ওয়ার্ক ইন দ্যা লেদার, ফুটওয়্যার এন্ড গুডস ইন্ডাস্ট্রি
৪ সপ্তাহ
মডিউলের শিরোনামঃ ওয়ার্ক ইন দা লেদার, ফুটওয়ার এন্ড লেদার গুডস ইন্ডাস্ট্রি
মডিউলের বর্ণনা
এই মডিউলের মূল বিষয়বস্তু
হলো জ্ঞান, দক্ষতা এবং দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও উন্নত করা । বিশেষভাবে
প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যের সাথে সাথে ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যগুলো একীভূত করা । কাজের অগ্রগতি
সেট করার পাশাপাশি চামড়া, জুতা এবং চামড়াজাত পণ্যের কারখানার পেশাগত মান বৃদ্ধি ও উন্নতি
বজায় রাখা । এছাড়াও এই মডিউলের মধ্যে কানখানার কাজের জডরবেশ, কারখানায় কর্মরত বিভিন্ন
ব্যক্তিবর্গের মধ্যে পারস্পরিক সর্ম্পর্ক, সহযোগিতা এবং কাজের সময়সীমা সম্পর্কে আলোচনা
করা হয়েছে ।
নূন্যতম সময়ঃ ৪০ ঘন্টা
শিখনফল
এই মডিউলটি শেষ করার
পর একজন প্রশিক্ষণাথী অবশ্যই-
১। কর্মক্ষেত্রে
নেরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি সংক্রান্ত বিষয়সমূহ চিহ্নিত করতে পারবেন ।
২। চামড়া, জুতা এবং চামড়াজাত পণ্যের কারখানায় ব্যবহৃত
বিভিন্ন প্রকারের কাঁচামাল নির্ধারণ করতে পারবেন ।
৩। কারখানায় দলীয়ভাবে কাজ বা দ্বন্দের বিষয়সমূহ চিহ্নিত
করতে পারবেন ।
৪। চামড়া কারখানার কাজের বিভিন্ন দায়িত্ব ও পজিশর
চিহ্নিত করতে পারবেন ।
অ্যাসেসমেন্ট ক্রাইটেরিয়া
১। বিপদে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কাজের শরুতে
বা কাজের সময়, পূর্বে এবং তাৎক্ষণিকভাবে কাজের স্থান নিয়মিত করতে পারবেন ।
২। বিপজ্জনক ও অপ্রত্যাশিত কার্যকলাপ চিহ্নিত করতে
পারবেন ।
৩। কর্মক্ষেত্রের নীতিমালা এবং পেশাগত নিরাপত্তা
ও স্বাস্থ ঝুঁকির মানদন্ড ( ওএসএইচ) অনুযায়ী নিজের দায়িত্বের মধ্যে থেকে বিপজ্জনক ও
অপ্রত্যাশিত কার্যাবলী সনাক্ত করতে পারবেন
।
৪। কোম্পানির চাহিদা অনুযায়ী ঝুঁকিপূর্ণ যন্ত্রপাতি
চিহ্নিত করে রিপোর্ট করতে পারবেন ।
৫। কর্মক্ষেত্রের প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক সময়ে সঠিক
ব্যক্তিকে সানক্তকরণ এবং দ্রুত জরুরি অবস্থা চিহ্নিত করে রিপোর্ট করতে পারবেন ।
অকুপেশন
কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা
ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি সংক্রান্ত বিষয়সমূহ
শিখন
উদ্দেশ্য
এই ইনফরমেশন শিটটি
পড়ার পর আপনি কর্মক্ষেত্রের প্রত্যক কর্মীর নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্পর্কিত
দায়িত্ব সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে পারবেন । কর্মক্ষেত্রে ঝুঁকি এবং সক্ষমতা চিহ্নিতকরণ
এবং পাশাপাশি জরুরি অবস্থায় কর্মক্ষেত্রের নিয়মাবলী অনুসরণ করতে পারবেন ।
ভূমিকা
আপনি কি চামড়া কারখানায়
নতুন চাকুরি অথবা অন্যত্র যোগাদানের কথা চিন্তা করছেন? মূলত একটি নতুন চাকরি খোঁজা
বা শুরু করা ভয়ের কারণ হতে পারে । বিশেষ করে যদি এটি আপনার প্রথম চাকুরি হয় । যখন আপনি
একটি নতুন চাকরি খুঁজবেন, মনে রাখতে হবে যে
শুধুমাত্র কাজ করা ও অর্থ উপার্জনের চেয়ে একটি চাকুরি পাওয়া অনেক বড় ব্যাপার । প্রত্যেকটা
কর্মক্ষেত্রেই ঝুঁকি আছে , যদিও অনেকেই মনে করে যে তারা ঝুঁকির মধ্যে থাকে । আসলে প্রতিনিয়তই
নতুন বা তরুণ কর্মীরা আহত হচ্ছে ।
স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা
স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ পরিবেশ জন্য কে দায়ী ?
আইন অনুযায়ী কর্মক্ষেত্রে
আপনার দায়িত্ব হলো পাশের ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিকে রক্ষা করা । এ দায়িত্ব, আপনার, আপনার
সহকর্মী ও আপনার সুপারভাইজারসহ প্রত্যেকরই । এই সকল দায়িত্ব সম্পর্কে জানা থাকলে আপনি
নিরাপদে কাজ করতে পারবেন । আর একটি নিরাপদ কর্মক্ষেত্রে তৈরি করার ক্ষেত্রে অবদান রাখতে
পারবেন ।
শ্রমিক হিসেবে দায়িত্ব
·
চাকুরির সাথে সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্পর্কে জানুন
ও অনুসরন করুন;
·
আপনি কোনো কিছু নিরাপদের রাখা সম্পর্কে না জানলে, কাজ শুরু করার পূর্বে বিষয়টি
সম্পর্কে জেনে নিন । প্রশিক্ষণের সময় জিজ্ঞাসা করুন;
·
নিরাপদে কাজ করুন এবং পাশপাশি সহকর্মীকেও উৎসাহিত করুন;
·
তাৎক্ষণিকভাবে কোন ধরনের অনিরাপদ অবস্থাগুলো ঠিক করুন ( যেমন- বৈদ্যুতিক তারের
সংযোগ সমস্যা সংক্রান্ত) অথবা আপনার সুপারভাইজারকে অবহিত করুন;
· আহত হওযা মাত্রই প্রাথমিকভাবে চিাকৎসার জন্য কাছের কাউকে অথবা সুপাভাইজারকে রিপোর্ট করুন।
কর্মীদের দায়িত্ব-কর্তব্য
·
সম্ভাব্য বিপদজনক পরিস্থিতিতে শ্রমিক
বা সুপারভাইজার রিপোর্ট করা মাত্রই তাৎক্ষণিকভাবে পদক্ষে নেয়া । বিষয়টি অবিলম্বে তদন্ত
করা;
·
পর্যাপ্ত প্রাথমিক চিকিৎসার সুবিধা
ও সেবা প্রদানে ব্যবস্থা করা;
·
প্রয়োজন অনুযায়ী নিজস্ব ব্যক্তিগত
নিরাপত্তাজনিত সরমঞ্জাম (পিপিই) সরবরাহ করা ।
সুপারভাইজার এর দায়িত্ব-কর্তব্য
·
নিরাপদে কাজ করার বিধিমালা সম্পর্কে
নির্দেশনা দেয়া;
·
সব ধরনের কাজে নিজকে প্রশিক্ষিত করা,
এবং নিরাপদে কাজ করার প্রতি লক্ষ্য রাখা;
·
এটি নিশ্চিত করা যে, শুধুমাত্র পর্যাপ্ত
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীগণ ঝুঁকিপূর্ণ উপকরণ ও রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করবেন;
·
সরঞ্জামাদি ও উপকরণের যর্থাথ পরিচালনা
ও সংরক্ষণ নিশ্চিত করা;
·
প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি
বিষয়ক ব্যবস্থা জোরদার করা;
·
নিরাপত্তাহীন আইন ও অবস্থা সংশোধন
করা ।
·
শ্রমিকদের সমস্যাসমূহ চিহ্নিত করা
যা তাদের কর্মক্ষত্রে নিরাপত্তা দিতে পারে;
·
প্রয়োজন অনুযায়ী কর্মীদের সাক্ষাৎকারের
মাধ্যমে ফরোআপ করা;
·
নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্পর্কিত
নীতি প্রণয়ন করা এবং ঝুঁকিপূর্ণ কর্মক্ষেত্র পরিদর্শন করা;
·
যদি আপনাকে অন্য শ্রমিকদের সুটারভাইজার
করতে বলা হয়, সেক্ষত্রে আপনাকে মনে রাখতে হবে যে , আপনি আপনার কাজে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত
। আর আপনার দায়িত্বগুলো সম্পর্কে জানেন বা বুঝেন ।
·
যদি আপনাকে অন্য শ্রমিকদের সুটারভাইজার
করতে বলা হয়, সেক্ষত্রে আপনাকে মনে রাখতে হবে যে , আপনি আপনার কাজে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত
। আর আপনার দায়িত্বগুলো সম্পর্কে জানেন বা বুঝেন ।
কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য
ও নিরাপত্তার অধিকাসেমূহ?
