের
সাথে ছোট নির্দেশনা সম্বলিত ছবি অনুসরণ করুন ।এক্ষেত্রে আপনি বুঝতে পারবেন
যে, স্পুল থেকে সুতা
ঘড়ির কাঁটার ঘূর্ণনের দিকে বা বিপরীত দিকে ঘুরে বের হবে ।
স্পুল থেকে সুতার শেষ প্রান্ত টানুন । চামড়া সেলাই মেশিনের সংশ্লিষ্ট প্রতিটি
অংশের মাধ্যমে সুতা সংযুক্ত
করুন । এক্ষেত্রে মেশিনের ডায়াগ্রাম বা কোম্পানি প্রদত্ত নির্দেশিকা মেশিনের
প্রতিটি অংশের ধারাবাহিক সুতা
সংযোগ করতে আপনাকে সাহাগ্য করবে ।
ধাতব থ্রেড গাইডে সুতা গাঁথুন । তারপর মেশিনের নিচের প্রান্তের দিকে নিন
। সুতাকে নিডল ফুটের মধ্য
দিয়ে নিচের দিকে অতিক্রম করান ।
চামড়া সেলাই মেশিনে সুচের দিকে সুতাকে টানুন । সুতার প্রান্তকে সুচের আইয়ের
ভেতর দিয়ে প্রবেশ
করান । এক্ষেত্রে সুতা ঢুকাতে সমস্যা হলে ঐ সুতার প্রান্ত কাঁচি দিয়ে সুষমভবে
কেটে নিন । এরপরও সুচ
এর মধ্যে সুতা ঢুকাতে সমস্যা হলে থ্রেডার ব্যবহার করুন ।
সুচের ভেতর দিয়ে সুতার শেষ প্রান্তকে টানুন । নিডল থেকে ৬ থেকে ৮ ইঞ্চি পরিমাণ সুতা বেশি রাখুন ।
জাব টাস্ক-সেলই এর জন্য চামড়ার টুকরা
নির্বাচন ।
সাধারণত তিন ধরনের চামড়া বিক্রি হয়
ফুল-গ্রেইন লেদার
এটি সর্বোৎকৃষ্ট কাঁচামাল থেকে প্রস্তুত
করা হয় । এটি পরিষ্কার প্রাকৃতিক চামড়া । বালু দিয়ে এর পরিপূর্ণতা
দূর করা হয় না । শুধুমাত্র লোম দূর করা
হয় ।যে কারণে এতে রয়েচে উৎকৃষ্ট তন্তুর শক্তি । ফলে এর স্থায়িত্ব
বেশি হয় ।এর প্রাকৃতিক গ্রেইন আছে বাতাস
নেয়ার ক্ষমতা । যে কারণে এটি পোশাক হিসেবে আরামদায়ক
হয় । প্রাকৃতি ফুল গ্রেইন অন্য যেকোনো
চামড়ার চেয়ে ভালো । এটি নষ্ট হয় না, বরং একটি প্রাকৃতিক
প্যাটিনা তৈরি করে এবং যতই সময় বাড়ে এটি
ততোই বেশি সুন্দর হয় । ফুল গ্রেইন চামড়া থেকে সর্বোৎকৃষ্ট
ফার্নিচার এবং পাদুকা তৈরি হয় । এটি দুই
ধরনের পিনিশ হিসেবে চিহ্নিত হয় । যেমন- অ্যানিলাইন এবং
সেমি-অ্যানিলাইন ।
সংশোধিত গ্রেইন
লেদার
এটি টপ -গ্রেইন লেদার বলে পরিচিত । এর
একটিকে ঝাপসা এবং অন্যদিকে মসৃণ । মসৃণ দিকে চুল এবং
প্রাকৃতিক গ্রেইন থাকে । নিকৃষ্ট কাঁচামার
দিয়ে তৈরি চামড়ার প্রাকৃতিক গ্রেইন বালুর সাহায্যে উঠিয়ে ফেলা
হয় । এরপর কৃত্রিম গ্রেচুর প্রয়োগ করা
হয । স্যানডিং এবং স্ট্যাম্পং অপারেশন কভাবে
দেয়ার জন্যে টপ –
গ্রেইন চামড়ায় প্রচুর রং দেয়া হয় । এই
চামড়া দুই ধরনের ফিনিশ হিসেবে চিহ্নিত হয় । সেমি-অ্যানিলাইন
এবং পিগমেন্টেড ।
সুয়েড
এটি সেই চামড়া যার গ্রেইন সম্পূর্ণরূপে