শুধুমাত্রই নিরাপদে কাজ করিই আপরনার কর্তব্য নয়, শ্রমিক হিসেবে আপনার নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্পর্কিত অনেক মৌলিক অধিকার রয়েছে ।
১..জানার অধিকার ও প্রশিক্ষণ- সামগ্রিকভাবে নিরাপদ কাজের অনুশীলন করা এবং ঝুঁকিপূর্ণ কাজ সনাক্ত করা;
২. রক্ষণাবেক্ষণের অধিকার- নূন্যতম ঝুঁকির মধ্যে কাজ করতে পারা;
· একটি নিরাপত্তা ও স্বস্থ্য ঝুঁকি কমিটি বা শ্রমিক প্রতিনিধির মাধ্যমে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি সংক্রান্ত বিষয়েন অংশগ্রহণের অধিকার;
৩.কাজ প্রত্যাখ্যান করার অধিকার- যদি আপনি বিশ্বাস করেন যে কাজের পদ্ধতি, সরঞ্জামাদি অথবা পরিবেশ যেকোনো ব্যক্তির জন্য হুমকিস্বরুপ;
কাজ শুরুর পূর্বে অবশ্যই নিয়োগদাতা আপনাকে নিরাপদে
কাজ করার জন্য নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন । যতক্ষণ
পর্যন্ত আপনি কাজ করার জন্য জ্ঞানসম্পন্ন বা দক্ষ না হবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আপনাকে সরাসরি
কোনো দক্ষ ব্যক্তির অধীনে কাজ করতে হবে । যখন আপনি নতুন কোনো কাজ শুরু করেন, তখন আপনার
কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্পর্কিত মৌলিক তথ্যাবলী সম্পর্কে জানা
উচিত ।
যেমন-
বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তামূলক
প্রশিক্ষণ অথবা শিক্ষা আপনার জন্য প্রয়োজন হবে ?
· আপনার সুপারভাইজারের নাম ও যোগাযোগের তথ্য;
কাজ শুরুর পূর্বে অবশ্যই নিয়োগদাতা আপনাকে নিরাপদে
কাজ করার জন্য নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন । যতক্ষণ
পর্যন্ত আপনি কাজ করার জন্য জ্ঞানসম্পন্ন বা দক্ষ না হবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আপনাকে সরাসরি
কোনো দক্ষ ব্যক্তির অধীনে কাজ করতে হবে । যখন আপনি নতুন কোনো কাজ শুরু করেন, তখন আপনার
কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্পর্কিত মৌলিক তথ্যাবলী সম্পর্কে জানা
উচিত ।
যেমন-
বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তামূলক
প্রশিক্ষণ অথবা শিক্ষা আপনার জন্য প্রয়োজন হবে ?
·
আপনার সুপারভাইজারের নাম ও যোগাযোগের
তথ্য;
·
আপনার দায়িত্ব ও কর্তব্য;
·
কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য
নীতি;
· নিরাপদে কাজ করার নির্দেশনা ও বাহ্যিক প্রকাশ;
·
যদি আপনি
একা বা বিচ্ছিন্নভাবে কাজ করেন তখন কী করতে হবে;
·
কিভাবে
কর্মক্ষেত্রে নিজকে সহিংসতা থেকে রক্ষা করতে হবে;
·
ঝুঁকিপূর্ণ
দ্রব্য বা বস্তুর মাঝে আপনি কীভাবে নিরাপদে কাজ করবেন;
·
কী কী ধরনের
পিপিই প্রয়োজন, কীভাবে ও কখন এটা পরিধান করবেন;
·
কীভাবে
প্রাথমিক চিকিৎসা পাবেন;
·
আহত বা
অন্য ঘটনায় কীভাবে রিপোর্ট করবেন;
·
কীভাবে
সম্ভাব্য ঝুঁকি এবং অনিরাপদ কাজের অবস্থা রিপোর্ট করবেন;
·
তাৎক্ষনিক
ভাবে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হতে বের হওয়ার জন্য জরুরিভাবে কী করতে হবে;
·
কে স্বাস্থ্য
ও নিরাপত্তার জন্য দায়ী ( তার সাথে যোগাযোগ করা ) এবং কীভাবে যেগাযোগ করতে হবে;
· যদি আপনি প্রশিক্ষণ না নিয়ে থাকেন, তবে আপনি আপনার সুপারভাইজারকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করুন ।
নিরাপত্তা সর্ম্পকিত তথ্য কর্মীদের কাছে নিয়োগদাতা যেভাবে পৌঁছাবে
নিয়োগদাতা বিভিন্নভাবে কর্মীদের
কাছে নিরাপত্তার তথ্য পৌঁছাতে পারেন । যেমন-
· * প্রশিক্ষনের
মাধ্যমে;
· * সুপারভাইজারের
মাধ্যমে;
· * কর্মী সভার
মাধ্যমে;
· * ই-মেইলে;
· * স্বাস্থ্য
ও নিরাপত্তা নোটিশ বোর্ডের মাধ্যমে;
· * স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কমিটির মাধ্যমে (স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা প্রতিনিধি, যদি সম্ভব হয়);
ব্যক্তিগত নিরাপত্তা জনিত সরঞ্জাম (পিপিই) পরিধান করার প্রয়োজনীয়তা
পিপিই হচ্ছে নিরাপত্তার সরঞ্জাম
বা যন্ত্র যেটি সার্বিকভাবে কর্মক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আপানাকে আহত বা সংক্রমিত
হওয়া থেকে রক্ষা করবে । সব ধরনের কারখানায় কাজের সময় ঝুঁকি এড়াতে পিপিই খুবই দরকারি
একটি বিষয় ।
|
পিপিই এর ধরন |
ব্যবহার |
|
নিরাপত্তা
পোশাক পরিধান করা |
যখন সরঞ্জামাদি
সরানোর কাজ করা হয়, যেমন- ফর্কলিট এবং গাড়ি; |
|
কাজের
গ্লাভস এবং নিরাপত্তা জুতা |
আবর্জনা
সরানো বা স্টোবা স্টোরেজ এলাকায় কাজের সময়; |
|
ব্যবহারের
পর ফেলে দেয়া যায় এমন গ্লাভস |
মুদির
দোকানে খাবার বা বাধরুম পরিষ্কারের সময়; |
|
কাটা
ট্রতিরোধী গ্লাভস |
সরঞ্জামাদি
পরিষ্কার বা কোনো জিছু কাটার সময়’ |
|
চোখের
সুরক্ষা এবং গ্লাভস |
রাসায়নিক
পদার্থ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য; |
|
শ্রবণ
সুরক্ষা |
উচ্চমাত্রার
শব্দ ধেকে সুরক্ষিত থাকার ক্ষেত্রে । |
কোনো কিছু ভুল করে ফেললে য়া করা উচিত
নিরাপত্তা ও ম্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্পার্কত বিষয়ে করা সাথে সাথে কথা বলবেন
আপনা ম্যানেজার বা সুপারভাবজিারের সবসময নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়ে অবগত থাকা উচিত । এছাড়াও আপনি আপনা কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা ও স্বস্থ্য প্রতিনিধি অথবা যৌথ নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য কমিটির কাছে থেকে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন।
কাজ করাতে গিয়ে আহত হলে করতে হবে
আইন অনুযায়ী, কাজের সময় আহত হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনার
সুপারভাইজার অথবা প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে রিপোর্ট করুন ।
প্রাথমিক চিকিৎসার সুবিধাসমূহ
প্রত্যেক কর্মক্ষেত্র প্রাথমিক চিকিৎসার ওষুধপত্র সরবরহ করে
। ছোট পরিসরে, কম ঝুঁকিপূর্ন কজর্মক্ষেত্রগুলো
সবসময মেডিকেল মেবিধা হযন বহন করে না , যেটা থাকাটা খুবই জরুরি । বড় ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য
রুমেরপাশাপাশি একজন প্রতিনিধি থাকা দরকার । ওরিয়েন্টশনের সময় কর্মক্ষেত্রের প্রাথমিক
চিকিৎসা সম্পর্কিত বিষয়াবলী সম্পর্কে আপনার জেনে নেওয়া উচিত। যেমন-
·
আহত হলে
কখন এবং কীভাবে রিপোর্ট করবেন;
·
কোনো ঘটনা
তা কীভাবে রিপোর্ট করবেন;
·
আপনি কোথায়
প্রাথমিক চিকিৎসার প্রতিনিধি বা কক্ষ খুঁজবেন;
হাসপাতালে যাওয়ার জন্য আপনার ট্রান্সপোর্ট
প্রযোজন হলে নিয়োগ কর্তার তা দেয়া উচিত ।
নিরাপত্তা টিপস
আপনার নিয়োগদাতা অথবা সুপারভাইজা েআপনাকে কর্মক্ষেত্রের
সম্ভাব্য বিপজ্জনক অবস্থা সম্পর্কে বলবেন-এটাই আইন।
মাস্কুলসেস্কেলিটল (Musculoskeletal) আঘাত
কাজ করার সময় মাস্কুলসেস্কেলিটল জনিত আঘাত খুবই সাধারণ একটা ব্যাপার
। একে মচকানো বা টান লাগা বলে । এটা মূলত
অসতর্কভাবে নড়াটড়া করার কারণে হতে পারে ।
নিরাপত্তা টিপস
·
দীর্ঘসময়
ধরে একই নড়াচড়া পরিহরড করা – কাজের ফাঁকে
ঘোরা, মাঝে মাঝে বিরতি নেওয়া এবং অবস্থানপরিবর্তন করা;
·
বেপরোয়াভাবে
অবস্থান না করা – নিযন্ত্রণযোগ্য
চেযার বা টুল ব্যবহার করা, উঁচু স্থানে কাজ করা এবং কজে করার সময সরঞ্জামাদি বা উপকরণসমূহ
ঠিকভাবে রাখা;
·
কাজের সমকয়
নিচু জতিা পরিধান করা;
·
কাজের সময
শরীর না মোচড়ানো – পায়ের ইপর নির্ভর করে অবস্থন
পরিবর্তন করা;
·
কাজের সময়
পুরানো বা জীর্ণ সরঞ্জামাদি সরিয়ে ফেলতে অনুরোধ করা;
সম্পন্ন হয়েছে
লিফটিং এবং হ্যান্ডলিং উপকরন
সাধারণত
ঘাড় এবং পিঠের আঘাত, হার্নিয়া, কেটে যাওয়া, হাড় ভাঙ্গার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে-
ভারী বস্তু লিফটিং এবং হ্যান্ডলিং করা । এই ধরনের আঘাতগুলো পরবর্তী জীবনে বাধার অন্যতম
কারণ হতে পারে। উপরে উঠার সময় অবশ্যই রাখতে হবে যে, আপনার শক্তি অনুযায়ী আপনি কতটুকু
পরিমরণ ওজন বহন করতে পারবেন ।
নিরাপত্তা টিপস্
·
সম্ভব হলে
উপরে উঠার সময় ভারী ও বেপরোয়া জিনিসপত্র এড়ানোর চেষ্টা করা । এর পরিবর্তে বিভিন্ন ডান্ত্রিক
ডিভাইস যেমন- ট্রাক, উত্তোলন যন্ত্র ট্রলি ব্যবহার করা;
·
উপরে উঠার
সময কাঁধ মোচড়ানো বা বাঁকানো পরিহার করা;
·
অন্যের
কাছ থেকে সাহায্য নেয়া;
·
পনিকল্পনা
ও সহনীয় মাত্রায় অল্প ভারী জিনিস নিযে উপরে উঠা;
·
উপরে উটার
সময় ডতটা সম্ভব জিনিসপত্রগুলো শরীরের কাছে নিয়ে উঠা;
·
শরীর বাঁকা
না করে যতটা সম্ভব আপনার হাঁটু ও কাঁধের মধ্যে লোড রাখার চেষ্টা করা ;
·
শক্ত করে
ধরা । আঙুল ব্যবহার করে না হাত দিয়ে ধরা;
·
দীঘসময়
ধরে একই ধরনের ভারী কাজ পরিহার করা;
আকস্মিক পতন, হোঁচট খাওয়া ভূপতিত হওয়া
ছোট ছোট কারখানাগুলোতে আকস্মিকভাবে
পড়ে যাওয়া, হোঁচট খাওয়া, ভাপতিত হওয়া একটি সাধানণ চিত্র । উদাহরণস্বরুপ
·
বৃষ্টির
তিনে স্টোরে প্রবেশের সময় পিচ্ছিল বা ভেজা ফ্লোর ব্যবহার করা;
·
নির্দ্ধিধায়
আন্ধকার, অমসৃণ এবং ভেজা এলাকায় বিশৃঙ্খলভাবে চলাফেরা করা;
নিরাপত্তা টিপস
·
নন গ্লিপ
জুতা পরিধান করা;
·
চলাচল এবং
এলাকাগুলো থেকে বাক্সগুলো বৈদ্যুতিক তারের আলগা বাক্সগুলো, পরিষ্কার করা
·
নিজের সাধ্যের
বাইরের কেনো জিনিস বহন না করা । অন্য ব্যক্তির সাহায্য নেওয়া;
·
বড় ধরনের
জিনিস বহনের সময় চিন্তা করা;
·
ভারী জিনিস
সরানোর সময় হাঁটু ও বুকের মাঝে কাপড় পেরানো;
· উঁচু স্থানে উঠার সময চেয়ার ব্যবহারের চেয়ে ভাঁজ করা সিঁড়ি ব্যবহার করুন;
বিপজ্জনক
পণ্য
বিপজ্জনক
পণ্য যেমন- পরিষ্কারক বস্তু বা কেমিক্যাল নিয়ে কাজ করলে অবশ্যই আপরার নিয়োগদাতা আপনাকে
কর্মক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ উপকরণ বিষয়ক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবেন । এই পদ্ধতি আপনাকে
ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানতে সাহায়তা করবে । এই পদ্ধতি আপনাকে হ্যান্ডলিং, সংরক্ষণ
এবঙ বিপজ্জনক উপকরণ থেকে রেহাই পাওয়ার ক্ষেত্রে যথার্থ তথ্য পেতে সহায়তা করবে ।
যদি কাজ
করার সময় কীটনাশক ব্যবহার বা কীটনাশা দিয়ে কোনো কিছু পরিষ্কার করতে বলা হযে থাকে,সেক্ষেত্রে
আপনাকে অবশ্যই কীটনাশা ব্যবহার করার জন্য স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হতে হবে । যদি আপনি পুরাপুরিভাবে
ঝুকিপূর্ণ উপকরণ ব্যবহারের প্রশিক্ষণ পেয়ে থাকেন, তাহলে নিচের চারটি প্রশ্নের উত্তর
দিন-
·
আপনি কী
ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ দ্রব্য ব্যবহার করেন?
·
আপনি কীভাবে
আপনাকে রক্ষা করবেন?
·
জরুরি অবস্থায়
আপনার কী করা উচিত?
·
কোন জায়গা
থেকে এই সকল দ্রব্যাদি সম্পর্কে আপনি আওে বেশি তথ্য পাবেন?
নিরাপত্তা টিপস
·
কেমিক্যালের
সম্পর্কে পড়ুন;
·
নিয়োগদাতা
বা উৎপাদনকারীর পরামর্শ নিয়ে সংরক্ষিত সরঞ্জামাদি ব্যবহার করুন;
·
কাজ শেষে
যথাযথভাবে কেমিক্যাল সংরক্ষণ করুন;
·
নির্দেশনা
অনুযায়ী কেমিক্যাল ব্যবহার করুন ।
শারীরিক ঝুঁকি
খুচরা বিক্রয় কারখানায় সাধারণত
রক্ত বা কডি ফ্লুইডের সংস্পর্শে আসেনা । তবে কখনও আসতেও পারে । রক্ত এবং বডি ফ্লুইডের
সংস্পর্শে আসা হেপাটাইটিস, এইচআইভি এবং অন্যান্য সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে । যদি
কর্মক্ষেত্রে এজাতীয় কোনো ঝুঁকির সম্ভাবনা থাকে তবে নিয়োগকারী অবশ্যই কর্মীরা নিরাপদে
কীভাবে কাজ করবে, সেবিষয়ক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবেন । হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসের
ভ্যাকসিন পর্যাপ্ত পরিমাণে বিনামূল্যে সরবরাহ করতে
হবে ।
পরিষ্কার রাখা
বাথরুম পরিষ্কারের সময় আপনার
নানা রকমের বর্জ্য পদার্থ পরিষ্কার করতে হতে পারে । যেমন- রক্ত, মযলা আবর্জনা, বমি
ইত্যাদি অ এগুলোর জন্য নির্দেশগুলো হলো-
·
পানি প্রতিরোধক
গ্লাভস পরিধান করা;
·
জিনিসপত্র
পরিষাকারের সময তোয়ালে বা কাপড় জাতীয় কিছু ব্যবহার করা;
·
ব্যবহারের
পরে ময়লা তোয়ালে বা গ্লাভস পানি প্রতিরোধ করে এমন আবর্জনার মধ্যে ফেলা;
ছুরি, বক্স কাটার এবং ধারালো বস্তু
দক্ষ এবং অদক্ষ শ্রমিকদের কাঝে
ছুরি, বক্স কাটার এবং ধারালো বস্তু কাটা একটা সাধারন বিষয় । নিরাপদে কাজ করার অভ্যস
আপনার সময়কে অনেক বাঁচিয়ে দেয় ।
ছুরি এবং বক্স কাটার এর ব্যবহার
·
কাজের সময় সঠিক জিনিসপত্র
ব্যবহার করা, এবং এগুলো সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া;
·
কোনো কিছু কাটার
সময় শরীরের কাছ থেকে দূরে রাখা;
·
ধরোলো জিনিসপত্র
একটু আলাদা জায়গায় সংরক্ষণ করা;
·
কাটার সময় সমতল জায়গা
ব্যবহার করা;
·
কাটার ছুরি অন্য
কোনো কাজে ব্যবহার না করা;
·
ছুরি সবসময় হাতের
মদ্যে শক্ত করে ধরা;
·
কাজের সময় চামড়া
বা শক্ত জাতীয় গ্লাভস পরিধন করা ।
বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম
আপনি যদি কখনো কোনো হার্ডওয়্যারের
দোকান বা বাইসাইকেল এবং আসবাাপত্রের দোকানে কাজ করেন, তাহলে আপনাকে বিদ্যুতের ব্যবহার
সম্পর্কে জানতে হবে । এছাড়াও কম্পেক্টর, মাংস কাটা বা বিভিন্ন খবারজাত পণ্য প্রস্তুত
করার যন্ত্রপাতি ব্যবহারের সময় বিদ্যুতের ব্যবহার সম্পর্কে জানা অতি জরুরি । কজের সময়
সতর্কতা অবলম্বন না করে এই সকল যন্ত্রপাতি ব্যবহার অনেক ধরনেরে ক্ষতির কারণ হতে পারে
।
কাজ শুরুর পুর্বে
·
প্রশিক্ষণ না থাকলে
অথবা অনুমতি ছড়া কখনোই বৈদ্যুতিক উপকরণ বা এধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করবেন না । এ
ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহারের সময নিরাপদ কার্যনির্দেশিকা অনুসরন করুন ।
·
ব্যবহারের পূর্বে
যন্ত্রপাতি পরীক্ষা করে নিন । শুধুমাত্র ভালোভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে এমন যন্ত্রপাতি ব্যবহার
করুন । প্রতিদিন বৈদ্যুতিক সংযোগ ভালোভাবে পরীক্ষা করুন । দেখুন, কোনো তার ছেঁড়া বা
কাটা আছে কিনা, সংযোগ ছেঁড়া কিনা ( যেমন- প্লাগ এর সাথে তারের সংযোগ এবং তারের সাথে
যন্ত্রের সংযোগ ঠিক আছে কিনা), এবং ভূ-সংযোগ দুর্বল কিনা । সমস্ত ত্রুটিপূর্ণ যন্ত্রপাতি
সম্পর্কে আপনার সুপারভাইজারকে অবহিত করুন । এছাড়াও এ ধরনের যন্ত্রপাতিগুলোতে “ব্যবহার
অয্যাগ্য”কথাটি লিখে চিহ্নিত করে রাখুন ।
·
কানের সুরক্ষা উপকরণ
পরিধান করুন এবং চালু লম্বা হলে বেঁধে নিন ।
·
সকল নিরাপত্তা যন্ত্রপাতি
পরীক্ষা করে দেখুন সঠিক জায়গায় আছে কিনা এবং সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা । কোনো যন্ত্র
বৈদ্যুতিক সংযোগে প্রবেশ করানোর আগে বৈদ্যুতিক সুইচ বন্ধ আছে কিনা দেখে নিন । শুধুমাত্র
অপারেটরের যন্ত্রটি চালু করা উচিত ।
সরঞ্জামাদি বা
যন্ত্রপাতি ব্যবহারের সময়
·
চলমান বৈদ্যুতিক
যন্ত্র বা উপপকরণের কাছাকাছি অবস্থান করুন ।
·
আপনি যে মেশিনটি
ব্যবহার করছিলেন তা সম্পূর্ণ থেমে যাওয়ার আগে মেশিন থেকে দূরে সরে যাবেন না বৈদ্যুতিক
যন্ত্র বন্ধ করার পর এর পাখা সম্পূর্ণ থেমে যাওয়ার জন্য মাত্র কয়েক সেকেন্ড সময়ের প্রযোজন
হয় । কিন্তু এই অল্প সময়েও এর দ্বারা কেউ আহত হতি পাতে কারণ যন্ত্রের পাখা তখনও ঘুরছে
।
·
ঘূর্ণয়মান অংশ থেকে
হাত দূরে রাখুন।
·
যন্ত্রের কাটার অংশটি
যেন কোনোভাবে বেদ্যুতিক তরের সংস্পর্শে আসতে না পারে তা নিশ্চিত করুন ।
· সবসময় যন্ত্রের ওপর আপনার নিয়ন্ত্রণ শক্তভাবে বজায় রাখুন ।
· যেকোন ধরনের সেটিং পরিবর্তন করার পূর্বে বৈদ্যুতিক যন্ত্র বন্ধ করুন । যন্ত্রের সেটিংস পরিবর্তন করা বা সমম্বয় করার প্রয়োজন হলে সবসময় যন্ত্রের বৈদ্যুতিক সংযোক বিচ্ছিন করুন । কারণ এটি না করলে যন্ত্রটি হঠাৎ করে চারু হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
শব্দ দূষণ
কিছু কিছু এলাকায় এমন কিছু শক্তিশালী
যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয় যেগুলো শ্রবণশাক্ত হ্রাস করার জন্য দায়ী । ৮ ঘন্টা ধরে কাজ
করার সময় শব্দ প্রতিরোধক উপকরণ ব্যবহার করা প্রয়োজন । যদি শব্দের মাত্রা ৮৫ ডেসিমালের
বেশি হয় । শব্দের মাত্রা ৮২ ডেসিমালের বেশি হলে সকল শ্রমিকদের জানিয়ে দেয়া প্রয়োজন
।
নিরাপত্তা টিপস
·
উঁচু মাত্রার শব্দযুক্ত
এলাক অথবা অল্প বা বেশি শব্দের মধ্যে কাজ করতে যাবার সময় পরীক্ষিত শব্দ প্রতিরোধক সস্তু
পরিধান করা । কারণ যেকোনো সময় শব্দে েমাদ্রা বাড়তে বা কমতে পারে;
·
নিশ্চিত হয়ে নেয়া
যে, আপনা শব্দ প্রতিরেধা বস্তুটি পরিবেশ বান্ধব এবং আরামদায়ক;
·
উচ্চ মাত্রায় গান
না শোনা । কারন এটি শ্রবণ শক্তি কমানোর অন্যতম কারণ হতে পারে এবং অনেক সময় সতর্ক সংকেত
শোনার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করতে পারে ।
জরুরি অবস্থায় ব্যবস্থা
·
জরুরি ফোন নম্বরগুলা
কোথায় আছে?
·
অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র
কোথায় আছে? কীভাবে এবং কখন ব্যবহার করা উচিত?
·
ফায়ার এলার্ম ও ফায়ার
এক্সিট কোথায়?
·
বিল্ডিং থেকে অপসারণ
পরিকল্পনা কী?
·
ভূমিকম্পের সময় কী
করা উচিত?
·
জরুরি অবস্থায় বিশেষ
কী ধরনের যন্ত্র ব্যবহার করতে হয় এবং কীভাবে করতে হয়?
· কর্মক্ষেত্রে জরুরি অবস্থা সম্পর্কিত পরিকল্পনা বা নীতিমালা সম্পর্কে কর্তৃপক্ষক জিজ্ঞাসা করা?
ভূমিকম্প
ভূমিকম্পের সময় কী করা উচিত?
নিম্নোক্ত নিয়মাবলী অনুসরণ করুন-
·
টেবিল অথবা ডেস্কের
নিচে যান যতক্ষণ পর্যন্ত ঝাঁকুনি না থামে;
·
ঝাঁতুনি ধামার আগ
পর্যন্ত টেবিলের খুঁটি বা শক্ত জিনিস ধরে থাকুন;
· পড়ে খাওয়ার সম্ভবনা আছে এমন জিনিসপত্রের নিচ থেকে সরে যাওয়া;
·
কাঁচের
গ্লাস থেকে দূরে থাকা;
· যদি আপনি গাড়িতে থাকেন, তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নেমে পড়ুন । ব্রিজ, গাছ ও পাওয়ার স্টেশন থেকে দূরে থাকুন ।
আগুন
আগুন বিভিন্ন জিনিসের মাধ্যমে
ছাড়তে পারে । যেমন- গরম করার দ্রব্য, রান্না, জলন্ত সিগারেট, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি
বা অনিয়ন্ত্রিতভাবে রাসায়নিক দ্রব্যের সংরক্ষণ । আগুন প্রথমিক অবস্থায় জরুরি পদক্ষেপের
মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব । দূর্ভাগ্যবশত, অধিকাংশ মানুষই জানে না কীভবে অগ্নিনির্বাপক
যন্ত্র ব্যবহার করতে হয় । আগুন লাগার ক্ষেত্রে কী কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত সেটা
পরীক্ষা করা । এজন্য নিম্নোক্ত বিষয়াবলী মনে রাখা উচিত-
·
ভবনের পরিত্যক্ত
বিষয়াবলী সম্পর্কেত পরিকল্পনা পর্যালোচনা করা;
·
অগ্নিরির্বাপক
যন্ত্রের অবস্থান সম্পর্কে জানা;
·
অনিচ্ছাকৃতভবে
যদি আপনি আগুন ধরিয়ে দেন, তাহলে আওয়াজ করুন;
·
আপনি যদি
অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের ব্যবহার করার প্রশিক্ষণ পেয়ে ধাকেন, তবেই মাত্র ওই যন্ত্রটি
ব্যবহার করুন ।
প্রাথমিক চিকিৎসা
আহত হওয়া মাত্রই আহত ব্যক্তির
কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা সুবিধা পৌঁছানো খুবই জরিুরি । সবধরনের কাজের ক্ষেত্রে cv‡k GKwU K‡i cÖv_wgK
wPwKrmv e· ivLv DwPZ | AwaKvsk †QvU Lv‡Uv Kg©‡ÿθ‡jv‡Z cªv_wgK wPwKrmvi wRwbmcÎ
ivLv nq | ‡hgb e¨v‡Ûm KuvwP, Møvfm BZ¨vw` ivLv cÖ‡qvRb | Avi GB mKj wPwKrmvi
wRwbmcÎ Kg©‡ÿ‡Î †Kv_vq Ges Kxfv‡e cvIqv hv‡e, KZ…c‡ÿi DwPZ GB wel‡q Avcbv‡K Z_¨