সরানো হয়েছে বা চামড়ার ভেতরে চির ধরেছে । স্প্লিটিং
অপারেশনকালে, গ্রেইন সম্পুর্ণরূপে করা
হয় । ড্রপ স্প্লিট আরও ভেঙ্গে মধ্যম- স্প্লিট অথবা
মাংস স্প্লিট করা যায় । খুব পুরু পশুচর্মে
মধ্যম আকরের স্প্লিটকে আলাদা করে মাল্টিপল স্তরে পরিণত করা
যায় । যতক্ষণ পর্যন্ত স্প্লিট করার সুযোগ
থাকে । সবচেয়ে শক্তিশালী সোয়েড সাধারণত গ্রেইন স্প্লিট থেকে
করা হয় । এক্ষেত্রে গ্রেইন সম্পুর্ণরূপে
অপসারণ করা হয় । ফ্লেশ স্প্লিট থেকেও করা যায় । তবে এক্ষেত্রে
এর সঠিক পুরুত্ব শেভ করে আনতে হয় । সুয়েড
উভয় দিকেই ঝাপসা থাকে । সুয়েড এর স্থায়িত্ব টপ গ্রেইন
এর চেয়ে কম । সুয়েড সস্তা । কারণ চামড়ার
পুরুত্ব থেকে সুয়েডের অনেক টুকরা ভেঙ্গে বের করা
যায় । অথচ মাত্র এক টুকরা টপ গ্রেইন তৈরি
করা যায় । যাহোক, উৎপাদনকারীরা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন
করে সুয়েড তৈরি করে, যা দেখতে ফুল গ্রেইনের
মত । উদাহরণস্বরূপ, সুয়েডের এক পাশে আঠা মিশোনো
হয়, তাকে রোলারের সাহায্যে চাপ দেয়া হয় । তখন একে দেখতে ফুল-গ্রেইন মনে হয় । এই দ্রব্যের অনেক
উল্টো সুয়েড একটি গ্রেইনেড চামড়া যা চামড়ার
আটিকেলের মধ্যে ডিজাইন করা হয়েছে। দৃশমান সারফেস থেকে অনেক গ্রেইড ফেসিং করা হয়। এটি
সুয়েডের প্রকৃত ফর্ম নয়।
চামড়া নির্বাচন
কাচাঁমাল
উদ্দেশ্যের সাথে যেটা ফিট করে সেই চামড়া
নির্বাচন করা উচিত । উদাহরণস্বরপ, মহিলাদের কম ওজনের পোশাক তৈরি করার জন্য গরুর চামড়া
যথোপযুক্ত নয়। যদি শক্ত এবং হাল্কা ওজনের চামড়ার দরকার পড়ে, সেক্ষেত্রে প্রাপ্ত বয়স্ক
পশুর চামড়া দুর্বল হবে, তখন এটি ০.৭ এমএম পদার্থে কাটা হবে। ঋতুর পরিবর্তন এর সাথে
সাথে পশুর চামড়ার গুনগতমান এবং আকার পরিবর্তন হয়। আর ভীষণভাবে কর্তন মূল্য এবং আকার
প্রভাবান্বিত করে। এমন কোনো বাধা ধরা নিয়ম নেই, কাচাঁমালের মৌলিক বৈশিষ্ট্যসমূহ সর্ম্পকে
ধারণা করার জন্য চামড়া নির্বাচনে একটি ভালো বিষয় হতে পারে।
চামড়া টাইপ
বিভিন্ন রকমের ফিনিশ চামড়া পাওয়া যায়।
কিন্তু মনে রাখতে হবে শেষের ব্যবহারই যেন মনে সবার আগে উদিত হয়। অর্থাৎ শেষ ব্যবহারক
সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।
অর্ধ-আ্যানিলিন চামড়া আ্যানিলিন নিউবাক
বা সুয়েডের চেয়েও উত্তম। রং করা চামড়ার রয়েছে কম প্রাকৃতিক রুপ। আ্যনিলেন এবং তৈলাক্ত
নিউবাক- এর সহজেই ময়লাযুক্ত হওয়ার প্রবণতা রয়েছে। তা পরিষ্কার করা অধিকতর কষ্টকর। রং
পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে মোমযুক্ত, চর্বিযুক্ত এবং নিউবাক চামড়ার সমস্যার রয়েছে।
চামড়ার গুন বা মান
পুরানো প্রবাদে আছে যেমন মূল্য তেমন প্রাপ্তি
। লাভ কতটা বেশি হলো সেটার গুরুত্ব না দিয়ে বরং এটি অধিকতর দাম দেয়া উচিত । যদি গার্মেন্টেসের
ওপর দাম কমানো হয়, তাহলে চামড়ার ব্যবহার কম হবে। এটি হতে পারে নমুনা হতে বিভিন্ন গুণগত
মানসম্পন্ন । অন্যান্য ব্যবহার হবে কাঁচামাল।
নমুনাকরণ
এটি নিশ্চিত করুন যে, প্রাথমিক অবস্হাতেই চামড়ার মান সঠিক হয়েছে । নির্দিষ্ট করুন ফিনিশড গার্মেন্টস ওপর কোনটি গ্রহণযোগ্য নয়। আপনি যদি উন্নত মানের নাপ্পার জন্য মূল্য পরিশোধ করেন, তাহলে যা পেতে চান তাই পাবেন। ভালো-মান ও আকারে চামড়ার নমুনা এবং রেফারেন্স হিসেবে ফিংগার প্রিন্ট পরীক্ষা করুন।
মান
চামড়া ক্রয় অথবা নির্দিষ্ট
ক্ষেত্রে আপনাকে সচেতন হতে হবে যেন, চামড়াকে গ্রেড করা যায় , অথবা মিশ্রিত নির্বাচন
হিসেবে ক্রয় করা যায় । যদি চামড়া গ্রেড করা হয় , তাহলে আপনি মান নির্ধারণ করতে পারবেন
। একমত হতে পারবেন যে , যেকোনো গ্রেড প্রতিটি গার্মেন্টস প্যানেলের জন্য ব্যবহৃত হয়
।
পরিবর্তন
চামড়া একটি প্রাকৃতিক দ্রব্য
এবং চামড়ার টাইপ নির্বাচনের ওপর নির্ভর করে এর কিছুটা পরিবর্তন মেনে নিতি হয় । উৎপাদনের
সময় দক্ষ প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে এই পরিবর্তন কমানো বা নিয়ন্ত্রণ করা যায় ।
নিতে হয় । উৎপাদনের সচেতন হতে হবে যে ,ঋতুগত তারতম্যের কারণ মান এবং আকার পরিবতির্ত
হতে পারে । আপনি কতটা পরিবর্তিত হতে পারে । আপনি কতটা পরিবর্তন গ্রহণ করবেন তা সুস্পষ্টভাবে
নির্ধারণ করুন স্টোরে প্রেরণের পূর্বে নমুনার সাথে মিলিয়ে প্রতিটি ডেলিবারী পরীক্ষা
করুন । কতটা পরিবর্তন গ্রহণের জন্য প্রস্তুত স্পষ্টভাবে তা নির্ধারণ করুন ।
উন্নতমানের
চামড়ার জন্য
১. গ্রেইন ম্যাচিং এর পর
সম্পূর্ণ জুতাটি পরীক্ষা করুন । করুন, দেয়া হয়েচে কি না ।
২. প্রয়োজনীয় সংখ্যক জোড়া
না কাঁটা পর্যন্ত ক্লিকারকে কাঁটা কাজ চালিয়ে যেতে হবে । সাধারণত প্রতিটা ট্রেতে পাঁচ
জোড়া জুতা থাকবে । সেগুলো সঠিকভাবে চেক করুন ।
৩. চেক করে দেখুন, ইলাষ্টিক
ব্যান্ডসমূহ উপাদানের প্রতিটি গ্রুপের ওপর রাখা হয়েছে ।
৪. তারপর নিশ্চিত হোন যেন,
প্রতি পাঁচ জোড়া একত্রে নিরাপদভাবে বান্ডিল হয়েছে ।
সেলাই অনুশীলনের জন্য লেদারের নুমুনা চিহ্নিত ও
নির্বাচন করুন ।