cÖ`vb Kiv| Avcwb hw` cªwkÿY †c‡q _v‡Kb , Z‡e GB wel‡q Avcbvi hv Rvbv DwPZ -
·
AvNvZcªvß nevi ci †Kv‡bv G¨v¤^y‡jÝ bv _vK‡j Avcwb
Kxfv‡e mvnvh¨ cv‡eb;
·
‡K NUbvi wi‡cvU© Ki‡e;
· cÖv_wgK wPwKrmvi iæg ev dv÷© GBW wKU mnRjf¨ wKbv|
চামড়া, জুতা এবং চামড়াজাত শিল্প কারখানায় ব্যবহৃত
কাঁচামাল
শিখন
উদ্দেশ্য
এই ইনফরমেশন শিটটি
পড়ার পর আপনি চামড়াজাত শিল্প কারখানায় ব্যবহৃত কাঁচামাল চিহ্নিত করতে সক্ষম হবেন।
চামড়ার পণ্য তৈরিতে কাঁচামাল
সম্পর্কিত পরামর্শ
জুতা শিল্প কারখানায় ব্যবহৃত উপকরণ
ক্লাসিক বা পোশাক বা ক্যাজুয়াল জুতা (চামড়ার
জুতা)
|
ক্রমিক নং |
কাঁচামালের নাম |
|
১ |
ভেড়ার চামড়া ০.৬ থেকে
০.৮ মিমি পাতলা |
|
২ |
ছাগলের চামড়া ০.৬
থেকে ১.০ মিমি পাতলা |
|
৩ |
গরুর চামড়া ০.৭ থেকে
১ মিমি |
|
৪ |
ফোম রেক্সিন |
|
৫ |
বেনিয়ান রেক্সিন |
|
৬ |
তুলার জন্য লাইনিং
কাপড় |
|
৭ |
সিনথেটিক লাইনিং
(সাটিন কাপড়) |
|
৮ |
রঙ্গিন বোর্ড |
|
৯ |
ধূসর বোর্ড |
|
১০ |
সেলাই মেশিনের সুচ
নং: ১০০, ১১০, ১২০ এলআর |
|
১১ |
সেলাই মেশিনের তেল |
|
১২ |
সেলাই মেশিনের সুতা
(নাইলন) ৩০, ৪০, ৬০ |
|
১৩ |
কর্ণার |
|
১৪ |
জিপ ৩ মিমি |
|
১৫ |
জিপ ৫ মিমি |
|
১৬ |
রানার ৩ মিমি |
|
১৭ |
রানার ৫ মিমি |
|
১৮ |
প্রেস বাটন |
|
১৯ |
আইলেট বোতাম |
|
২০ |
"ডি" রিং |
|
২১ |
অ্যাডজাস্টেবল বাকল |
|
২২ |
ম্যাগনেটিক লক |
|
২৩ |
পাইপ বেডিং |
|
২৪ |
রিভেট বোতাম |
চামড়া, জুতা এবং চামড়াজাত শিল্প কারখানায় যে
সকল কাঁচামাল ব্যবহৃত হয়
চামড়া উৎপাদন কারখানায় কী কী ধরনের কাঁচামাল ব্যবহৃত হয়, সে বিষয়ে আমরা
এখন জানব। আমরা মোটামুটিভাবে কিছু কাঁচামাল সম্পর্কে জানি, যেগুলো সাধারণত চামড়া, চামড়াজাত
পণ্য এবং চামড়া শিল্পে ব্যবহৃত হয়। কাঁচামালগুলো নিচে দেয়া হলো-
১।
কাঁচা চামড়া বা স্কিন
চিত্রে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, কাঁচা চামড়াকে ব্যবহার উপযোগী চামড়ায় পরিণত করা হয়েছে।
·
নিউবাক: লোমশ মসৃণ সারফেস বিশিষ্ট মহিষের চামড়া।
·
খেপা ঘোড়া: তৈলাক্ত সারফেস বিশিষ্ট চামড়া।
·
সোয়েড চামড়া: লোমশ খসখসে সারফেস বিশিষ্ট মহিষের চামড়া।
·
পুল-আপ: গভীর নকশাকৃত সারফেস বিশিষ্ট চামড়া।
· লাইনিং চামড়া: পাদুকার আবরণের জন্য ব্যবহৃত চামড়া।
২। লাইনিং
লাইনিং বা আস্তরণ হচ্ছে উৎপাদিত চামড়াজাত পণ্যের অভ্যন্তরীণ একটি উপাদান। মূলত, এটি আমাদের শরীরের সাথে লেগে থাকে। বিভিন্ন ধরনের লাইনিং বা আস্তরণ উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এগুলো হলো- কড়কড়ে রেশমী, চকচকে রেশমী ইত্যাদি।
৩। রেক্সিন বা সিনথেটিক চামড়ার উপাদান
রেক্সিন হচ্ছে উৎপাদিত চামড়াজাত পণ্যের মধ্যে আরও একটি ম্যানুফাকচারিং উপাদান। চামড়ার পাশাপাশি এটি মাঝে মাঝে সম্মুখভাগে এবং একটি উপযুক্ত সমন্বয়ক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কৃত্রিম চামড়া হচ্ছে এক ধরনের ফ্যাবরিক বা চামড়ার সম্পূর্ণ একটি বিকল্প উপাদান। এটি উৎপাদন খরচ কমায়। কিন্তু নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে ঠিক নয় ও ব্যবহারের অযোগ্য।
৪।
সুতা
চামড়াজাত পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল হলো সুতা। একটি আঁশযুক্ত উপাদানের ফাইয়াজাত যেমন উৎপাদ বাক্স দুই বা ততোধিক ফিলামেন্ট এর সমন্বয়ে গঠিত। এটি সুচের কাজে, কাপড় বুনন এবং বিভিন্ন ধরনের পণ্য একত্রিকরণের কাজে ব্যবহৃত হয়।
৫।
রিভেট বা বাটন
রিভেট বা বাটন হচ্ছে মাথাযুক্ত ধাতব পিন যা দুটি ে ট বা বস্তুকে একসাথে সংযোজন করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। এই বাটন অনেকটা ডিসক আকৃতির মতো দেখতে হয়। এটি কাপড় বা জামার দুটি অংশকে জোড়া দেবার কাজে ব্যবহৃত হয়। এই ধরনের সামগ্রী সাধারণত সাজসজ্জার জন্য ব্যবহৃত হয়।
চামড়াজাত
পণ্য তৈরির কাজে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় কিছু কাচামাল নিচে উল্লেখ করা হলো-
·
ভেড়ার চামড়া
·
ছাগলের চামড়া ০.৬ থেকে ১.০ মিমি পাতলা
·
গরুর সৃটি চামড়া ০.৭ থেকে ১ মিমি
·
ফোম বা বেনিয়ান রেক্সিন
·
তুলার জন্য লাইনিং কাপড়
·
সিনথেটিক লাইনিং (সাটিন কাপড়)
·
রং বা ধূসর বোর্ড
· জিপ ৩ মিমি বা ৫ মিমি
·
প্রেস বাটন
·
এলিয়েট বাটন
·
"ডি" রিং
· অ্যাডজাস্টেবল বাকল।
৬। অন্যান্য উপকরণসমূহ
চামড়াজাত পণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত আরো কিছু উপকরণ নিচে দেয়া হলো। সেগুলো হলো-
৭। আঠা (অ্যাডহেসিভ)
আঠা হচ্ছে তরল জাতীয় একটা উপকরণ যা কোনো জিনিস একত্রে সংযুক্ত করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত প্রাকৃতিক বা সিনথেটিক উৎস থেকে আসে। এটি এমন ধরনের উপাদান যা দিয়ে অনেক বিশাল বস্তু জোড়া দেওয়া হয়। এছাড়া এটি পাতলা বস্তু জোড়া দেয়ার জন্য খুবই কার্যকরী।
জুতা ম্যানুফাকচারিং-এর জন্য বিশেষ কিছু উপকরণ ব্যবহৃত হয়, সেগুলোর চিত্র নিচে দেয়া হলো-
এখানে আমরা দেখতে পাই যে, চামড়ার পণ্য উৎপাদনের জন্য সোলের উপকরণসমূহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সোলের উপকরণসমূহকে দুইভাগে ভাগ করা যায়। যেমন ইনসোল এবং আউটসোল উপকরণ।
ইনসোল উপকরণ
ইনসোল হচ্ছে জুতার আভ্যন্তরীণ তলদেশ যেটা সরাসরি পায়ের নিচের দিকে অবস্থিত থাকে। মূলত, ইনসোলের উপকরণগুলো উডপাপ, পেপার ইনসোল বোর্ড এবং কর্ক ফোম দিয়ে তৈরি।
আউটসোল উপকরণ
আউটসোল হচ্ছে এমন একটি আস্তরণ যেটা সরাসরি মাটির সাথে সম্পর্কযুক্ত। কাপড়ের জুতায় প্রায়ই চামড়ার অথবা রাবারের তৈরি আউটসোল থাকে। ক্যাজুয়াল জুতার আউটসোলগুলো প্রধানত প্রাকৃ তিকভাবে তৈরিকৃত রাবার অথবা সিনথেটিক উপকরণ দিয়ে বানানো হয়। যেমন- পলিইউরেথিন (পিউ), পলি ভিনাইলক্লোরাইড (পিভিসি) দিয়ে তৈরি করা হয়।
কর্মক্ষেত্রে
দলীয় কাজ এবং দ্বন্দ্ব বা সমস্যা সংক্রান্ত বিষয়াবলী
শিখন উদ্দেশ্য
এই ইনফরমেশন শিটটি পড়ার পর আপনি অবশ্যই চামড়া
কারখানায় দলবদ্ধভাবে কাজ এবং দ্বন্ধ সমস্যা সম্পর্কিত বিষয়াবলীচিহ্নিত করতে পারবেন।
এছাড়া কর্মক্ষেত্রে একটি ভালো সম্পর্ক বজায় রাখার পাশাপাশি কীভাবে সহকর্মীদের মধ্যকার
দ্বন্দ্ব বা সমস্যাগুলো নিরসন করতে হয়, এই বিষয়টি বুঝতে সক্ষম হবেন।
দলবদ্ধ কাজ বলতে কী বোঝায়?
দল হচ্ছে পারস্পরিক দক্ষতাসম্পন্ন একটি গোষ্ঠী
যারা কোনো সাধারণ উদ্দেশ্য অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং নিজেদের কৃতিত্ব অর্জনে পারস্পরিকভাবে
দায়বদ্ধ। তারা নিজেরা একটি স্বতন্ত্র পরিচিতি বজায় রাখে এবং নিজেদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
পূরণের নিমিত্তে পারস্পরিক সহযোগী মনোভাব নিয়ে একত্রে কাজ করে। কাজের সফলতা তখনই প্রকাশিত
হয়, যখন দল তার কাজের উদ্দেশ্য অর্জনে সক্ষম হয়। একত্রে কাজ এবং অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা
প্রকাশের মাধ্যমে কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব। দলীয় আত্মবিশ্বাস, পারস্পরিক সম্মান,
উপকারী এবং বন্ধুভাবাপন্ন মনোভাব এই সবকিছুর ওপর ভিত্তি করে একটি সফল দলকে চিহ্নিত
কর হয়। শুধুমাত্র একত্রে কাজ করার মানে এই না যে, তারা সঠিকভাবে কাজ সম্পাদন করতে পারবে।
অথব একইসাথে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। একটি দল এমন কিছু লোকের সমন্বয়ে গঠিত যাদের
মধ্যে বিভিন ধরনের আবেগ এবং সামাজিক চাহিদা রয়েছে। পাশাপাশি তারা যতটা হতাশাগ্রস্থ
হতে পারে আবার ততটাই একে অন্যকে সাহায্য করতে পারে।
কার্যকরী দলবদ্ধ কাজের ফলাফল
·
একটা দল যাদের সদস্য, আকার ও রিসোর্স কাজের সাথে মিলে যায়;
·
ভালো নেতৃত্ব ও দল গঠনে মনোযোগ;
·
একে অন্যের লক্ষ বুঝতে ও চিহ্নিত করতে দলের দ্বারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ:
·
দলের লক্ষ্য উন্নয়ন একটি যৌথ ভিশন
·
কাজের একই মালিকানার ধারণা এবং কৃতিত্ব অর্জনের যৌথ দায়িত্ব;
·
সমন্বিত প্রচেষ্ঠা এবং কাজগুলো দলের মধ্যে সমানভাগে ভাগ করার
পরিকল্পনা;
·
দলের মধ্যে সরাসরি তথ্য আদান-প্রদান;
· দলের সদস্যদের মধ্যে সততা এবং সরলতা।
কার্যকরী
দলীয় কাজের জন্য (০৬) ছয়টি প্রধান উপাদান
১। দলের পরিচিতি
একটি দলের সদস্যরা কীভাবে আচরণ করবে এবং তারা
কী অর্জন করবে এই সবকিছুই দলের সদস্যদের সমষ্টিগত আচরণের ফলাফল। এটি বোঝা কঠিন হতে
পারে যে, কীভাবে একটি দল সঠিকভাবে কাজ করে। দলের বাইরে সদস্যগণের কর্মকান্ড একদিকে
দলের এবং অন্যদিকে দলের আচরণগত বিষয়াবলী সম্পর্কে বুঝতে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এটা আশ্চর্যজনক নয় যে, কার্যকরী দলগত কাজে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়।
তথ্য বিনিময়ে উৎসাহিত করা-
·
দ্বন্দ্ব বা সংঘাতের উৎস এবং এগুলো নিরসনের উপায় সম্পর্কিত
একটা দলীয় কর্মশালার আয়োজন করা।
·
আলোচনায় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক সদস্যের কাছ থেকে নিয়মিত রিপোর্টিং
নিশ্চিত করা।
·
ইলেকট্রনিক মেইলের ব্যবস্থা করা যাতে প্রত্যেক সদস্য প্রকল্পের
সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে পারে।
দল গঠনে এবং দলের পরিচিতি উন্নয়নে
বাস্তব পদক্ষেপ
দলের সদস্যদের মধ্যে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রক্ষার
ব্যাপারে উৎসাহিত করা। মূলত যখন তারা বিভিন্ন অফিস বা প্রতিষ্ঠান থেকে আসে তখন-
·
দলীয় নেতা এবং দলীয় সদস্যদের সনাক্ত করা।
·
প্রত্যেক অফিসের মধ্যে একজন প্রতিনিধি নির্বাচন করা যেন তিনি
সমন্বয় এবং সমস্যার সমাধান করতে পারেন।
·
দিনব্যাপী কর্মশালা এবং সামাজিক ইভেন্টগুলোতে মধ্যাহ্ন ভোজের
আয়োজন করা।
· অফিস বা কারখানাগুলোতে ব্যক্তিকেন্দ্রিক বা দলীয় পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা।
২। দলের উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য
জানানো
অধিকাংশ লোক তখনই তার কাজগুলো ভালোভাবে সম্পাদন
করে যখন সে তার ভবিষ্যতের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে নিশ্চিত থাকে। একইভাবে, একটা
দল যখনই তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য একে অন্যের সাথে ভাগাভাগি করবে, তখনই তারা কাজগুলো
ভালোভাবে সম্পাদন করতে পারবে। আর এই সকল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য দলের সদস্যদের মধ্যে প্রেষণা
বা উৎসাহ সৃষ্টি করে। পাশাপাশি তাদের মধ্যে কাজগুলো সফলভাবে অর্জন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
করে তোলে।
দল সবসমই তার লক্ষ্যে পোৗছাতে উৎসাহী থাকে। কারণ তারা তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানে। যখন দলের সদস্যগণ মনে করেন যে, তারা তাদের লক্ষ্য অর্জনে যথার্থ অবদান রাখতে পারবেন, তখন তারা নিজেদের মধ্যে এক ধরনের মালিকানা অনুভব করে। এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সেটা অর্জন করার চেষ্টা করে।
৩। যোগাযোগ
যোগাযোগ হচ্ছে তথ্য ও ধারণা আদান-প্রদানের একটি মাধ্যম যাতে করে একটি দল তাদের চিন্তা এবং ভাবনাগুলো একে অন্যের সাথে বিনিময় করতে পারেন। যোগাযোগ ব্যবস্থা একটি দলের জন্য খুবই উপযোগী যদি তারা তাদের জ্ঞানের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে চায়। যোগাযোগের ঘাটতি দলের অর্জনকে কমিয়ে দিতে পারে।
মুক্ত যোগাযোগ ও তথ্য বিনিময়
·
দলের সদস্যদেরকে পূর্বেই অনুমান করতে সহায়তা করা যখন তারা অন্যের
কাছ থেকে যা প্রত্যাশা করেন;
·
বিস্ময় দূর করুন এবং সবার জন্য একত্রে কাজ করা সহজ করে দিন;
·
দলের সদস্যদের মধ্যে পরিচিতি এবং বিশ্বাস অর্জন করুন;
· দলের মধ্যে একটা দৃঢ় আচরণ তৈরি করুন যেন তারা সঠিক সমাধানের মাধ্যমে নিজে নিজেই সমস্যাগুলো মোকাবেলা করতে পারেন।
৪। সহযোগিতা এবং অংশগ্রহণ
সহযোগিতা খুবই প্রয়োজনীয় একটি বিষয় যখন দলের
সদস্যগণ তাদের লক্ষ্য ও মূল্যবোধগুলো একে অপরের সাথে বিনিময় করে দলীয় স্পিরিট বৃদ্ধি
করে। এজন্য বিশ্বাস, সততা, পারস্পরিক সহানুভূতি এবং সম্পূর্ণ অংশগ্রহণ খুবই গুরত্বপূর্ণ
একটা বিষয়। দলের সদস্যদের জানা বা লক্ষ রাখা উচিত যখন তারা একজন অন্য জনের কাছে কাজ
দিবে তখন যেন কাজটি সঠিকভাবেই হয় বা নষ্ট না হয়। সঠিক দল বা সদস্যরা জানে কীভাবে এটি
ধরে রাখতে হয়। তারা সবসময় তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য মনের ভেতরে ধারণ করে। যদি
তারা কোনো কারণে ব্যর্থ হয়, তবুও তারা দলকে সিডিউলের ভেতরে ধরে রাখতে সাহায্য করে।
অন্যদিকে একটু কম কার্যকরী দলের সদস্যরা নিজ নিজ কাজে বিশ্বাসী এবং কাজের বাইরে কারো
প্রতি খেয়াল রাখে না।
৫। আলাপ-আলোচনা এবং সমাধান
দলের সদস্যদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ধারণা
বা মতামত থাকাটাই স্বাভাবিক। সবার মতামতকে একটি জায়গায় নিয়ে আসাটা দলের সবচেয়ে বড় সক্ষমতা।
দলের মধ্যকার মতপার্থক্য, দলের সদস্যদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার ভিন্নতা দলের মধ্যে কাজ
করার শক্তি এবং সৃজনশীল পদ্ধতিতে যেকোনো সমস্যা সমাধানের জন্য উৎসাহিত করে তোলে।
যে সকল কারণে মতবিরোধ হতে পারে-
·
দুর্লভ সম্পদের উপর বিরোধ।
·
সময়সীমা অথবা দায়িত্ব সম্পর্কে দ্বিমত।
·
ক্ষমতার দ্বন্দ্ব, যখন কোনো ব্যক্তি তার দলের মধ্যে কোনো নির্দিষ্ট
পদের জন্য প্রতিযোগিতা করে।
·
বিভিন্ন ধরনের প্রত্যাশা, উচ্চাভিলাষ বা অগ্রাধিকার।
·
ভুল বুঝাবুঝি এবং দুর্বল যোগাযোগ।
৬। রিফ্লেকশন এবং সেলফ অ্যাসেসমেন্ট
অনেক সময় দলের সদস্যরা দলীয় কাজের প্রক্রিয়াকে
যথাযথ গুরত্ব না দিয়ে তাদের হাতে যে কাজ আছে তার উপর বিশেষভাবে গুরত্ব দেন। এছাড়া সেলফ
অ্যাসেসমেন্ট সম্পর্কে দলের সদস্যদের মধ্যে বিরোধিতা। থাকতে পারে। কিন্তু বর্তমান কাজের
পদ্ধতিগুলোর পরীক্ষা করা ও যথাযথ প্রতিফলন বের করার একটি মূল্য বা গুরত্ব রয়েছে। নিয়মিত
পর্যালোচনা করলে নিজেদের শক্তি ও দক্ষতা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি পায় পাশাপাশি দূর্বলতা
এবং সমস্যাগুলো সম্পর্কেও সচেতনতা বৃদ্ধি পায় যা দলীয় কাজের কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে
গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দলীয় কাজের ধারণা প্রদানের মাধ্যমেই দলের সদস্য বুঝতে
পারবেন কীভাবে একই প্রতাশা নিয়ে একত্রে কাজ করতে হয়। তবে দলীয়ভাবে নিচের বিষয়গুলো আলোচনা
হতে পারে-
·
দলের আকার, গঠন এবং সামর্থ্য কি নির্ধারিত কাজের সাথে খাপ খায়?
·
দলের সদস্যরা কি নির্ধারিত কাজের জন্য নিজেকে পুরো দলের দায়ত্বসম্পন্ন
একজন সদস্য মনে করেন?
·
দলের প্রত্যেক সদস্য কাজের লক্ষ্য বা চ্যালেঞ্জ কি ভাগ করে
নিয়েছেন এবং তা সম্পন্ন করার জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়েছেন?
·
দলের সদস্যদের মধ্যে এবং দলের সদস্যদের বাইরের অন্যদের সাথে
যোগাযোগ কি কার্যকরী?
·
দলের প্রত্যেক সদস্যদের মধ্যে কি বিশ্বাস, শ্রদ্ধা এবং পূর্ণ
অংশগ্রহণ রয়েছে?
· দ্বন্দ্ব বা সমস্যা সমাধানের জন্য দলের মধ্যে কি গঠনমূলক কোনো পদ্ধতি আছে?
দ্বন্দ্ব
দ্বন্দ্ব জীবনেরই অংশ।
এটিকে কার্যকর এবং বোধগম্য উপায়ে নিরসন করলে তা সুসম্পর্ক এবং খারাপ সম্পর্কের মধ্যে
পার্থক্য তৈরি করে। অলাভজনক বিষয়ের ক্ষেত্রেও এই নীতির কোন পার্থক্য নেই। যখন দ্বন্দ
জটিল এবং অস্বস্তিকর হয় তখন সহযোগিতা এবং আপোসের মাধ্যমে তা মীমাংসা করাটাই ভালো সিদ্ধান্ত।
যে সকল দল একা একা চলে এবং এদের কোন দ্বন্দ্ব ও নেই, এর মানে এই না যে তারা সবচেয়ে
কার্যকর দল। পাশাপাশি যেসকল দল দ্বন্দ্ব জড়িয়ে পড়ে তারা সাধারণত ভালো বা কার্যকর দল
নয়। দ্বন্দ্ব নিরসন করার
পূর্বে আমাদের অবশ্যই
দুইটি নীতিতে সকলের সম্মত হতে হবে-
·
সিদ্ধান্ত
গ্রহণের প্রক্রিয়ায় প্রতিষ্ঠানের স্বার্থকে সবার আগে ও সবচেয়ে বেশি বিবেচনা করতে হবে।
·
যখন ভিন্নমত দেখা দেবে, তখন সম্মানের সাথে ভিন্নমত প্রকাশ করা
শিখতে হবে।
দ্বন্দ
সংজ্ঞায়িত করা
দ্বন্দ সম্পর্কে বুঝতে
হলে প্রথমে জানতে হবে এটি কেন ঘটে এবং এটি প্রতিরোধ করার প্রাথমিক উপায় কী এবং কীভাবে
এটি মোকাবেলা করতে হয়? দ্বন্দের বিভিন্ন ধরন ও সংজ্ঞা নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
·
মতের
পার্থক্য;
·
সমস্যা
মোকাবেলা করার ক্ষেত্রে বিরোধ;
·
কর্মদক্ষতা
এবং নির্দেশনা সম্পর্কে অভিযোগ;
·
আর্থিক
মতবিরোধ;
·
আচরণগত
সমালোচনা;
·
একে
অন্যের সাথে বিবাদ:
·
ক্ষমতা
এবং অবস্থান নিয়ে চ্যালেঞ্জ;
·
নিয়ন্ত্রণের
বাইরের হুমকি;
·
যোগাযোগ
রক্ষা না করা
দ্বন্দ্ব ব্যবস্থাপনার জন্য আচরণ
নিম্নে বর্ণিত আচরণসমূহ বোর্ড অথবা সদস্যদের দ্বন্দ্ব ব্যবস্থাপনায়
বা নিরসনে ভলোভাবে সহায়তা করবে। এটি সাধারণ ব্যাপার মনে হলেও যারা দ্বন্দ্বে জড়িয়ে
পড়ে তাদের অবস্থান থেকে চিন্তা করুন এবং স্বব্ করুন।
নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করা
যখন কোনো দ্বন্দ্ব হয় তখন আপনি কী অনুভব করেন তা কর্মীদের জানান?
তারা কি অনুভব করে তা শুনুন এবং আপনি যে কাজের বাইরে অন্য কিছু বা দ্বন্দ্ব পছন্দ করেন
না তা জানিয়ে দিন।
উদাহরণ- "নির্ধারিত
কাজ না করা বা যথাযথ কাজের প্রক্রিয়া অনুসরণ না করাটা আমি খুবই অপছন্দ করি। এসবের কারণে
আমি আমার নির্ধারিত কাজটিই করতে পারি না। তাই এই ধরনের আচরণ আমার কাছে। গ্রহণযোগ্য
নয় এবং এর জন্য আমি কোনো সময়ও দিব না"।
আক্রমণাত্মক না হয়ে প্রত্যয়ী হওয়া
আপনার প্রতিক্রিয়া সরাসরি জানান। আপনি নিজে কীভাবে আচরণ করেন,
কথা বলেন, চিন্তা করেন, অনুভব করেন তা জানান। কোনো আচরণের কারণে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত
তা চিহ্নিত করুন।
যুক্তিযুক্ত ও শান্তভাবে কথা বলা
এ প্রক্রিয়ায় আপনি অনেক ভালোভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে
পারবেন।
অন্যকে দোষ দেয়া থেকে দূরে থাকা
এটি অবস্থা বুঝতে সহায়তা করবে। এটি স্বীকৃত যে দ্বন্দ্ব দুই
পক্ষকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাই অন্যকে দোষ দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
সহযোগিতাপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করা
এই ধরনের পরিবেশে প্রত্যেকেই প্রত্যেকের কথা শুনবে। প্রত্যেকে
বিশ্বাস করবে যে, সবারই নিজ নিজ কথা বলার অধিকার রয়েছে। প্রত্যেকেরই অন্যের কাছ থেকে
শ্রদ্ধা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। এ পরিবেশে সবাই কোনো ধরনের সমস্যা সৃষ্টি না করে কাজ
করতে উৎসাহী হবে।
সৎ হওয়া
দ্বন্দ্ব নিরসনের ক্ষেত্রে সৎ হতে হবে। আপনি
যদি অসৎ উপায় অবলম্বন করে কিছু পেতে চান হয়ত সাময়িক লাভ হবে। কিন্তু একটা পর্যায়ে
ম্যানেজমেন্ট এর সাথে আপনার দুরত্ব তৈরি হবে। মনে রাখবেন এটি সময় নষ্ট করা ছাড়া আর
কিছু নয়।
কি বিষয়ে দ্বন্দ্ব হয়েছে তার চেয়ে মানুষ কি
ভাবছে তার ওপর গুরত্ব দেয়া। দ্বন্দ্ব নিরসনের ক্ষেত্রে মনোযোগ দিয়ে শোনা একটি বড় কৌশল।
শ্রবণের মাধ্যমেই মানুষ কি ভাবছে, দ্বন্দ্ব সম্পর্কে তার অনুভূতি কি তা বুঝা যায়।
নিজের এবং অন্যের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা
অপরের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করার মাধ্যমেও দ্বন্দ্ব নিরসন
করা যায়। যদি কেউ অনবরত অসম্মান প্রদর্শন করতে থাকেন তাহলে তার সাথে খারাপ ব্যবহার
না করে বরং দূরে সরে আসাই উত্তম। এতে দ্বন্দ্ব বেশি দূর গড়ায় না।
নিজের ভুলের জন্য ক্ষমা চাওয়া।
যদি আপনি কোনো ভুল করে থাকেন তাহলে প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নেয়া
দ্বন্দ্ব নিরসনের সবচাইতে ভালো উপায়।
কোন কিছু মীমাংসা বা মেনে নেওয়ার আগ্রহ
আপনি যদি কোনো বিষয়ে আপনার অবস্থান থেকে সরে না আসেন তাহলে
অন্যজন বা অন্য দলও তার অবস্থান থেকে সরে আসার সুযোগ পাবে না। দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য
উভয় ব্যক্তি বা দলকেই তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে সরে আসতে হবে।
দ্বন্দ্ব নিরসন
যদি আপনার দল কোনো ধরনের বিবাদে জড়িয়ে পড়ে তাহলে নিম্নে বর্ণিত
পদ্ধতি অনুসারে দ্বন্দ্ব নিরসন করতে পারেন।
দ্বন্দ্ব নিরসনের পদক্ষেপ
দ্বন্দ্ব নিরসনের পাঁচটি পদক্ষেপ সম্পর্কে নিম্নে বর্ণনা করা হলো। যদি এই পাঁচটি পদক্ষেপ সম্পূর্ণভাবে সমাপ্ত করা যায়, তবে যেকোনো সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।
ধাপ ১। দ্বন্দ্ব সম্পর্কিত ধারণা পরিষ্কার করা।
'সমস্যাটা' আসলে কী?
·
দ্বন্দ্ব কী?
·
দ্বন্দ সম্পর্কিত বিষয়গুলো কী?
·
কে দ্বন্দের সাথে জড়িত?
·
দ্বন্দ্ব কখন শুরু হয় এবং কত সময় ধরে স্থায়ী হয়?
· দ্বন্দ কী বাস্তব? সঠিক নাকি অতিরঞ্জিত?
ধাপ ২। দ্বন্দ্বের সাথে জড়িত দলগুলোর সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা। 'দ্বন্দ
সম্পর্কে আপনার মতামত'তী।
·
দ্বন্দের
সাথে যারা জড়িত তাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন;
·
আবেগ
নিয়ন্ত্রণে রাখুন এবং বিষয়গুলো ফোকাস করতে মনোনিবেশ করুন;
·
দলের
জন্য কী ভালো জেনে নিন?
·
বোর্ড
কী দেখতে চায়?
·
একটি
বিস্তারিত প্রতিবেদনের মাধ্যমে ফলাফলগুলো সংক্ষিপ্ত করুন।
ধাপ ৩। সমাধানগুলো চিহ্নিত করা। 'বিকল্প উপায়গুলো কি হতে পারে?
·
সমস্যার
বিভিন্ন সম্ভাব্য সমাধান খুঁজে বের করা।
·
সমাধানগুলো
বাস্তবায়নে এগিয়ে আসা।
·
এই
সমাধানের ফলাফল কী তা জানা।
·
যৌথ
উদ্যোগে দ্বন্দ্ব সমাধান করা।
·
সমাধানগুলোকে
সংকীর্ণ করা এবং এগুলোকে অগ্রাধিকার দেয়া।
ধাপ ৪। উপযুক্ত সমাধান নির্বাচন করা। দ্বন্দ্ব নিরসনে আমরা আসলে কী
করতে যাচ্ছি?
·
প্রত্যেকের
জন্য ভালো সমাধান নির্ণয় করা। দলগুলোকে এই বিষয় পরীক্ষা করতে অনুমতি দেয়া।
·
দলগুলোকে
শিক্ষিত করা এবং একটি পদ্ধতির মধ্য দিয়ে অংশগ্রহণ করতে চুক্তিবদ্ধ করা।
·
দলগুলোকে
একত্রে নিয়ে আসা এবং সম্মতির ভিত্তিতে সমাধানগুলো সীমাবদ্ধ করা।
·
দলগুলোকে
সমস্যা সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করা। আর সাক্ষাতের জন্য নির্দিষ্ট তারিখ নির্ধারণ করা
এবং সমস্যাগুলো পর্যালোচনা করা।
ধাপ ৫। সমাধানের মূল্যায়ন এবং অনুসরণ। "এই প্রক্রিয়া ও সমাধান
কীভাবে কাজ করে"?
·
সকল
ডকুমেন্টের একটি লিখিত রিপোর্ট তৈরি করা।
·
রিপোর্টগুলো
ফাইল করা এবং এগুলো আগামী ১০ বছরের জন্য সংরক্ষণ করা।
·
সকলকে
নিয়ে একটা ফলোআপ মিটিং করা এবং নিশ্চিত করুন যে দ্বন্দ্ব নিরসন সম্ভব হয়েছে।
·
সবাইকে
নিয়ে বিষয়টি উপভোগ করা এবং জানান যে তারা সমস্যার মধ্য থেকে একসঙ্গে কাজ করেছে। আর
সমাধান ও বিভিন্ন পদক্ষেপের ভেতর দিয়ে তারা তাদের মিশনটি পরিপূর্ণ করতে পেরেছে।
এখন আমরা চিত্রের মাধ্যমে কিছু দলীয় কাজ সম্পর্কে
জানব। এটি আমাদের যৌথভাবে কাজ করতে একটা কার্যকর ধারণা দিবে।
টিমওয়ার্ক
হেনরি ফোর্ড এর মতে, দলগত কাজ হচ্ছে উন্নয়নের অন্যতম চাবিকাঠি। এখন আমরা কার্যকরীভাবে দলীয় কাজের অপরিহার্য অংশগুলো সম্পর্কে জানব। নিচের চিত্রটি দেখুন-
এখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, উন্নত যোগাযোগ
ব্যবস্থা, নেতৃত্ব গ্রহণ, একই ধরনের উদ্দেশ্য, স্পষ্ট ভূমিকা, দৃঢ় সম্পর্ক, কার্যকরী
প্রক্রিয়া এই বিষয়গুলো দলগত কাজের অন্যতম চাবিকাঠি।
এগুলোর পাশাপাশি, একটা প্রতিষ্ঠানের টিম মেম্বারদের অবশ্যই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে। চলুন, এবার নিচের চিত্রটি দেখি-
চিত্র অনুযায়ী, টিম মেম্বারদের অবশ্যই প্রতিষ্ঠানের ভিশন, মিশন ও লক্ষ্য
সম্পর্কে একটা স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে। টিম অবশ্যই দক্ষ মেন্টর দ্বারা অনুপ্রাণিত হবে।
এটি পরবর্তীতে একটা ভালো সফলতা বয়ে আনবে
সুতরাং, টিম মেম্বারদের মধ্যকার সম্পর্ক কাজের ক্ষেত্রে খুবই গুরত্বপূর্ণ।
চলুন, এবার নিচের ছবিটি দেখি-
এই চিত্রটির মাধ্যমে আমরা টিম মেম্বারদের বন্ধন, টিমের সফলতা এবং ত্যাগ
স্বীকার করা দেখতে পাই।
আমরা দেখেছি, কার্যকর দলীয় কাজের জন্য কোনো উপাদানগুলো খুবই অপরিহার্য্য। চলুন, এবার নিচের ছবিটি দেখি-
চিত্র অনুযায়ী, বিশ্বাসের
অভাব, দ্বন্দ্বো ভয়, প্রতিশ্রুতির অভাব, জবাবদিহিতার ঘাটতি এবং অসাবধানতা একটি কার্যকর
দলীয় কাজের পথে অন্যতম প্রধান বাঁধা।
দ্বন্দ্ব
ব্যক্তি যখন উপলব্ধি করে যে, কেউ তার সাথে
নেতিবাচক আচরণ করছে তখনই দ্বন্দ্বের শুরু হয়।
কাজ
সম্পর্কিত দ্বন্দ্ব
যখন প্রকল্পের সদস্যদের
মধ্যে কাজ সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের মতের অমিল দেখা যায়, তখন দ্বন্দ্বের শুরু হয়।
সম্পর্কের দ্বন্দ্ব
সম্পর্কের দ্বন্দ্ব মূলত সদস্যদের কাজের পাশাপাশি ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব বা হিংসার মাধ্যমে শুরু হয়।
কিন্তু দ্বন্দের মীমাংসা হচ্ছে একত্রে কাজ করার প্রধান উপায়। নিচের চিত্রটি লক্ষ করুন এবং দেখুন যেভারে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয় এবং সমাধান করা যেতে পারে-